Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছুটির দিনে খুলনার বইমেলায় তারুণ্যের ঢল

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০২২, ৭:২৬ পিএম

সাপ্তাহিক ছুটির দিন আজ শুক্রবার খুলনার অমর একুশে বইমেলায় সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় বিরাজ করছে। সন্ধ্যায় পুরো মেলা প্রাঙ্গণেই ক্রেতা, লেখক, দর্শনার্থীদের আনাগোনা। মেলায় উঠতি বয়সীদের সংখ্যাই বেশি। তারা ষ্টলে ষ্টলে ঘুরে বই কিনছেন। তরুণদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে থ্রিলার ও হরর জাতীয় বই। সায়েন্স ফিকশানের ক্রেতাও কম নয়। অপেক্ষাকৃত বয়স্করা কিনছেন উপন্যাস, গল্প ও কবিতার বই।

বইমেলায় সন্তান ও এক ভাগ্নিকে নিয়ে এসেছেন নগরীর খানাবাড়ি বালিকা উচ্চ বিকদ্যালয়ের শিক্ষিকা ডালিয়া আক্তার মিরা। তিনি জানালেন, নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে নিসাকে কিছু গল্প ও সায়েন্স ফিকশানের বই কিনে দেবেন। কলেজ পড়ুয়া ভাগ্নি মাঈশাকে কিনে দেবেন গল্পেন বই।
বই মেলায় এসেছেন বেসরকারি চাকুরিজীবী হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, কয়েকিন ধরে মেলায় আসবো আসবো করে আসা হয়নি। আজ ছুটির দিন তাই চলে এলাম। সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকবো।

বই মেলায় আসা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানালেন, ছুটির দিন বন্ধু বান্ধবীরা মিলে এসেছি। থাকব রাত ৮ টা পর্যন্ত। কিছু বই কিনব। পছন্দের তালিকায় রয়েছে ভ্রমন ও সায়েন্স ফিকশান জাতীয় বই।
কয়েকজন বিক্রেতা জানালেন, প্রথম সপ্তাহ পার করার পর এখন বিক্রি বেড়েছে। আসাদুল নামের এক বিক্রেতা বলেন, সাধারণত মেলাতে শুক্রবারে বেশি মানুষ আছে। বই বেশি বিক্রি হয়।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে থেকে খুলনা মহানগরীর বয়রাস্থ বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে ২১ দিনব্যাপী একুশে বইমেলার পর্দা ওঠে। বইমেলা ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল তিনটা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত এবং সরকারি ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সকলের জন্য উম্মুক্ত থাকছে। এবারের মেলায় প্রকাশনা সংস্থা, বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও লাইব্রেরির ৯৫টি স্টল রয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিদিন সন্ধ্যায় নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের জন্য উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক, আবৃত্তি ও বইপাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।

খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের উপপরিচালক ড. আহছান উল্যাহ বলেন, ভালবাসার টানে বই মেলাতে মানুষ আসছে। ছুটির দিনে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। এখানে বইয়ের পাশাপাশি খাবার ও কুটির শিল্পের স্টলও রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় নানা রকমের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
বইমেলা পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ ও ২০০৪ সালে সাহিত্য সংসদ চত্বরে মেলার আয়োজন করা হয়। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সাহিত্য সংসদ বয়রা’র উদ্যোগে বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থগার প্রাঙ্গণে একুশে বইমেলা উদযাপন করে। এর মধ্যে ২০০৯ সালে সাহিত্য সংসদ ও বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের যৌথ উদ্যোগে মেলার আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে ২০১০ সাল থেকে খুলনা জেলা প্রশাসন এ মেলা আয়োজন করে আসছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বইমেলা

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ