মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০২১ সাল পর্যন্ত গত ছয় বছরে ভারতে চাকরিজীবী তরুণের হার কমেছে। নতুন একটি গবেষণা অনুযায়ী, ১৫-২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে চাকরিজীবীর হারে ৩০ শতাংশ পতন হয়েছে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির হার কমায় চাকরিজীবী তরুণের হারও কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস। সেন্টার ফর ইকোনমিক ডাটা অ্যান্ড অ্যনালাইসিস (সিডিইএ) এবং সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির (সিএমআইই) এক যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ভারতে ১৫-২৯ বছর বয়সী চাকরিজীবী তরুণের সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৩৮ লাখ। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজারে। গত বছর চাকরিজীবী তরুণের সংখ্যা ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় কিছুটা বাড়লেও তা মহামারি-পূর্ব সময়ের তুলনায় কম ছিল। গবেষণায় বলা হয়, মহামারি-পূর্ব সময়ের তুলনায় গত বছর চাকরিজীবী তরুণের সংখ্যা কমেছে। এর কারণ হিসেবে ভারতের অর্থনৈতিক মন্দাকে দায়ী করা হয়। এতে তরুণ কর্মীদের জন্য সুযোগ কমেছে। ২০১৬ সালে মোট চাকরিজীবীর ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল তরুণ। ২০১৯ সালে এ হার কমে ২১ শতাংশে দাঁড়ায়। গত বছর এ হার ছিল মাত্র ১৮ দশমিক ২ শতাংশ। ২০১৬ সালে দেশটির মোট চাকরিজীবীর মধ্যে ৫০-৫৯ বছর বয়সীদের হার ছিল ১৬ শতাংশ। গত বছর তা বেড়ে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়। এদিকে চাকরিজীবী ছাড়াও তরুণ শ্রমিকের সংখ্যাও কমেছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি-মার্চে তরুণ শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৪১ লাখ। ওই বছর অক্টোবর-ডিসেম্বরে তা ২২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৪৩ লাখে। ২০১৯ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় গত বছর একই সময়ে তরুণ শ্রমিকের সংখ্যা ৯ শতাংশ কমেছে। গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৬ সালের তুলনায় গত বছর ১৫-২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে চাকরিজীবীর হার ৩০ শতাংশ কমেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বেকার হলেও কর্মসংস্থান খুঁজছে না। এর কারণ হতে পারে তারা কয়েক মাস চাকরি খোঁজার পর ব্যর্থ হয়ে চাকরির সন্ধান বাদ দিয়েছে। এটা দীর্ঘমেয়াদি বেকারত্বকে নির্দেশ করে। সিডিইএ ও সিএমআইইর গবেষণায় দেখা যায়, ২০১৯ ও ২০২০ সালের মধ্যে ১৫-২৯ বছর বয়সীদের চাকরিজীবীর হার সবচেয়ে বেশি কমেছে ভারতের দিল্লিতে। শহরটিতে চাকরিজীবী তরুণের হার কমেছে ৩৮ শতাংশ। এর পরে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭ শতাংশ এবং হরিয়ানায় ৩৫ শতাংশ। এদিকে ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর উত্তরাখণ্ডে সবচেয়ে বেশি পতন দেখা গেছে তরুণ চাকরিজীবীর হারে। রাজ্যটিতে ১৫-২৯ বছর বয়সী চাকরিজীবীর সংখ্যা কমেছে ৪৩ শতাংশ। গোয়ায় এ কমার হার ছিল ৪২ শতাংশ। দিল্লিতে ৩৯ শতাংশ এবং হরিয়ানায় ৪০ শতাংশ। ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।