পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের কাজ এগিয়ে চলেছে। সমুদ্র সৈকতের পাড়ে এই ট্যুরিজম পার্কটি ১ হাজার ৪৭ একর জমির উপর থাইল্যান্ডের পাতায়ার সৈকতের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই পার্কটির চলমান কাজ শেষ হলে প্রতিদিন সেখানে দেশি-বিদেশি ৪০ হাজার পর্যটক যাতায়াত করতে পারবেন। সাবরাং এই পর্যটন অঞ্চল চালু হলে এখান থেকে মাত্র আধা ঘণ্টায় যাওয়া যাবে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখার পর পর্যটকরা সাবরাং পর্যটন অঞ্চল ও সেন্টমার্টিন অল্প সময়ে দেখার সুযোগ পাবেন।
কক্সবাজারের কলাতলী থেকে টেকনাফের যেখানে গিয়ে মেরিন ড্রাইভ শেষ হয়েছে, তার পাশেই ১ হাজার ৪১ একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে সাবরাং পর্যটন অঞ্চল। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পাড়ে টেকনাফের সাবরাংকে থাইল্যান্ডের পাতায়ার আদলে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন অঞ্চলে রূপ দেয়ার কাজ চলছে পুরোদমে।
সাবরাং এই পর্যটন অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা পর্যটন অঞ্চল। বিনিয়োগ হবে কয়েক হাজার কোটি টাকা। সেখানে থাকবে পরিবেশবান্ধব শহর, সুন্দরবনের থিম পার্ক ও নাইট সাফারি, রয়্যাল ক্যাসিনো, গলফ ক্লাব, অ্যাকোয়ারিয়াম, জাদুঘর, হেরিটেজ পার্ক, শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, ক্লাবসহ অন্যান্য সুবিধা। এছাড়া থাকছে ১০০ শয্যার হাসপাতাল এবং একটি স্কুলও। গত বছরের সেপ্টেম্বরে নির্মাণাধীন সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
২০২১ সালের ফেব্রæয়ারিতে তিনটি তারকা হোটেল নির্মাণের কাজ শুরুর মধ্যদিয়ে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। গ্রেট আউটডোর অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার লিমিটেড, গ্রিন অরচার্ড হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড এবং সানসেট বে লিমিটেড নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান ৫.৫ একর জমিতে ৩২.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫৭ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে পাঁচ তারকা ও তিন তারকা মানের হোটেলসহ পর্যটনবান্ধব বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের এই কাজ করছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া ৯টি পর্যটনবান্ধব প্রতিষ্ঠানের আরও ২১২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার কথা রয়েছে। এই বিনিয়োগকারীর তালিকায় নেদারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের দুটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। পাতায়ার আদলেই হচ্ছে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক। আর এখানে প্রতিদিন যাতায়াত করতে পারবে ৪০ হাজার পর্যটক। বর্তমানে এই পর্যটন অঞ্চলের প্রশাসনিক ভবন ও ভূমি উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা বাঁধ, সেতু-কালভার্ট তৈরিসহ বিভিন্ন ধরণের উন্নয়ন কর্মকাÐ চলছে।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় টেকনাফের সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের ভূমি উন্নয়ন বাবদ ১৮০ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ২৪৮ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কর্তৃক ‘সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক’ এর ‘ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক ইন সাবরাং পার্ক’ প্যাকেজ নম্বর ডবিøউ-০৯ এর পূর্ত কাজ যৌথভাবে পেয়েছে টিডিসি এবং জেডএইচইসি ঢাকা। এতে ব্যয় হবে ১৮০ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ২৪৮ টাকা।
এর আগে কক্সবাজারের সীমান্ত শহর টেকনাফের সাবরাং এ মিঠাপানি সরবরাহের বড় পরিকল্পনা হাতে নেয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আগামী ৩০ বছরে ৬ ধাপে ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। অতিরিক্ত লবণাক্ত পানিতে তৈরি হওয়া সঙ্কট দূর করে বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরি করতে এমন পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। ওই প্রকল্পের আওতায় দ্বীপটির ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উখিয়ার পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে মিঠা পানি যাবে দ্বীপটিতে।
বেজার নিজস্ব উদ্যোগে নেয়া এই পরিকল্পনা অনুসারে ২০৫০ সাল পর্যন্ত ছয়টি ধাপে বাস্তবায়ন হবে এই প্রকল্প। সব মিলিয়ে সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। প্রথম ধাপের কাজ হবে ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এতে খরচ হবে ১৪৪ কোটি টাকা। দ্বিতীয় ধাপে খরচ হবে আরও ৮ কোটি টাকা। সেন্টমার্টিনের পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা অত্যাধুনিক এই দ্বীপ ব্যাপক পর্যটক আকর্ষণে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।