মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেন আক্রমণের জেরে রাশিয়ার অর্থনীতি পঙ্গু করে দেয়ার মতো নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এরই মধ্যে রাশিয়া সম্পর্কিত সব ধরনের জাহাজ ব্রিটিশ বন্দরে ভেড়ানো নিষিদ্ধ করেছে তারা। তবে বিকল্প মাধ্যমে ঠিকই রুশ তেল-গ্যাস আমদানি অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাজ্য সরকার। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের বন্দরগুলোতে রাশিয়ার মালিকানাধীন, পরিচালিত, নিয়ন্ত্রিত, চার্টার্ড, নিবন্ধিত বা পতাকাবাহী সব ধরনের জাহাজ প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ব্রিটিশ সরকার। অবশ্য পরে তারা বলেছে, রাশিয়া এখনো যুক্তরাজ্যে তেল-গ্যাস পাঠাতে পারে। কারণ, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে রুশ জাহাজের ওপর, এর পণ্যের ওপর নয়। শুক্রবার রিফিনিটিভ একনের শিপিং ডেটায় দেখা যায়, সিকড নামে একটি তেলের ট্যাংকার রাশিয়ার প্রিমর্স্ক থেকে কার্গো নিয়ে যুক্তরাজ্যের লিভারপুলে নোঙ্গর করেছে। এছাড়া পার্ল এলএনজি নামে আরেকটি জাহাজ ওয়েলসের ড্রাগন এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনালে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ডেটা ইন্টেলিজেন্স প্রতিষ্ঠান আইসিআইএস’র তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পার্ল এলএনজি গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ফরাসি জাহাজ ক্রিস্টোফ ডি মার্জেরি থেকে শিপ-টু-শিপ স্থানান্তর ব্যবস্থায় রুশ এলএনজির একটি কার্গো তুলেছিল। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পার্ল এলএনজি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জার্মান ট্যাংকার সিকর্ডের ব্যবস্থাপকের এক মুখপাত্র স্বীকার করেছেন, তাদের জাহাজটি লিভারপুলের ট্রানমেরে তেল টার্মিনালে রুশ কার্গো নামাতে গেছে। মুখপাত্রের কথায়, রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানির ওপর ইউরোপের ব্যাপক নির্ভরতাই এর কারণ। এ কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা থেকে এসব পণ্য বাদ দেওয়া হয়েছে। এগুলোর পাশাপশি ফেদর লিক্টে এবং বরিস ভিলকিটস্কি নামে আরও দুটি জাহাজ তাদের মালিকদের কাছ থেকে নতুন আদেশের অপেক্ষায় থাকার সংকেত দিচ্ছে। প্রথমটি একসময় যুক্তরাজ্যের আইল অব গ্রেইন টার্মিনালের জন্য সংকেত দিচ্ছিল। বরিস ভিলকিটস্কি কিছু না বললেও যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন ইউনিসন জানিয়েছে, এই জাহাজটিও একই টার্মিনালে দাঁড়াতে চেয়েছিল। ইউনিসনের হেড অব এনার্জি ম্যাট লে বলেছেন, ইউক্রেনের সমর্থনে তাদের কর্মীরা আইল অব গ্রেইন এলএনজি টার্মিনালে রুশ তেল-গ্যাস নামাতে রাজি হয়নি। তাদের বাধার মুখে ফেদর লিক্টে ও বরিস ভিলকিটস্কি দূরে সরে গেছে। তবে যুক্তরাজ্য সরকার রুশ কার্গোর ওপর নিষেধাজ্ঞা না দিলে শুধু জাহাজের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা ‘ফাঁকা আওয়াজ’ হয়ে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।