মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহ্যের সরাসরি ভোটে বিজয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ২ ভোটে এগিয়ে থেকে বিজয়ী হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিটে ডিক্সভিল নচ ভোট কেন্দ্রে ৮ জন নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নিউ হ্যামশেয়ারের সর্ব উত্তরের প্রান্তিক ভোট কেন্দ্রে ঐতিহ্যগত ৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই ভোটের মধ্যে হিলারি ক্লিনটন পেয়েছেন ৪ ভোট, ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২ ভোট এবং গের জনসন পেয়েছেন ১ ভোট। অবশিষ্ট ভোটটি দেয়া হয়েছে গতবারের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিট রমনীকে। ডিস্কভির নচে ১৯৪৮ সাল থেকেই অন্যান্য রাজ্য থেকে আলাদা সময়ে ভোট দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। ওয়েবসাইট।
ভোটবঞ্চিত ৬০ লাখ
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না প্রায় ৬০ লাখ মার্কিনি। ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে বয়সের শর্ত পূরণ হলেও দেশটির মোট ভোটারের প্রতি ৪০ জনে একজন এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না। লঘু কোনো অপরাধে দ-িত হয়ে এক বছরের অধিক সময়ের জন্য কারাবাসে থাকা এসব নাগরিক এবারের নির্বাচনে ভোট দেয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের নিজস্ব আইন দেশটির অপরাধী ও সাবেক অপরাধীদের ভোটের অধিকার সংরক্ষণ করে। আল জাজিরা।
১৩ কোটি ডলার বাজি
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের চলতি নির্বাচনে সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থীকে নিয়ে বাজিতে মেতে উঠেছে অনেকে। এবারকার বাজিতে রেকর্ড পরিমাণ অর্থের ছড়াছড়ি চলছে। প্রোয় ১৩ কোটি ডলারের জুয়া চলেছে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা নিয়ে। বেটফেয়ারের মুখপাত্র নাওমি টোটেন বলেন, এর আগে ব্রেক্সিট নিয়ে জুয়ার অর্থের পরিমাণ ছিল ১৫৯ মিলিয়ন ডলার। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বেটফেয়ার দাবি করেছে, ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারেন। এমনই আরেক জুয়ার প্ল্যাটফর্ম প্রেডিক্টইট দাবি করেছে, হিলারির জয়ের সম্ভাবনা ৮১ শতাংশ। এনডিটিভি।
গাধা-হাতির গল্প
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচনী প্রতীক গাধা ও রিপাবলিকানদের প্রতীক হাতি। এক সময় রাজনৈতিক কার্টুন রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। গাধা প্রতীকটি প্রথম ব্যবহার করেন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসন। নির্বাচনের সময় তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে জ্যাকঅ্যাস অর্থাৎ গাধা বলে ডাকা শুরু করেন। জ্যাকসন নামটি পছন্দ করেন এবং গাধাকে তিনি নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করেন। পরবর্তী সময়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্য নেতাদেরও প্রতীক হয়ে ওঠে গাধা। ১৮৭৪ সালে থমাস ন্যাস্ট নামের একজন কার্টুনিস্ট হাতিকে রিপাবলিকানদের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন। আর তা লুফে নেয় রিপাবলিকান পার্টিও। সেই থেকে নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের নির্বাচনী প্রতীক গাধা আর রিপাবলিকানদের প্রতীক হাতি। ওয়েবসাইট।
ভোট ও ভোটার
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি রাজ্যে ১৮ বছরের বেশি বয়সী নারী-পুরুষ সবাই ভোটার। জর্জ ওয়াশিংটন প্রথম প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময়ে মাত্র ছয় শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তখন দেশটিতে ছিল মাত্র ১৩টি রাজ্য। ২১ বছরের বেশি বয়সী পুরুষরাই ভোট দিতে পারতেন। এখন নারী-পুরুষ সবাই ভোটার। ১৮ বছর পূর্ণ হলেই ভোট দিতে পারবে। অপরদিকে, প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৩৫ বছর। সিনেটরের বয়স কমপক্ষে ৩০ বছর আর নি¤œকক্ষের রিপ্রেজেন্টেটিভ হতে বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২৫ বছর। প্রতি চার বছর পরপর নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পরের মঙ্গলবারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়ে থাকে। ওয়েবসাইট।
মহাকাশ থেকে ভোট
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন মহাকাশচারী শেন কিমব্রো। নাসা জানিয়েছে, আপাতত কিমব্রোই একমাত্র মার্কিন মহাকাশচারী, যিনি মহাকাশ স্টেশনে রয়েছেন। তাই সেখান থেকেই নিজের ভোট দিচ্ছেন তিনি। রুশ সয়ুজ রকেটে করে ১৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান কিমব্রো। আরও ২ রুশ মহাকাশচারীর সঙ্গে তাঁর এখানে ৪ মাস কাটানোর কথা। টেক্সাসের আইন অনুযায়ী ১৯৯৭ সাল থেকে মার্কিন মহাকাশচারীরা আকাশ থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। মহাশূন্য থেকে ভোট দেওয়া প্রথম মার্কিন মহাকাশচারী হলেন ডেভিড উলফ। রয়টার্স।
ওহাইওর ভূমিকা
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কিছু কিছু অঞ্চল ভয়ানক ভূমিকা পালন করে। তার মধ্যে অন্যতম একটি রাজ্য হচ্ছে ওহাইও। একমাত্র হতভাগা জনএফ কেনেডি ছাড়া গত ৫৬ বছরে যিনি এ রাজ্যে জিতেছেন তিনিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। তবে এবার বিশ্লেষকের মতে ওহাইওতে হিলারির জেতার সম্ভাবনা বেশি। কারণ এই রাজ্যে শ্বেতাঙ্গ ভোটার বেশি, যাদের ইতিমধ্যে আস্থায় নিয়ে নিয়েছেন হিলারী। কিন্তু এখানকার মানুষের বৈশিষ্ট্য হলো যিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হন তাকেই তারা ভোট দেন। আগে তারা দেখেন ভোটের হাওয়া কার দিকে। অর্থাৎ এ রাজ্যের ভোটররা নিজেদের পছন্দের চেয়ে অন্য রাজ্যের জনমতকেই বেশি গুরুত্ব দেন। এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।