নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে উইকেটের জন্য মাথা কুটে মরেছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। চার পেসারের পাশাপাশি মাত্র এক বিশেষজ্ঞ স্পিনার থাকায় রাওয়ালপিন্ডির মরা উইকেটে আরাম করে খেলেছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্সদের নিয়ে গড়া বিশ্বসেরা গতি আক্রমণ উইকেট নিতে পেরেছেন মাত্র একটি (পাকিস্তানের দুই ইনিংস মিলেই উইকেট পড়েছে মাত্র ৪টি)। একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার নাথান তেমন কিছু করতে পারেননি।
পাকিস্তান আবার দলে দুই স্পিনার খেলিয়ে সফল। অস্ট্রেলিয়া নিজেদের একমাত্র ইনিংসে অলআউট হয়েছিল। এর সাতটি উইকেটই পেয়েছেন দুই পাকিস্তানি স্পিনার নোমান আলী ও সাজিদ খান। বিশেষভাবে নোমানের কথা বলতেই হয়। ১০৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন এই স্পিনার। সব দেখেশুনে অস্ট্রেলিয়ার বোধোদয় হয়েছে, পাকিস্তানের স্পিনবান্ধব পিচে বাড়াতে হবে নিজেদের স্পিনশক্তি। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া করাচি টেস্টেই অভিষেক হতে যাচ্ছে লেগ স্পিনার মিচেল সোয়েপসনের। যে কারণে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন পেসার জশ হ্যাজলউড। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টা, ‘সোয়েপসন অনেক বেশি রোমাঞ্চিত ব্যাপারটা নিয়ে। সত্যি বলতে কী, আমরা সবাই ওর এই অর্জনে রোমাঞ্চিত। দুই বছর ধরে ও শুধু আমাদের হয়ে পানিই টেনে গেছে, না খেললেও আমাদের স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ সে। মূল একাদশে খেলার জন্য ও একদম প্রস্তুত। ওকে সুযোগ পেতে দেখে আমরা অনেক আনন্দিত।’
করাচির উইকেট স্পিনারদের সহায়তা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই অভিজ্ঞ অফ স্পিনার ন্যাথান লায়নের সঙ্গে একাদশে নেওয়া হয়েছে সোয়েপসনকে বলেও জানান কামিন্স, ‘এখানে উইকেট কিছুটা শুষ্ক এবং ঐতিহ্যগতভাবে স্পিনারদের জন্য কিছুটা সহায়ক।’
২০০৯ সালের পর এই প্রথম কোনো বিশেষজ্ঞ লেগ স্পিনার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন। শেন ওয়ার্ন বেঁচে থাকলে সোয়েপসনের অর্জনে গর্বিত হতেন, এটা নিশ্চিত! তার মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরই অস্ট্রেলিয়ার ৪৬৪তম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট ক্যাপ পাচ্ছেন আরেক লেগ স্পিনার। ওয়ার্নের অবসরের পর দ্বিতীয় ও ২০০৯ সালে ব্রাইস ম্যাকগেইনের পর প্রথম বিশেষজ্ঞ লেগ স্পিনার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট অভিষেক হচ্ছে সোয়েপসনের।
তবে এই আক্ষেপ নিয়ে হয়তো মরতে হতো না স্পিন লিজেন্ডকে। এর আগেও যে বেশ ক’বার দলে ডাক পেয়েছিলেন ২৮ বছর বয়সী সোয়েপসন। প্রথমবার তিনি টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পান ২০১৭ সালের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফরে। একই বছর বাংলাদেশ সফরের টেস্ট দলেও রাখা হয় তাকে। ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি একবারও। ২০২০ সালের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিডনি টেস্টে অভিষেকের কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যন্ত বেড়ে যায় তার অপেক্ষা। যেটির শেষ হচ্ছে আজ। তবে এবার পাকিস্তানেই স্বপ্নে ব্যাগি গ্রিন পেতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এখন পর্যন্ত সাতটি টি-টোয়েন্টি খেলা সোয়েপসন। ৫১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৩৪.৫৫ গড়ে ১৫৪ উইকেট নিয়ে এই পরীক্ষায় আগেই পাশ করেছেন এই লেগি। ইনিংসে পাঁচ উইকেট আছে চারবার, ম্যাচে ১০ উইকেটও যে আছে তার!
সোয়েপসনের অর্জনে অস্ট্রেলিয়ানরা যে কতটা গর্বিত, সেটা বোঝা গেছে স্টিভেন স্মিথের একটা টুইটে, যিনি নিজেও মাঝেমধ্যে লেগ স্পিন করে থাকেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে ব্যাপারটাই তুলে ধরেছেন স্মিথ, ‘অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে একজন লেগ স্পিনারের অভিষেক হচ্ছে- এমন ঘটনা বহুদিন দেখেনি কেউ। আগের লেগ স্পিনারটার চেয়ে (নিজেকে ইঙ্গিত করে) মিচ সোয়েপসন যে অনেক সফল হবে, তা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহই নেই। বন্ধু, তোমাকে শুভকামনা! তোমার সঙ্গে মাঠে নামার জন্য তর সইছে না আমার!’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।