মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের সিরসা এলাকা থেকে উদ্ভূত একটি 'উড়ন্তবস্তু' পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার পর শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ভারতের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন। একটি বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেছেন, যে উড়ন্তবস্তুর দ্বারা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করা হয়েছে।এবং ঘটনার পিছনে আসল উদ্দেশ্যগুলি তদন্ত করা হচ্ছে।–ট্রিবিউন, দ্য প্রিন্ট
তিনি বলেন, ভারত দ্বিতীয়বার পূর্বের ন্যায় পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে।সেজন্য ভারতীয় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরে তলব করা হয়েছে। ভারতকে এর জন্য দায়বদ্ধ থাকতে হবে এবং তাদের ব্যাখ্যার পরে পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তিনি যোগ করেছেন যে ভারতীয় পদক্ষেপটি আক্রমনাত্মক এবং 'প্রযুক্তিগত ব্যর্থতা' নয়। তিনি ভারতের পদক্ষেপকে 'উদ্বেগজনক' বলে দাবি করে স্মরণ করিয়ে দেন, পাকিস্তান ২০১৯ সালে একটি বিচক্ষণ প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল" ছিলেন। এফএম কোরেশি আরও বলেছিলেন যে, বিদেশী দেশগুলির প্রতিনিধিদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হবে। তিনি আশা করেন যে, বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নোট করবে।
দেশটির শীর্ষ এই কূটনীতিক বলেছেন যে, পাকিস্তান গতকাল নিজেকে রক্ষা করেছে এবং তা অব্যাহত রাখবে। তিনি ভারতে সংখ্যালঘুদের সাথে বিরূপ আচরণ উদ্বেগজনক বলেও উল্লেখ করেন। ভারতীয় 'সুপার-সনিক ফ্লাইং অবজেক্ট' তার আকাশ সীমা অকারণ লঙ্ঘনের বিষয়ে পাকিস্তানের তীব্র আপত্তি জানাতে পাকিস্তান শুক্রবার ভারতের চার্জ দ্য' অ্যাফেয়ার্সকে এফও-তে তলব করেছে। এক বিবৃতিতে,পররাষ্ঠ্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আসিম ইফতিখার আহমেদ বলেছেন যে, ক্ষেপণাস্ত্রটি বুধবার সন্ধ্যা ৬:৪৩মিনিটে ভারতের সুরাতগড় থেকে পাকিস্তানে প্রবেশ করে এবং সন্ধ্যা ৬:৫০মিনিটে মিয়াচুন্নু শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয়, যা বেসামরিক সম্পত্তির ক্ষতি করেছে।ভারতীয় কূটনীতিককে বলা হয়েছিল যে, বস্তুটির নির্বিচারে উৎক্ষেপণ কেবল বেসামরিক সম্পত্তির ক্ষতিই করেনি বরং মানুষের জীবনকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
তিনি আরও বলেন, উড়ন্ত বস্তুর ফ্লাইটপাথ পাকিস্তানের আকাশসীমার মধ্যে বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকে বিপন্ন করেছে এবং এর ফলে একটি গুরুতর বিমান দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।এই ধরনের "দায়িত্বজ্ঞানহীন ঘটনা" আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি আকাশ নিরাপত্তার প্রতি ভারতের উপেক্ষা এবং নির্মমতার প্রতিফলনও করে। ইফতিখার এই ঘটনার একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন, যার ফলাফল অবশ্যই পাকিস্তানের সাথে শেয়ার করতে হবে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।