পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সউদী আরবের বড় ধরনের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমি বাংলাদেশে সউদী আরবের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে সফররত সউদী আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ গতকাল বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগের বিষয়ে ওই কথা বলেন।
গনভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক শেষে প্রধামনমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সউদী আরবের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের দেওয়া বিদ্যমান বিভিন্ন সুবিধা কাজে লাগাবেন। তিনি বলেন, বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে সউদী বিনিয়োগকারীদের জন্য জমি বরাদ্দ করাসহ তাদের সহযোগিতা জোরদারে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশব্যাপী ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। সউদী আরবের সাথে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তেুাষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের এ সব খাতের মধ্যে রয়েছে অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রতিরক্ষা।
বৈঠকে সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, বহু বাংলাদেশি কর্মী বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। ফয়সাল বিন ফারহান আল সউদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শি নেতৃত্বের এবং বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ ও সউদী আরবের সম্পর্ককে একটি বন্ধুত্বের শক্ত বন্ধন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে এই বন্ধন আরো জোরদার হবে। সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন খাত খুঁজে বের করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো বাড়ানোকে তারা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিবেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের সাথে একত্রে কাজ করারও আশা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সউদী আরব বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ের একটি বিশেষ স্থানে রয়েছে। শেখ হাসিনা সউদী বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ ও যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান আল সৌদকে তার শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী মুসলিম উম্মাহ’র দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম সউদী বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল্লাজিজ আল সৌদের অবদানের প্রশংসা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, সউদী আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. জাবেদ পাটোয়ারি, বাংলাদেশে নিযুক্ত সউদী রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসাফ ইসা আল দুলাইহান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।