Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কিয়েভে মস্কোর চূড়ান্ত অভিযান আসন্ন

সুইফট থেকে রাশিয়াকে বাদ দেয়া বিপজ্জনক, হুঁশিয়ারি জার্মান ব্যাংকের পুতিন ধারণার চেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২২, ১২:০৬ এএম

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের ১৭তম দিনে বিশাল রুশ সেনাদল এবং সাঁজোয়া বহর এখন ক্রমশ রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ব্রিটেনের গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, বেশিরভাগ রুশ সেনা এখন রাজধানী কিয়েভের কেন্দ্র থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে। এদিকে, জার্মানির বৃহত্তম ঋণদাতা সতর্ক করেছে যে, আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম সুইফট থেকে রাশিয়াকে বাদ দেয়া একটি অর্থনৈতিক ‘বিপদ’ সৃষ্টি করবে।

রাশিয়ার সেনাদের ছোট ছোট কিছু অগ্রবর্তী দল কিয়েভের আরও কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা ইউক্রেনের বাহিনীর দিক থেকে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে। স্যাটেলাইটে তোলা ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, রুশ রকেট লঞ্চারগুলো এখন কিয়েভের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুর দিকে তাক করা। ভারী গোলাবর্ষণের শব্দও শোনা যাচ্ছে। ইউক্রেনের একজন এমপি বিবিসিকে বলেছেন, রুশ আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য কিয়েভের মানুষ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং রুশরা শহরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।

কিয়েভের দক্ষিণে ইউক্রেনের একটি সামরিক বিমান ক্ষেত্রের ওপর রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ভাসিলকিভ শহরের মেয়র জানিয়েছেন, এই হামলায় রানওয়ে এবং তেলের ডিপো ধ্বংস হয়ে গেছে, একই সঙ্গে পাশে অস্ত্র এবং গোলাবারুদের গুদামেও বিস্ফোরণ ঘটেছে। ইউক্রেনের আরেকটি উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভ এখনো অবরুদ্ধ, সেখানে তীব্র গোলাবর্ষণ হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। শহরে কোন পানির সরবরাহ নেই, একটি অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলেভ, যেটি রুশ অধিকৃত শহর খেরসান এবং ইউক্রেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ওডেসার মাঝামাঝি, সেখানেও তীব্র গোলাবর্ষণ চলছে।

ইউক্রেনের সরকার বলছে, শনিবার কয়েকটি মানবিক ত্রাণ করিডোর খোলা যাবে বলে তারা আশা করছে, যাতে বিভিন্ন শহরের রুশ বোমা হামলার মুখে থাকা লোকজন যে পালাতে পারে। ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক জানিয়েছেন, এসব শহর থেকে মানুষকে উদ্ধারের বিষয়টি নির্ভর করবে রাশিয়া যুদ্ধবিরতি মেনে চলে কীনা, তার ওপর। বিবিসির সংবাদদাতা জেমস ওয়াটারহাউজ বলছেন, রাজধানী কিয়েভের উত্তরে এখন ক্রমাগত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। বেশিরভাগ রুশ সেনা সেদিকেই জড়ো হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, বেশিরভাগ রুশ সেনা এখন কিয়েভের উপকণ্ঠ পর্যন্ত চলে এসেছে।

ইউক্রেনের সামরিক অধিনায়কদের আশঙ্কা, রুশ সেনারা কিয়েভের ওপর অনেক ব্যাপক এবং পূর্ণাঙ্গ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই সঙ্গে তারা শহরটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করবে, যেটি তারা অন্যান্য শহরের ক্ষেত্রেও করেছে। তবে সেরকম সক্ষমতা রাশিয়ার বাহিনীর আছে কীনা, সেটা স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনের অন্যান্য শহরের মতো এখানেও রুশ বাহিনী তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ছে।

বিবিসির নিরাপত্তা সংবাদদাতা ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন যে ক্রমশ অধৈর্য হয়ে উঠছেন, সেটা স্পষ্ট। এবং রাশিয়া যে এই সংঘাতের নতুন একটা পর্যায়ে প্রবেশ করছে, সেটাও স্পষ্ট। কারণ কিয়েভকে ঘিরে তারা বিপুল সমরাস্ত্র জড়ো করেছে- আর্টিলারি, রকেট লঞ্চার, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র- সব ধরণের সমরাস্ত্র। ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, রাশিয়া কীভাবে লড়াই করবে, তার ইঙ্গিত পেতে তাকাতে হবে অতীতে চেচনিয়ার গ্রোজনি বা সিরিয়ার আলেপ্পোতে তারা কী ধরণের কৌশল নিয়েছিল, সেদিকে। এই দুটি শহর দখলের জন্য রুশ সেনাদের প্রতিটি রাস্তায় লড়াই করতে হয়েছে, কিন্তু এর ফলে দুটি শহরই কার্যত মাটিতে মিশে গিয়েছিল।

প্রশ্ন হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন কি কিয়েভে সেটা করবেন? ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, এটা বলা কঠিন। কারণ কিয়েভ শুধু ইউক্রেনের রাজধানী নয়, এই শহর প্রাচীন রুশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসের অংশ, যখন মস্কো বলে কোন শহরের অস্তিত্বই ছিল না, তখন এই কিয়েভই ছিল রুশ সাম্রাজ্যের রাজধানী। প্রেসিডেন্ট পুতিন যদি কিয়েভ ধ্বংস করে ফেলেন, সেটা রাশিয়ার মানুষ ভালোভাবে নেবে না। তবে ফ্রাংক গার্ডনারের বিশ্বাস, ইউক্রেন দখলের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন কোন কিছুই বাদ রাখবেন না। ইউক্রেন ন্যাটো বা ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিচ্ছে, এটা দেখার চাইতে তিনি বরং তার প্রতিবেশী দেশকে ধ্বংসস্ত‚পে পরিণত হওয়াও মেনে নেবেন। তবে ন্যাটোর সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল রোজ গোটেমোয়েলার বিবিসিকে বলেছেন, কিয়েভে রাশিয়ার সৈন্যরা সেরকম বড় কোন সাফল্য পাবে কীনা, সেটা নিয়ে তার সংশয় আছে।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া যে এখন সিরিয়া থেকে ভাড়াটে যোদ্ধা আনার চেষ্টা করছে, সেটাও প্রমাণ করে, রাশিয়া এই অভিযানে কত বর্বর একটা কৌশল নিয়েছে। রাশিয়া বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে ১৬ হাজার যোদ্ধা আছে, যারা রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা এদের মধ্যে অনেক সিরিয়ান আছে, যারা শহরের গেরিলা লড়াইয়ে বেশ দক্ষ। রোজ গোটেমোয়েলার বলছেন, ‘এগুলো আসলে চরমপন্থি গোষ্ঠী, সিরিয়ায় লড়াই করছিল এরকম লোকজন। যুদ্ধে লিপ্ত সবচেয়ে সহিংস কিছু চরমপন্থি দল।’

এদিকে, জার্মানির রাষ্ট্রীয় ডয়েচে ব্যাংক শুক্রবার একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা যুক্তি দিয়ে বলেছে যে, ‘রাশিয়াকে সুইফট থেকে নিষিদ্ধ করা বাণিজ্যকে জটিল করে তুলবে ও অস্থিরতা বাড়িয়ে দেবে’ এবং ‘প্রতিদ্ব›দ্বী মেসেজিং নেটওয়ার্ক এবং অর্থপ্রদানের পদ্ধতির সম্প্রসারণকে বাধা দিতে পারে যা নিষেধাজ্ঞাগুলোকে অতিক্রম করে যেতে পারে’। ‘দীর্ঘমেয়াদে একটি বিপদ লুকিয়ে থাকতে পারে - পশ্চিমা মিত্রদের সাথে অসন্তুষ্ট দেশগুলো তাদের আর্থিক আধিপত্যকে নমনীয় করে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন অবকাঠামো সহ একটি প্রতিদ্ব›দ্বী ব্যবস্থা স্থাপন করতে একত্রিত হতে পারে,’ রিপোর্টের লেখক, মেরিয়ন লেবার বলেছেন।

ব্যাংক আগে স্বাধীন গবেষণা প্রতিবেদনের একটি লিংক টুইট করে লিখেছিল যে, ‘সুইফট থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করা বাণিজ্যকে জটিল করে তুলবে এবং বিভ্রান্তি বাড়িয়ে দেবে।’ পরে এটি মুছে ফেলা হয়। রাশিয়ার বৃহত্তম ব্যাংকে সিস্টেমের বাইরে লক করার প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করার জন্য জার্মানির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার কয়েকদিন পরে এই প্রতিবেদনটি আসে। এই সপ্তাহে বার্লিন রাষ্ট্র-সমর্থিত ঋণদাতা এসবারব্যাংককে ব্যাঙ্কিং সিস্টেম থেকে বের করে দেয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনার দিকে পিছিয়ে যাচ্ছে, কর্মকর্তারা বøুমবার্গকে জানিয়েছেন। কিয়েভ গত মাসে বলেছিল যে, ইউরোপ সুইফটে রাশিয়ার প্রবেশাধিকার সীমিত করতে ব্যর্থ হলে তার পশ্চিমা মিত্রদের হাতে নিরীহ ইউক্রেনীয়দের রক্ত থাকবে। বিশ্বের প্রধান পেমেন্ট ক্লিয়ারিং সিস্টেম বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক লেনদেনকে আন্ডারপিন করে এবং বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পশ্চিমা দেশগুলো তখন থেকে সুইফট থেকে কিছু রাশিয়ান ব্যাংক সরিয়ে দিয়েছে, এই আশঙ্কা সত্তে¡ও যে সিস্টেমটিকে অর্থনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা ইউরোপের জন্যও ব্যয়বহুল হতে পারে। শক্তি-সম্পর্কিত লেনদেন রক্ষা করার সিদ্ধান্তের অংশ হিসাবে এসবারব্যাংককে প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। বার্লিন দীর্ঘদিন ধরে সতর্কতা অবলম্বন করেছে, প্রাথমিকভাবে এই ভয়ে যে সুইফট থেকে রাশিয়াকে জোর করে বের করে দিলে জার্মানি রাশিয়ান গ্যাসের জন্য অর্থ প্রদান করতে অক্ষম হয়ে যাবে। বøুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় জার্মানি তার উদ্বেগের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। চ্যান্সেলর, ওলাফ শলৎজ, প্রকাশ্যে রাশিয়ার জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছেন, বলেছেন যে তেল ও গ্যাস সরবরাহ ‘অত্যাবশ্যকীয় গুরুত্ব’।

পুতিন ধারণার চেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেন : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো যে কেউ ভেবেছিল তার থেকে অনেক বেশি এবং তাৎক্ষণিক ও গভীর প্রভাব ফেলেছে। কেবল রাশিয়ান অর্থনীতিতে নয়, লাখ লাখ মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও।

রাশিয়ার সচ্ছল মধ্যবিত্ত এবং অভিজাতদের জন্য উৎসব ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে, তাদের সঞ্চয়ের অবমূল্যায়ন হয়েছে এবং তাদের আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করার ক্ষমতা বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি দেশের শ্রমজীবী লক্ষাধিক মানুষের জন্যও, সোভিয়েত যুগের কঠোরতা প্রায় নিশ্চিতভাবেই অপেক্ষা করছে, দেশের বিরুদ্ধে যে অর্থনৈতিক যুদ্ধ চালানো হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে। তবে যারা আশা করছেন যে, নিষেধাজ্ঞাগুলো দ্রুত পুতিনকে পতন ঘটাবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন তারা ভুল। যে ধরণের জনপ্রিয় অভ্যুত্থান লোহার পর্দা ভেঙ্গে ফেলার জন্য কয়েক বছর প্রয়োজন তা রাশিয়ায় সম্ভব নয়। কারণ, এই মুহ‚র্তে অন্তত ৭০ শতাংশ রাশিয়ান সরকারী জরিপ অনুসারে ইউক্রেনে অভিয়ানকে সমর্থন করে। সম্ভবত আরও আশ্চর্যজনক, ক্রেমলিনোলজিস্টরা বলছেন, পুতিনকে ঘিরে থাকা ব্যবসায়িক এবং নিরাপত্তার অভিজাতরা (অলিগার্ক) হঠাৎ করেই তাকে আক্রমণ করবে এই ধারণাটিও ত্রুটিপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, তারা যে আর্থিক ঝড়ের মুখোমুখি হয়েছে তা অনেককে পুতিনের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।

‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশপ্রেমের স্ট্যাটাস সিম্বল ছিল। কিন্তু এখন এটি একটি প্রয়োজনীয়তা। আপনি যদি এটিতে না থাকেন তবে এটি সন্দেহজনক,’ একজন রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় ব্যাংকার গত সপ্তাহে ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন। ‘চৌকস অলিগার্করা বুঝতে পারে যে এখানে কীভাবে কাজ করে এবং তারা বোকা নয়,’ যোগ করেছেন ক্রেমলিনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা, ‘যারা এটা পছন্দ করে না তারা দেশের বাইরে, বা কারাগারে।’ পুতিনের ‘জয়ী জোট’ মোটামুটিভাবে অভিজাতদের দুটি গ্রুপ নিয়ে গঠিত: অলিগার্ক এবং ক্ষমতাবান, টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং স্বৈরাচারী শাসনের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ওলগা চিজ বলেছেন। এখানে মূল গোষ্ঠীগুলোর একটি রান ডাউন এবং তার বিরুদ্ধে যাওয়ার সম্ভাবনা কম - অন্তত স্বল্প মেয়াদে।

‘ব্যবহারিকভাবে সমস্ত সম্পদ (যেগুলো) অলিগার্করা পরিচালনা করেন - পুরো শিল্প - শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের অন্তর্গত, এবং বর্তমানে রাষ্ট্রটি পুতিন,’ অধ্যাপক চাইজ বলেছেন, ‘পুতিন হলেন চ‚ড়ান্ত সালিস, অলিগার্করা কেবলমাত্র প্রতিদিনের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধানে অর্পিত পরিচালক।’ দ্বিতীয়ত, অলিগার্ক এবং রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক একমুখী - তারা পরিচালনা করে, পুতিন নিয়ম। তাদের কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতা নেই। তাদের নিয়ন্ত্রণ কঠোরভাবে অর্থনৈতিক এবং এটি ভালভাবে বোঝা যায়’, প্রফেসর চাইজ বলেছেন।

স্বল্প মেয়াদে, বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন অলিগার্ক এবং ক্ষমতাবান উভয়কেই পুতিনের আরও কাছে ঠেলে দেয়া হবে। এখানেই তাদের তাৎক্ষণিক স্বার্থ লুকিয়ে থাকে এবং অধিকাংশের জন্যই সহজ বা সুস্পষ্ট পালানোর পথ নেই। ‘অলিগার্কদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ সমাধান - এবং অনেকেই এই পথটি নিয়েছেন - হল ব্যান্ডওয়াগনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়া, রাশিয়ার রাজনীতিতে আক্রমণাত্মক-দমনমূলক দিককে আলিঙ্গন করা, কোরাসে যোগ দেয়া,’ বলেছেন অধ্যাপক চিজ। যদিও তিনি কিছু ‘সিলভার লাইনিং’ দেখতে পান। অলিগার্করা তাদের বৃহত্তর আর্থিক ক্ষমতার জন্য পুতিনের সরাসরি অ্যাক্সেসের উপর নির্ভর করে - অন্যান্য ব্যবসায়ী এবং ব্যবসার গ্যারান্টি দেয়ার ক্ষমতা যে তারা সেই লেনদেন এবং চুক্তিগুলোর সাথে অংশীদার হবেন তা সম্মানিত হবে। কিন্তু নিরাপত্তা রাষ্ট্রের কণ্ঠস্বর ও শক্তি যতই শক্তিশালী হচ্ছে, ততই এই শক্তি ক্ষয় হতে শুরু করেছে। অধিকন্তু, পুতিন ছাড়া, অলিগার্ক শ্রেণী সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হতে পারে। সূত্র : বিবিসি, বøুমবার্গ, দ্য টেলিগ্রাফ।



 

Show all comments
  • Moniruzzaman Khan ১৩ মার্চ, ২০২২, ৭:০৬ এএম says : 0
    রাশিয়ান সেনারা ত কিয়েভে শ্বশুর বাড়ি বেরাতে আসে নাই , বাধা আসলে ত দুই পক্ষই ধংসাত্বক পরিনতিতে আগাবে । রাশিয়ার কিয়েভ দখল আমেরিকার বাগদাদ বা কাবুল দখল থেকে কঠিন হবে , কারন রাশিয়া নিরবিচারে বোমাহামলা করতে পারবে না যেহেতু অনেক রাশিয়ান জাতিগোষ্ঠীর লোক সেখানে, তারা হতাহত হবে । আমেরিকার ঐ টেনশন ছিল না , সবাই এক । রাশিয়ার এ দুর্বলতার জন্য ইউক্রেন ও পশ্চিমারা মানব ঢাল ব্যবহার করেছে , লোকজন যাতে শহর ছেরে যেতে না পারে সে চেষ্টা করেছে , অদিকে রাশিয়া চেষ্টা করেছে যাতে লোকজন শহর ছেরে চলে জেতে পারে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Sabbir Ahmed ১৩ মার্চ, ২০২২, ৭:০৭ এএম says : 0
    বর্তমান বিশ্বের ঘটনাবলীতে প্রমাণিত হয়েছে যে একটি দেশের সম্মান, গৌরব, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা বাইরের কোনো শক্তির ওপর নির্ভরশীল থেকে অর্জন করা যায় না। বর্তমান বিশ্বে শক্তি হচ্ছে মূল কথা এবং শক্তি ছাড়া কোনো আগ্রাসন মোকাবেলা করা যায় না। জুকার স্বার্মথের বাইরে ফুটানি করে নিজদেশে অনেকের মৃত্যুর কারন হয়েছে। যুদ্ধের শক্তি নেই, আবার আত্মসমর্পণ করতে দেরি করে। নিরিহ নাগরিকদের মৃত্যুর জন্য দায়ী।
    Total Reply(0) Reply
  • Foysal Hasan ১৩ মার্চ, ২০২২, ৭:০৭ এএম says : 0
    দুর্বল ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা প্রমান করে কোন দেশ না চাইলেও তাকে যুদ্ধ করতে হয় পতিপক্ষ যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে।ইউক্রেন যদি রাশিয়ার কথা অন্ধ বিশ্বাস না করে ২০বছর দরে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিত । তাহলে রাশিয়া আজ ইউক্রে হামলা করা সাহস পেত না।ইউক্রেনের যদি রাশিয়াতে হামলা করার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকত তাহলে। তাহলে রাশিয়া হামলা করনা।বাংলাদেশ উচিৎ ইউক্রেনের পরিনতি থেকে শিক্ষা নিয়ে।ভারতে বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা
    Total Reply(0) Reply
  • Shahjahan Bikram ১৩ মার্চ, ২০২২, ৭:০৮ এএম says : 0
    · হতে পারে আজ কালকের মধ্যেই। কিয়েব দখল করবে রাশিয়া। কিয়েবে রুশ বাহিনী মানবতা দেখাবে না হামলার ক্ষেত্রে।
    Total Reply(0) Reply
  • Sadir Pathan ১৩ মার্চ, ২০২২, ৭:০৮ এএম says : 0
    তবে আমি মনে করি,যত তাড়াতাড়ি কিয়েভ দখল করবে,তত প্রাণ হানি কমে আসবে এবং যুদ্ধ ও সমাপ্তি দিকে চলে আসবে,কারন মিঃ পুতিন কিছুতেই পিচপা হবে না,তাই যুদ্ধ যত দীর্ঘ মেয়েদী হবে তত প্রাণ হানি ও বাড়বে,
    Total Reply(0) Reply
  • এন ইসলাম ১৩ মার্চ, ২০২২, ৯:৩২ এএম says : 0
    যে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া নিয়ে একতরফাভাবে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়াচ্ছিলো, তারাই এখন রাশিয়ার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে । জেলনস্কিতো এমন বক্তব্য দিচ্ছে, যেন যুদ্ধে জিতেই গিয়েছে । তারা স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিচ্ছে যুদ্ধে, স্পাইডার ওয়ালীর মতো কসাইকেও নিয়ে আসছে । অথচ রাশিয়ার পক্ষের স্বেচ্ছাসেবকরা পশ্চিমা মিডিয়ার ভাষায় "ভাড়াটে", "সন্ত্রাসী গোষ্ঠি" । রাশিয়া মূলতঃ সাধারন মানুষের প্রাণহানী এড়াতে চাচ্ছে, যেটা পশ্চিমারা কখনোই করেনি, কারণ মুসলিম বা অশ্বেতাঙ্গরা তাদের দৃষ্টিতে মানুষই নয়, এদের প্রাণের কোন মূল্য নেই তাদের কাছে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Abdul Karim ১৩ মার্চ, ২০২২, ৯:৫৬ এএম says : 0
    early termination of war save the life
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ