Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

শেষ যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক বিমানবাহী রণতরি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০২২, ১২:০৬ এএম

এক সময় ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন সেনাবাহিনীর ক্ষমতার সবচেয়ে বড় প্রতীক ছিল। ভিয়েতনাম থেকে পারসিয়ান উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং সোভিয়েত সাবমেরিনের সঙ্গে সংঘর্ষেও টিকে ছিল রণতরিটি। কিন্তু সাবেক মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কিটি হকের সেই দিনগুলো এখন আর নেই।
ওয়াশিংটন থেকে টেক্সাসে ১৬ হাজার মাইল দীর্ঘ শেষ যাত্রায় রয়েছে এই সুপার ক্যারিয়ারটি। সেখানে এটিকে কেটে টুকরো করে বিক্রি করা হবে। টেক্সাসের ইন্টারন্যাশনাল শিপব্রেকিং লিমিটেড গত বছর এই রণতরিটি কিনেছে এক ডলারেরও কম মূল্যে। ইউএস ন্যাভাল সী সিস্টেমস কমান্ড এটি বিক্রি করে। অবসর নেওয়া যুদ্ধজাহাজগুলোর দেখাশোনা করে নৌবাহিনীর এই সংস্থা।

১ হাজার ৪৭ ফুট দীর্ঘ, ২৫২ ফুট দীর্ঘ রণতরিটি পানামা খাল দিয়ে চলাচল করতে পারে না। তাই ফলে দক্ষিণ আমেরিকার উপক‚ল ধরে গাল্ফ অব মেক্সিকো হয়ে টেক্সাসের পথে রয়েছে কিটি হক। ১৯৬০-এর দশকে যাত্রা শুরু করা কিটি হক মার্কিন নৌবাহিনীতে প্রায় ৫০ বছর ধরে কাজে লাগানোর পর ২০০৯ সালে এটির ব্যবহার বন্ধ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরিগুলোর মধ্যে তেলচালিত সর্বশেষ ক্যারিয়ার কিটি হক। সোভিয়েত সাবমেরিনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরে কিটি হক দুই দশকের বেশি সময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।

১৯৯০ দশকের শুরুতে সোমালিয়ায় মার্কিন সামরিক অভিযানে সহযোগিতা করে। ইরাকে বিমান হামলায় লঞ্চ ঘাঁটি হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়। ১৯৯৮ সালে কিটি হককে জাপানে পাঠানো হয়। এখানে ১০ বছর কাটায় এই রণতরি। ২০১৮ সালে এটিকে জাদুঘরে রুপান্তরিত করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মার্কিন নৌবাহিনী। সূত্র : সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ