Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সর্বাধিকসংখ্যক আগাম ভোট প্রদানের রেকর্ড

প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে ল্যাটিনো ভোটের বাজিমাত দেখালেন হিলারি ক্লিনটন। পৌনে চার কোটি ল্যাটিনো ভোটারের মধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন প্রায় দেড় কোটি ভোটার। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক আগাম ভোট প্রদানের ইতিহাস গড়েছেন দেশটির অভিবাসী ভোটাররা। সংগত কারণেই অভিবাসী ল্যাটিনোদের (হিস্পানিক) প্রায় সব ভোটই পড়েছে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে। মূলত অভিবাসীদের তাড়িয়ে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের ঘোষণা দেয়ায় রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাট্টা হন অভিবাসী ল্যাটিনোরা। নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থে ট্রাম্পকে ঠেকাতে হিলারিকে বেছে নেন তারা। ল্যাটিনোদের অভূতপূর্ব সমর্থন পেলেও বিভিন্ন জনমত জরিপে হিলারি-ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দেয়া হয়েছে। তবে নির্বাচনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে রয়টার্স/ইপসোস-এর জরিপে দেখা গেছে, হিলারি ক্লিনটনের জয়ের সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। একাধিক জনমত জরিপে জরিপে এগিয়ে থাকার পর অভিবাসী ল্যাটিনোদের এমন ব্যাপক সমর্থনে উজ্জীবিত ডেমোক্র্যাট শিবির। বিপুল সংখ্যক অভিবাসীদের আগাম ভোটের খবরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। অনেকে লিখেছেন, অবশেষে ট্রাম্প তার নিজের দেয়াল দেখতে পাচ্ছেন।
ডেমোক্র্যাটিক অধ্যুষিত এলাকায় চাকরি, ব্যবসাসহ নানা ইস্যুতে শ্বেতাঙ্গদের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মিশিগানের মতো অঙ্গরাজ্য, যেখানে ১৯৮৮ সাল থেকে কোনও রিপাবলিকান প্রার্থী জয়ী হননি, সেখানে ট্রাম্পের অবস্থান বেশ পোক্ত। ট্রাম্প ক্রমাগত হিলারির সঙ্গে ব্যবধান আরও কমিয়ে আনছেন। শেষ মুহূর্তে এ ব্যবধান আরও কমিয়ে আনতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ট্রাম্প শিবির। ফিলাডেলফিয়ায় সর্বশেষ নির্বাচনি সমাবেশের আগে গত সোমবার বিকেলে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে সঙ্গে নিয়ে মিশিগানের সমাবেশে যোগ দেন হিলারি ক্লিনটন। অন্যদিকে ভোট দিতে নিউ ইয়র্কে ফেরার আগে মিশিগানের ছুটে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। উদ্দেশ্য ডেমোক্র্যাটদের ঘাঁটিতে হানা দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনা। শেষ মুহূর্তে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেও অভিবাসীবিরোধী বক্তব্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিবাসী ভোটারের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির মোট ভোটারের ১২ শতাংশ বা পৌনে চার কোটি হচ্ছেন ল্যাটিনো ভোটার। মোট ভোটারের তুলনায় এ সংখ্যা কম হলেও এবারের নির্বাচনে ল্যাটিনোদের বড় করে দেখা হচ্ছে। কারণ ফ্লোরিডা, জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনার মতো তিনটি ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যে ল্যাটিনো ভোটাররা যেভাবে আগাম ভোট দিয়েছেন তাতে হতাশ হয়ে পড়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবির। ল্যাটিনোরা সাধারণত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভোটার। ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ঝুলিতে ৭১ শতাংশ ল্যাটিনো ভোট পড়ে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির মিট রমনির পক্ষে গিয়েছিল মাত্র ২৭ শতাংশ ভোট। কিন্তু অভিবাসনবিরোধী প্রচারণা চালানো ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাগ্যে এবার তাও জুটবে না বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। হিলারি ক্লিনটনের বক্তব্যে অবশ্য অভিবাসীদের প্রতি সমর্থনের ছাপ স্পষ্ট। তার ভাষায়, এই নির্বাচন আমাদের মূল্যবোধের একটা পরীক্ষা। আমি জানি বিপুল সংখ্যক মানুষ হতাশা বোধ করছেন। এখানে ভীতি কাজ করছে। তাদের (ট্রাম্প শিবির) প্রচারণায় এই বিচ্ছেদ, বিভাজন আরও খারাপের দিকে গেছে। আমরা লোকজনের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা এই দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬ বছরের একজন রেস্তোরাঁ শ্রমিক গার্সিয়া। তিনি বলেন, অন্য নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচন খুব ব্যক্তিগত। আমার মত প্রকাশের যে ক্ষমতা আছে, তাতে এমন ব্যক্তিকে ভোট দেব; যারা এসব (সীমান্তে দেয়াল) করবে না। দ্য গার্ডিয়ান, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, পলিটিকো, সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সর্বাধিকসংখ্যক আগাম ভোট প্রদানের রেকর্ড
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ