নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী ২৮ জুলাই ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম শহরে বসছে কমনওয়েলথ গেমসের ২২তম আসর। বৃহৎ এ আসরের পর্দা নামবে ৮ আগস্ট। গেমসের ভারোত্তোলন ডিসিপ্লিনে খেলার জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ও আশিকুর রহমান তাজ। ফলে আসন্ন কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ আরও একটি ডিসিপ্লিন বাড়লো। আগে নিশ্চিত হওয়া ডিসিপ্লিনগুলো ছিলো- সাঁতার (পুরুষ ও নারী), অ্যাথলেটিক্স (পুরুষ ও নারী), বক্সিং (পুরুষ), জিমন্যাষ্টিক্স (পুরুষ), রেসলিং (পুরুষ ও নারী) ও টেবিল টেনিস (পুরুষ)।
আসন্ন কমনওয়েলথ গেমসে মাবিয়া খেলবেন ৬৪ কেজি ওজনশ্রেণীতে ও ৫৫ কেজি ওজনশ্রেণীতে খেলবেন আশিকুর। গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ। আশিকুর রহমান তাজ গত মাসে অনুষ্ঠিত অনলাইন বাছাইয়ে তার ক্যাটাগরিতে ষষ্ঠ হয়েছিলেন। সেই সময় অনেকটা নিশ্চিত হয়েছিল তার বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে খেলা। মাবিয়া আক্তার সীমান্ত তার ক্যাটাগরিতে বাছাই পর্বে হয়েছিলেন দশম। বাংলাদেশ থেকে কারা আসন্ন কমনওয়েলথ ভারোত্তোলনে খেলবেন তার জন্য ছিল অপেক্ষা। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে। বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে (বিওএ) একজন করে পুরুষ ও নারী ভারত্তোলকের নাম চূড়ান্ত করে দিয়েছে। কাল বিওএ ভারোত্তোলন ফেডারেশনকে তা জানিয়েছে। মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মাবিয়া ও আশিক বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে যাচ্ছে। এ চিঠি আমরা হাতে পেয়েছি। র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতেই তারা কমনওয়েলথে জায়গা করে নিয়েছে।’
সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে টানা দুইবার স্বর্ণজয়ী নারী ভারত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ২০১৮ গোল্ডকোস্ট কমনওয়েলথ গেমসও খেলেছিলেন। এবারের গেমসে খেলার আগে তার অলিম্পিকের বৃত্তিতে প্যারিস যাওয়ার কথা রয়েছে। অলিম্পিকের বৃত্তিতে গেলে তিনি প্যারিস থেকেই বার্মিংহামে যাবেন। ফলে গতবারের চেয়ে কিছুটা উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়েই এবার কমনওয়েলথে যেতে পারবেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।