নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : আল আমিনকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মোসাদ্দেকের বাউন্ডারি শটের সঙ্গে সঙ্গেই শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিস্ফোরিত হলো বরিশাল! ২৪ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে শের-ই-বাংলা প্রকম্পিত করলো ঢাকা ডায়নামাইটস।
১৪৯ চেজ করে এতো সহজে জয়! সম্ভব হলো কিভাবে? এ প্রশ্নের উত্তর একটাই, মেহেদী মারুফ নামে টাঙ্গাইলের ২৮ বছর বয়সী একটি ছেলের বিস্ফোরণ! দলে আছেন সাঙ্গাকারার মতো লিজেন্ডারি, আছেন সাকিবের মতো বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার। অথচ, ঢাকার অস্ত্রভান্ডারে এদিন শক্তিশালী ডিনামাইট মেহেদী মারুফ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে আল আমিনকে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে ছক্কায় প্রকম্পিত করেছেন স্টেডিয়ামÑসেই যে শুরু, তাতেই বরিশালের হৃৎস্পন্দন গেছে থেমে। ওপেনিং পার্টনার সাঙ্গাকাতে উদ্বুদ্ধ হবেন কি, উল্টো সাঙ্গাকারাই উদ্বুদ্ধ হয়েছে মেহেদী মারুফের ব্যাটিংয়ে। আল আমিনকে দ্বিতীয় ওভারে মিড উইকেটের উপর দিয়ে, দিলশান মুনাবীরাকে লং অন, মিড উইকেট কিংবা তাইজুলকে লং অনের উপর দিয়ে পাঁচ পাঁচটি ছক্কায় প্রকৃতই টি-২০ বিনোদনের উপলক্ষ্য ছিলেন মেহেদী মারুফ। যে ছেলেটি সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে আগে কখনো দেখেননি ফিফটির মুখ, সেই ছেলেটিই কি না ৩০ বলে ফিফটি, ৪৫ বলে ৭৫ রানের হার না মানা ইনিংস দিয়েছেন উপহার।
বরিশাল বুলস বোলারদের উপর তার এমন চাবুক চালানোয় প্রথম পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে উইকেটহীন ৭৩ রানে ম্যাচের গতিপথ হয়েছে নির্ধারিত। ৫২ বলে ৮৮ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপে সাঙ্গাকারা যখন ফিরেছেন ৩০ রানে, তখন অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যান মেহেদী মারুফের রান ৪৯! নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য ঘোষিত ২০ সদস্যের দলে কেন রাখা হয়নি পেস বোলার আল আমিনকে, সে প্রশ্নের জবাবটা নিজেই দিয়েছেন আল আমিন (ওভারপ্রতি ১১.৬৬ তে ৩ ওভারে ৩৫ রান খরচা)। এমন এক ম্যাচে শ্রীলংকার তিসারা পেরেরাকেও পাড়া মহল্লা মানের বোলারে নামিয়ে এনেছেন মেহেদী মারুফ। ১ ওভারের স্পেলে (১৬ রান) শেষ হয়েছে তার বোলিং!
অথচ কি জানেন, এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের ১৪৮/৬ স্কোরে অবদান রেখেছেন দলের দুই অভিজ্ঞ শাহরিয়ার নাফিস (৩৪ বলে ৫৫), মুশফিকুর রহিম (৫০ অপ.)। ৩ বছর পর টুয়েন্টি-২০তে ফিফটির মুখ দেখেছেন শাহরিয়ার নাফিস। আলাউদ্দিন বাবু এবং সাকিবকে তার ২টি ছক্কা ছিল দর্শনীয়। তাদের অবদানে ৪র্থ উইকেট জুটিতে ৫৫ বলে ৮২ রানে দলটি পেয়েছে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। আলাউদ্দিন বাবু এবং শহীদকে ছক্কা মেরে টুয়েন্টি-২০ ক্যারিয়ারে ১১তম ফিফটির ইনিংসটিতে বাহাবা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তবে সøগের শুরুতে নাফিস ফিরে যাওয়ায় এই ৫ ওভারেই পিছিয়ে পড়েছে বরিশাল বুলস। যোগ করতে পেরেছে ৩০ বলে ৩০ রান! এই ম্যাচে উইকেট কিপার সাঙ্গাকারা এবং ওপেনার মেহেদী মারুফ ছাড়া ঢাকা ডায়নামাইটসের অবশিষ্ট ৯ জনের সবাই করেছেন বোলিং। পেস বোলার শহীদই দিতে পেরেছেন আস্থার প্রতিদান (৩/২১)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।