পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ইসিএ এলাকা হলেও সৈকতের বালিয়াড়ির বিভিন্ন পয়েন্টে জীপ ও বীচ বাইক চলাচলে বিপন্ন হতে চলেছে সামুদ্রিক প্রাণি ও জীববৈচিত্র্য। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছে পর্যটক।
সৈকতে বীচ বাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনের নিচে পড়ে মারা পড়ছে লাল কাঁকড়া, সামুদ্রিক কাছিম ও শামুক ঝিনুকসহ উপকূলীয় বিভিন্ন প্রাণি। সমুদ্র সৈকতে গাড়ি চালানোর কারণে অসংখ্য কাঁকড়া বীচ বাইকের চাকায় পিষ্ট হচ্ছে। সদ্য ফুটা কাছিমের বাচ্চা সমুদ্রে ফিরতে গিয়ে মারা পড়ছে প্রতিদিন। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছে নানা শ্রেণির পর্যটক। একইভাবে প্রতিনিয়ত বীচ বাইক চলাচল করার ফলে জলচরপাখিসহ বিভিন্ন প্রকার অমেরুদণ্ডী প্রাণির আবাস্থল ও বিচরণ স্থান ক্ষতিগস্থ হচ্ছে সৈকতে।
এদিকে কাঁকড়া বীচ রেজু খালের মোহনা পর্যন্ত সমুদ্র সৈকত এলাকা সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থান। কিন্তু শব্দ দূষণ, অমসৃন সৈকত ও রাত্রি বেলার আলোকছটার কারণে কাছিম ডিম পাড়তে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। এতে করে সৈকতের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ-প্রতিবেশ চরম হুমকির মুখে পড়েছে। অন্যদিকে ঝাউবাগানের ভিতরেও চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ঝাউগাছ। ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে বাগান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপ সৈকত ও হিমছড়ি পাড়ার ব্লক এলাকার কাঁকড়া বিচ সমুদ্র সৈকত এলাকায় অনুমোদনহীনভাবে বীচ বাইক, জীপ ও কার গাড়ি ড্রাইভ করা হয়। ফলে সৈকতের কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক, জলচরপাখিসহ বিভিন্ন প্রকার অমেরুদণ্ডী প্রাণির প্রজনন, আবাসস্থল ও বিচরণ স্থান ক্ষতিগস্থ হচ্ছে।
হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের সহ-ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির সদস্য সচিব রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জণ সাহা জানান, সৈকতে গাড়ি চালানো কাজে সম্পৃক্ত রয়েছেন পেঁচারদ্বীপ এলাকায় আদম তমিজী হকসহ হক কোাম্পানীর স্বত্তাধিকারী পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ এবং হিমছড়ি পাড়ায় কক্সবাজার বীচ বাইক মালিক সমবায় সমিতি। উক্ত কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মৌখিকভাবে আইনের কথা জানিয়ে দেওয়ার পরও তারা যথারীতি আইন অমান্য করে গাড়ি চালাচ্ছে যাচ্ছেন। হিমছড়ি পাড়ার কাঁকড়া বীচ ও পেঁচার দ্বীপ সমুদ্র সৈকত এলাকায় বীচ বাইক, জীপ ও কার গাড়ি চলাচলের পাশাপাশি রাতে জ্বালানো হয় আগুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।