মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে একটা নতুন রাষ্ট্র তৈরি করতে চাইলে আপনাকে ঠিক কী করতে হবে? প্রশ্ন পড়ে আজব মনে হলে এর উত্তর আরও উদ্ভট লাগতে পারে। আসলে এর জবাব হল, আপনাকে একটা আস্ত দ্বীপ কিনতে হবে!
এতটা জানার পর বিষয়টা অদ্ভূতুড়ে বলে মনে হলেও বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলছে। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে দ্বীপ কিনে নতুন রাষ্ট্র তৈরি করে ফেলেছে একটি গোষ্ঠী। শুধুমাত্র এখানেই থেমে থাকেনি তারা। রাষ্ট্র গঠনের পর সেই নতুন দেশের জন্য নিজস্ব জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, আলাদা সরকার এবং গুপ্ত পুলিশবাহিনীও তৈরি করা হয়েছে! আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে শোরগোল।
কফি কায়ে নামে এই দ্বীপটির বিস্তার মাত্র ১.২ একর জমিতে। বেলাইজ উপকূল সংলগ্ন এই দ্বীপ নাকি স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরপুর। অধিকাংশ মানুষ এই দ্বীপকে প্রিন্সিপ্যালিটি অব আইল্যান্ডিয়া নামেই চেনে। আকাশ থেকে দেখলে এই দ্বীপটিকে অনেক কফির বীজের মতো দেখতে লাগে। সেই কারণেই এর ডাকনাম কফি কায়ে। গোটা দ্বীপটা হেঁটে ঘুরে বেড়াতে পুরো একঘণ্টা সময়ও লাগে না। তবে আকারে ছোট হলে কী হবে! পুঁচকে এই দ্বীপই বিশ্বের অন্যতম ছোট্ট দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। এমনকী, এই দ্বীপের তথাকথিত প্রশাসন নিজেদের স্বাধীনতারও ডাক দিয়েছে।
তথ্য বলছে, এই ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০১৮ সালে। লেটস বাই এন আইল্যান্ড (চলুন, একটি দ্বীপ কিনি) নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। তার আওতায় একটি দ্বীপ কেনার জন্য আমজনতার কাছ থেকে টাকা তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্পের ভাঁড়ারে জমা পড়ে ১ লাখ ৯০ হাজার পাউন্ডেরও বেশি! এই টাকাতেই পরবর্তীতে কফি কায়ে দ্বীপটিকে কেনা হয়। বেলাইজ শহর থেকে যার দূরত্ব জলপথে মাত্র ১৫ মিনিট।
এই প্রসঙ্গে লেটস বাই এন আইল্যান্ড প্রকল্পের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্শাল মায়ের বলেন, "একটি দ্বীপ কিনতে কে চাইবে না বলুন তো? একবার ভেবে দেখুন, আপনার রোজগারের টাকায় আপনি একটি দ্বীপ কিনলেন! এমন একটি ভাবনাই আপনাকে আনন্দ দেবে!" মার্শাল জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়া ২০১৮ সালে শুরু হলেও এ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছিল প্রায় ১৫ বছর আগে। লেটস বাই এন আইল্যান্ড-এর আর এক প্রতিষ্ঠাতা জ্যারেথ জনসনের মাথায় প্রথম এই দ্বীপ কেনার বিষয়টি আসে। কিন্তু, সেই সময় সকলেই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করেছিলেন।
কিন্তু, পরে বোঝা যায়, একটি দ্বীপ কেনার ভাবনা মোটেই কোনও কষ্টকল্পনা নয়। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও সদিচ্ছা থাকলে এই ভাবনা বাস্তবায়িত করা অন্য বিভিন্ন কাজের তুলনায় অনেক বেশি সহজ। আর সেটাই করে দেখিয়েছে লেটস বাই এন আইল্যান্ড প্রকল্প। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।