নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (জেবি বিপিএল) প্রথম হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেলেন ঢাকা আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। তার হ্যাটট্রিকের সুবাদে আবাহনী বড় জয় তুলে নেয় ফেনী সকার ক্লাবের বিপক্ষে। গতকাল গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে লিগের দ্বিতীয় পর্বে আবাহনী ৫-১ গোলে হারায় ফেনী সকারকে। বিজয়ী দলের পক্ষে সানডে তিনটি এবং ফরোয়ার্ড জুয়েল রানা ও বদলি মিডফিল্ডার সাদউদ্দিন একটি করে গোল করেন। এই জয়ে আবাহনী ১৩ ম্যাচ শেষে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রাখলো। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট পেয়ে ফেনীর অবস্থান এগারোতমস্থানে।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয় আবাহনী। তারা একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করে রাখে। এদিন লিগের ৭৫তম ম্যাচে এসে দর্শকরা প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন। আর তা করলেন আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে। পুরো ম্যাচে তার খেলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত কয়েক’শ আবাহনী সমর্থকের বাহবা কুড়িয়েছে।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে থাকলেও আবাহনী প্রথম সুযোগটি পায় দশ মিনিটে। এসময় ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি টাকের স্কয়ার পাসে ফেনীর বক্সে বল পান জুয়েল রানা। কিন্তু তিনি লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। তবে ১৮ মিনিটে ঠিকই সফল হয় চারবারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা। এসময় ম্যাচের প্রথম গোল পায় তারা। মাঝমাঠ থেকে মিডফিল্ডার ইমন বাবুর লব ফেনী সকারের ডিফেন্ডার শাকিল হেড করে ক্লিয়ার করলেও বল পান জুয়েল রানা। তিনি ফেনীর গিনির ডিফেন্ডার কামারাকে বোকা বানিয়ে চমৎকার শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন (১-০)। এর আট মিনিট পর দ্বিতীয় গোল পায় আবাহনী। ম্যাচের ২৬ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে লি টাকের নীচু ক্রস বক্সের মধ্য থেকে ফ্লিক করে ফেনীর গোলরক্ষক সুজন চৌধুরিকে হতাশ করে বল জালে পাঠান সানডে (২-০)। প্রথমার্ধে একবারই সুযোগ পেয়েছিলো ফেনী। ১৫ মিনিটে ডিফেন্ডার ইমরান হোসেন রিমনের ক্রসে মিডফিল্ডার চমরিন রাখাইনের জোরালো হেড সাইডবার ঘেষে বাইরে চলে যায়। গোলবঞ্চিত হয় তারা। বিরতির পর গোলক্ষুধা যেন আরও বেড়ে যায় আবাহনীর। ফলে দ্বিতীয়ার্ধে তারা আরও তিন গোল আদায় করে নেয়। তবে একটি গোল হজমও করতে হয় আকাশী-হলুদদের। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে নিজেদের বক্সে জুয়েল রানাকে ধাক্কা দেন ফেনীর কামারা মামাদু। পেনাল্টি পায় আবাহনী। সানডের পেনাল্টি শট সুজন রুখে দিলেও ফিরতি বল জুয়েল ঠেলে দেন সানডেকেই। গোল করতে দেরী করেননি এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড (৩-০)।
৫৮ মিনিটে এক গোল শোধ দেয় ফেনী সকার। এসময় মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বল ধরে তপু বর্মনকে পাশ কাটিয়ে মাটি কামড়ানো শটে গোল করেন নাইজেরিয়ান মিডিফিল্ডার উচে ফেলিক্স (১-৩)। ম্যাচের ৬২ মিনিটে লিগের প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পান সানডে। ইমন বাবুর কাট ব্যাকে পোস্টে বল পাঠান তিনি (৪-১)। এবারের লিগে ১৪ গোল করে শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় তিনিই এখন সবার উপরে।
ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে আবাহনীর বদলি মিডফিল্ডার সাদউদ্দিন দলের পক্ষে পঞ্চম গোল করলে ফেনীর বড় হার নিশ্চিত হয় (৫-১)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।