নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদতা : গত ২১ জুলাই চেম্পসফোর্ডে এসেক্সের বিপক্ষে যে ম্যাচে স্মরণীয় অভিষেক হয়েছে মুস্তাফিজুরের (৪/২৩), সেই ম্যাচে সাসেক্স একাদশে মুস্তাফিজুরের টিমমেট ছিলেন তাইমাল মিলস। চেম্পফোর্ডের সেই ম্যাচে মুস্তাফিজুরের আলো ছড়ানো ম্যাচে মিলসের ৩৬ রান খরচায় শিকার মাত্র ১টি। ৯০ মাইল বেগে অনায়াসে বল করতে পারেন বলে মাত্র ১৯ বছর বয়সে এসেক্সে অভিষেক হওয়া সেই তায়মাল মিলসের গতিই গতকাল হতভম্ব করেছে মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। তামীমের ফিফটির ম্যাচে চিটাগাং ভাইকিংসের অফ স্পিনার মোহাম্মদ নবী ছিন্ন ভিন্ন করেছে (৪/২৪) চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। তবে লিটনের হাতে এক ওভারে দু’দুটি বাউন্ডারি খেয়ে, আর এক ওভারে পর পর ২টি নো ডেলিভারি দিয়েও ২৪ বছর বয়সী ইয়র্কশায়ারের ছেলেটির গতিই নাকি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান ব্যাটসম্যানদের ধরিয়ে দিয়েছে কাঁপুনি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ক্রিকেট ক্যারিয়ারে দেড় দশক উদযাপনের দিনে নিজেই তা করেছেন উপলদ্ধিÑ ‘অবশ্যই সে (মিলস) দ্রæতগতিতে বল করে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা ওই ধরণের পেস খেলে হয়তো অভ্যস্ত নয়। সাধারণত আমাদের দেশে এই ধরণের পেস বোলার দেখা যায় না। ঘন্টায় ১৫০ গতির বল মোকাবেলা করা সব সময়ই কঠিন। এমন পেস বোলার যখন শ্লোয়ার ডেলিভারী দিবে তখন সেটাও কঠিন হয়ে যাবে। এটাই ওর একটা এডভান্টেজ। ওর শ্লোায়ারটাও ভালো।’
এমন একজন দ্রæতগতির বোলার পেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন চিটাগাং ভাইকিংস অধিনায়ক তামীমÑ‘ পেস একটা ফ্যাক্টর। দলে এমন কেউ থাকলে অবশ্যই সুবিধা পাওয়া যায়। আবার অসুবিধাও হয়ে যেতে পারে। মাঝে মাঝে কিন্তু ওর বাজে বলও হয়েছে। অতিরিক্ত গতির কারণে বাউন্ডারিও হয়ে গেছে। ও যদি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকে বল করতে পারে, তাহলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হবে। এখন বিশ্ব ক্রিকেটেই ১৫০ কিংবা তার বেশি গতির বোলার তেমন একটা নেই। বাংলাদেশের স্থানীয় ক্রিকেটার যারা আছেন,যারা ওকে ফেস করবে তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। ওর বিপক্ষে যদি কেউ রান করতে পারে তাহলে তা ওই ক্রিকেটারকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। ভাগ্য ভালো, মিলস আমাদের দলে থাকায় তার বিরুদ্ধে ব্যাটিং করতে হচ্ছে না আমাদের।’
তামীমের লড়াইটা ছিল মাশরাফির সঙ্গে। সেই লড়াইয়ে জিতে ভীষন খুশি তামীমÑ‘ওনাকে (মাশরাফি) যদি একবার স্টার্ট দিয়ে দেন তাহলে উনি ভয়ংকর হয়ে উঠবেন। যদি উনাকে স্টার্ট না দেন,তাহলে একটু ব্যাকফুটে নেমে যাবেন। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে তাই ওনাকে চার্জ করেছি। মারতে যেয়ে ওই বলে আউটও হয়ে যেতে পারতাম। তারপরও আমি ওই ঝুঁকিটা নিছিলাম। কারন ওনাকে সেট হতে দিলে বিপদ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।