মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সংসদ ব্রেক্সিটের অনুমোদন না দিলে নির্বাচনের ডাক দেবেন তেরেসা
ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পার্লামেন্ট ব্রেক্সিটের বিপক্ষে অবস্থান নিলে তিনি আগাম নির্বাচনের ডাক দেবেন। তিনি মনে করেন, ব্রেক্সিট-সংক্রান্ত গণভোটকে অবশ্যই বৈধতা দেয়া উচিত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের। হাইকোর্ট ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করার আগে পার্লামেন্টের অনুমোদন নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে গত রোববার বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ব্রেক্সিট গণভোটকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে পার্লামেন্টকে। এ বিষয়ে তিনি আস্থা প্রকাশ করে বলেন, এই প্রক্রিয়াকে সামনে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে পার্লামেন্ট সরকারের পক্ষেই রায় দেবে।
ওদিকে ব্রিটেনের বিরোধী লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, যদি ব্রিটেনের জন্য একক বাজার সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয় সরকার তাহলে তার দল কনজার্ভেটিভ দলের বিদ্রোহী ও অন্য বিরোধী দলের এমপিদের নিয়ে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া আটকে দেবেন। যদি তা-ই করতে পারেন তাহলে সরকার আগাম নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। এর আগে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, তার সরকার জনগণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে চান। পার্লামেন্টে এমপিরা এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। তাদের হাত দিয়েই সিদ্ধান্ত আসবে। কি রেজাল্ট আসবে তা পরিষ্কার। তা হলো বৈধতা। যেসব এমপি ও তাদের সহযোগীরা গণভোটের ফল নিয়ে গোস্বা করেছেন তাদের উচিত হবে জনগণের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া। তেরেসা মে ব্রেক্সিট গণভোটের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব হাতে নেন। এ সময়ে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে মুক্ত বাজার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, যদি পার্লামেন্টে বেশিরভাগ সদস্য ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেই রাখার পক্ষে মত দেন তবে তাতে তাত্ত্বিকভাবে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া আটকে যাবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা হবে বলে মনে হয় না। ক্ষমতাসীনরা এমপিদের মেজাজ পাল্টে দেয়ার জন্য কাজ করতে পারেন। তাদের বোঝাতে পারেন যে তারা হার্ড ব্রেক্সিটের দিকে যাচ্ছেন। তাতে অভিবাসী নীতিতে কঠোরতা আনা হবে। এটাই থাকবে অগ্রাধিকার। সঙ্গে যুক্ত হবে ইউরোপে একক বাজার ধরে রাখার চেষ্টা। টেলিগ্রাফ, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।