পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছারছীনা দরবার শরীফের গদ্দীনসীন পীর ছাহেব কেবলা আমীরে হিযবুল্লাহ্ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মাদ মোহেব্বুল্লাহ্ (মা.জি.আ.) বলেন, দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা কুতবুল আলম হযরত মাওলানা শাহ্সূফী নেছার উদ্দিন আহমদ (রহ.) অত্র মাহফিল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পথ হারা লোকদের হেদায়েত করা এবং সুন্নাত তরীকা পূনরুজ্জীবনের উদ্দেশ্যে। এজন্য তিনি এখানে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাসহ সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে ‘দারুস্সুন্নাত’ তথা (সুন্নাতের আলয়) নামটি যুক্ত করার প্রয়াস পান।
গতকাল বাদ মাগরিব ছারছীনা দরবার শরীফের তিনদিনব্যাপী মাহফিলের উদ্বোধনী বক্তব্যে হযরত পীর ছাহেব আরো বলেন, দেশের মানুষ যাতে নির্ধারিত দিনে এখানে উপস্থিত হয়ে জিকির-আজকার, তওবা-ইস্তেগফার, তা’লীম- তালকীন গ্রহণ এবং দীনী আলোচনা শুনে নিজের আমলী জিন্দেগী গঠন করে পরকালীন মুক্তির পথ সুগম করতে পারেন সে জন্যই তিনি এ মাহফিলের আয়োজন করেন।
হযরত পীর ছাহেব কেবলা করোনা মহামারীর এ সময়ে সকলকে মাস্ক পরিধান, নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখা ও ভীড় পরিহারের আহবান জানান। মাহফিলের ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯০৮ সালে ছারছীনা মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পর হতে আরম্ভ হয়ে অত্র মাহফিল নির্দিষ্ট তারিখেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। পূর্বে মাহফিলটি দুই দিন ব্যাপী হলেও মরহুম ওয়ালেদ ছাহেব কেবলা একদিন বর্ধিত করেন।
উল্লেখ্য, এই মাহফিল দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পীর কুত্বুল আলম শাহ্সূফী হযরত মাওলানা নেছার উদ্দীন আহমদ (রহ.) এর ৭০তম এবং তদীয় জানেসীন মুজাদ্দেদে যামান হযরত মাওলানা শাহ্ আবু জাফর মোহাম্মাদ ছালেহ (রহ.) এর ৩২তম এন্তেকাল বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঈছালে ছওয়াব এবং ছারছীনা মাদরাসার ১৩২তম বর্ষিক মাহফিল। বাদ মাগরিব জিকির, তা’লীমের পর কুরআন তিলাওয়াত ও মীলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অত:পর ছারছীনা দরবার শরীফের গদ্দীনসীন পীর ছাহেব কেবলা আমীরে হিযবুল্লাহ্ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মাদ মোহেব্বুল্লাহ্ (মা.জি.আ.) উদ্বোধনী ভাষণ ও মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের শুভ সূচনা হয়। তারপর গভীর রাত পর্যন্ত ছারছীনা দারুস্সুন্নাত কামিল মাদরাসা, ছারছীনা দারুস্সুন্নাত জামেয়ায়ে নেছারিয়া দীনিয়া ও ছারছীনা দারুস্সুন্নাত হাফেজী মাদরাসার ছাত্রগণ ক্বিরাত, হামদ-না’ত, দীনিয়া তারানা, মারছিয়া, হিযবুল্লাহ্ সঙ্গীত ও ওয়াজ-বক্তৃতায় অংশ গ্রহণ করেন।
মাহফিলের তিনদিন লাগাতার ওয়াজ-নসীহত, জিকির ও তা’লীম চলবে। আগামী ১৪ মার্চ সোমবার বাদ জোহর আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে তিনদিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল শেষ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।