Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতিসংঘে ফের ভোট দানে বিরত চীন, ভারত ও পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২২, ১:১৬ পিএম

আবারও রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত, চীন ও পাকিস্তান। ইউক্রেন যুদ্ধে মানবধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে মস্কোর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়। ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ৩২টি ভোট পড়ে। ফলে এবার মস্কোর বিরুদ্ধে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করতে চলেছে নিরাপত্তা পরিষদ।

ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভ, খারকভ-সহ বেশ কয়েকটি শহরে আছড়ে পড়ছে একেরপর রুশ এক মিসাইল, গোলা। অভিযোগ, ইউক্রেনে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা ও ভ্যাকুয়াম বোমা ব্যবহার করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নিল জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। লক্ষণীয়ভাবে, এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থাকে ভারত ও চীন। একই পথে হেঁটেছে পাকিস্তানও।

জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক স্তরের স্বাধীন ভাবে গঠিত একটি কমিশনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ দিতে পারে মানবাধিকার পরিষদ। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই কমিশন গঠন করা হয়নি। ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার পরিষদে অন্তত ৩২টি সদস্য দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে রাশিয়া এবং ইরিত্রিয়া। ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত এবং চীন-সহ ১৩টি দেশ। ভোটাভুটির পর ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘে জানান, যারা পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ।

 

উল্লেখ্য, এর আগে জাতিসংঘে দুবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ভারত, চীন ও পাকিস্তান। গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উপরে রাশিয়া ঝাঁপিয়ে পড়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল ভারত শেষ পর্যন্ত কার দিকে থাকবে? রাশিয়া নাকি আমেরিকা? কিন্তু কৌশলগত ভাবে কার্যত ভারসাম্যই রক্ষা করে ভোট দেয়নি ভারত। এইভাবে পরোক্ষে রাশিয়ার কাঁধেই হাত রাখার বার্তা দিল ভারত। সূত্র: রয়টার্স।



 

Show all comments
  • shanto ৫ মার্চ, ২০২২, ২:০২ পিএম says : 0
    সর্বশক্তিমান স্রষ্টা এবং তার বিধান সর্বশ্রেষ্ঠ সত্য, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা বুঝেনা‌। অথচ বড় পলিটিশিয়ানরা চরম মাত্রায় মিথ্যুক ভন্ড প্রতারক সাধারণ মানুষের রক্ত শোষক হয়ে থাকে, অথচ অধিকাংশ মানুষ এদেরকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে। কারণ এরা মানুষদেরকে বিভিন্ন রকম ধোকার মধ্যে আবদ্ধ রাখে। আর মানুষ এদের ধোকার দ্বারা চরমভাবে আসক্ত । তাই বন জঙ্গলে বসবাসকারী অধিকাংশ পশুপাখির চাইতে অধিকাংশ মানুষের জীবন চরম অভিশপ্ত i বড় বড় পিচাস, অমানুষ, পলিটিশিয়ানরা সাধারণ মানুষের মানব অধিকার, স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা বিভিন্ন রকম ভন্ডামি পূর্ণ নাটকের মাধ্যমে ধ্বংস করছে। কানাডা সহ সারা পৃথিবীতে যারা পিচাসি পলিটিশিয়ানদের বিরুদ্ধে যেসকল সাহসী সত্তিকারের মানুষরা আন্দোলন করছে, তাদের প্রতি জানাই অন্তর থেকে ভালোবাসা শ্রদ্ধা এবং সমর্থন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ