Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেরসন-খারকিভ রাশিয়ার দখলে

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে পারমাণবিক ও ধ্বংসাত্মক : রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী : আলোচনার পাশাপাশি চলছে অগ্রাভিযান : দেশে পুতিনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে : ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে ন্যাটো

মুহাম্মদ সানাউল্লাহ/ইশতিয়াক মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২২, ১২:১৩ এএম

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী খেরসন শহরের পর গতকাল রুশ বাহিনীর হাতে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের পতন হয়েছে। এদিন দ্বিতীয় দফা আলোচনার পাশাপাশি গতকাল ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো ঘেরাও এবং দখলে রাশিয়ার অভিযান অব্যাহত ছিল। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন ,‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে পারমাণবিক এবং ধ্বংসাত্মক’।

পতনের একদিন আগেই রুশ মিসাইল হামলার শিকার হয় খরাকিভ শহরটির একটি সরকারি কার্যালয়। সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর সেখানে আকাশ থেকে নেমে রুশ ছত্রীসেনারা শহরটির দখল নেয়। আই.টি. বিশেষজ্ঞ ইলিয়া (২২) যিনি দু’দিন আগে খারকিভ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটিতে বিধ্বস্ত ভবন, বিদ্যুৎ ব্যর্থতা এবং ক্রমাগত ভয়ের একটি ল্যান্ডস্কেপ বর্ণনা করেছেন। ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বে খারকিভ হল রাশিয়ার অবরোধের একটি মূল লক্ষ্য, একটি গ্রাইন্ডিং আক্রমণ যা কেবল যোদ্ধাদেরই নয়, শহরের প্রায় ১.৫ মিলিয়ন জনসংখ্যাকেও আঘাত করছে।

গতকাল ইউক্রেনের মূল শহরগুলো দখল করার জন্য রাশিয়ার চাপ ত্বরান্বিত হয়েছে। রাশিয়ান সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে, তার বাহিনী কৃষ্ণ সাগরের কাছে একটি বন্দর খেরসন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় মেয়র বলেন যে, শহরটি মৃতদেহ সংগ্রহের জন্য ‘একটি অলৌকিক ঘটনার জন্য এবং মৌলিক পরিষেবা পুনরুদ্ধারের জন্য অপেক্ষা করছে।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা রাশিয়ার দাবির বিরোধিতা করে বলেছেন যে, প্রায় ৩ লাখ জনসংখ্যার শহরটি যখন অবরুদ্ধ, তখনও পৌর সরকার সেখানে ছিল এবং যুদ্ধ অব্যাহত ছিল। তবে শহরের অভ্যন্তরে পরিস্থিতি ভয়াবহ। আঞ্চলিক নিরাপত্তা অফিসের প্রধান গেনাডি লাগুটা টেলিগ্রাম অ্যাপে লিখেছেন, খাদ্য ও ওষুধ ফুরিয়ে গেছে এবং ‘অনেক বেসামরিক লোক আহত’।

ইউক্রেন আক্রমণের মধ্যে পুতিনের প্রতি রাশিয়ার সমর্থন আপাতদৃষ্টিতে বেড়েছে কারণ একটি জরিপে প্রকাশ করা হয়েছে যে রাশিয়ানরা যারা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশ্বাস করে তাদের সংখ্যা এক পক্ষেরও কম সময়ের মধ্যে ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

পাবলিক ওপিনিয়ন ফাউন্ডেশন (এফওএম) পরিচালিত একটি জরিপ অনুসারে আঠারো শতাংশ বলেছেন যে, তারা পুতিনকে বিশ্বাস করেন না, যা ২০ ফেব্রুয়ারিতে ২৯ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে। ১১ শতাংশ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ‘কঠিন’ বলে মনে হয়েছে।

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে পারমাণবিক ও ধ্বংসাত্মক : রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, যদি একটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় তাহলে এতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহৃত হবে। এটি হবে ধ্বংসাত্মক। গতকাল বুধবার তিনি এ মন্তব্য করেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ এ খবর জানিয়েছে।

ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেন যদি পারমাণবিক অস্ত্র সংগ্রহ করে ফেলে সেটি হবে রাশিয়ার জন্য সত্যিকার বিপদ। এর আগে মঙ্গলবারও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ইউক্রেন পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছে। এটি একটি ‘সত্যিকারের বিপদ’, যার জন্য রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রয়োজন রয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটির পারমাণবিক বাহিনীকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। পুতিনের এই পদক্ষেপকে ইউক্রেনে অন্য দেশগুলোকে না জড়ানোর সতর্ক বার্তা হিসেবে দেখা যেতে পারে। এটি হয়তো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার ইচ্ছার ইঙ্গিত নয়।

দেশটির জরুরি পরিষেবা সংস্থা একটি বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধের প্রথম ১৬০ ঘণ্টার মধ্যে ২ হাজারেরও বেশি ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিক মারা গেছে, যদিও এই সংখ্যাটি স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।
রাতারাতি, রাশিয়ান সৈন্যরা দক্ষিণ-পূর্বের একটি বন্দর শহর মারিউপোল ঘিরে ফেলে। মেয়র বলেছেন, ১২০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক আহতদের জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে। মেয়রের মতে, বাসিন্দারা আসন্ন আক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য ২৬ টন রুটি তৈরি করেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার রাতে স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, ইউক্রেনের আক্রমণ রাশিয়াকে দুর্বল এবং বিশ্বকে শক্তিশালী করে তুলবে। তিনি বলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকান আকাশসীমা থেকে রাশিয়ান বিমানগুলোকে বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে এবং বিচার বিভাগ রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার বৈশ্বিক চাপের অংশ, মি. পুতিনের সাথে মিত্র অলিগার্চ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করবে।

সোমবারের একটি বৈঠক যুদ্ধ শেষ করতে অগ্রগতি করতে ব্যর্থ হওয়ার পর বুধবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিতীয় দফা আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো বলেছেন, নিরাপত্তা গ্যারান্টি একটি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাশিয়ার জন্য একটি মূল বিষয় হয়ে থাকবে। ‘যদি আমরা রাশিয়ার দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা স্বার্থ সম্পর্কে কথা বলি, অবশ্যই, গ্যারান্টিগুলো অদূর ভবিষ্যতে এবং তার পরেও একটি মূল বিষয় হয়ে থাকবে’, গ্রুশকো রোশিয়া২৪ টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন। ‘এবং যদি গ্যারান্টির এ ইস্যুটি নিষ্পত্তি করা হয়, তাহলে আমরা এ অঞ্চলে বর্তমানে বিদ্যমান জোট [ন্যাটো] এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোর সাথে সম্পর্কের কিছু নতুন স্থাপত্য সম্পর্কে চিন্তা করতে পারি’, তিনি বলেন।

‘ইউক্রেনে রাশিয়াকে নিয়ে ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে ন্যাটো’
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান সম্পর্কে ভুয়া খবর তৈরি করেছে ন্যাটোর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ মন্তব্য করেছেন। রাশিয়া২৪-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাখারোভা বলেন, ‘ভুয়া খবর আমাদের তথ্যের জায়গায় জমা হতে থাকে। তাছাড়া, আমি উল্লেখ করতে চাই যে, ব্যক্তিগত হ্যাকারদের চেয়ে বরং প্রকৃত গোয়েন্দা পরিষেবাগুলোই এর পেছনে রয়েছে। এটি একটি বড় বাধা যা অবশ্যই সংগঠিত হচ্ছে এবং ব্রাসেলস থেকে সাজানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এর সাথে অবশ্যই ন্যাটোর অবকাঠামো জড়িত।’

রাশিয়ান কূটনীতিক জোর দিয়ে বলেন যে, বেশিরভাগ ভুয়া খবর ইউক্রেনের নাগরিকদের উদ্ধৃত করে। ‘সেখানে যা ঘটছে তার পরিপ্রেক্ষিতে, এটা স্পষ্ট যে সাধারণ ইউক্রেনীয় নাগরিকরা এ মুহূর্তে ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ব্যবহার করে ভিডিওগুলো তুলে ও সম্পাদনা করবে না এবং সেগুলো সর্বত্র পোস্টও করবে না।’ তিনি বলেন, ‘লোকেরা কীভাবে এটি নেবে তার বোঝার ভিত্তিতে এটি পেশাদারভাবে করা হচ্ছে। এটি বিশ্বব্যাপী দর্শকদের লক্ষ্য করে একটি সু-সমন্বিত পদ্ধতিতে করা হচ্ছে।’

তিনি বিশেষ করে ‘টেলিফোন সন্ত্রাস,’ নিউজলেটার এবং সামাজিক মিডিয়াতে লুকানো বিজ্ঞাপনের তরঙ্গের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। বলেন, ‘আমরা এটি সম্পর্কে ভালভাবে সচেতন,’ জাখারোভা জোর দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা একাধিকবার এর মধ্য দিয়ে গেছি।’

ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রাশিয়া
ভারত ২৫ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের নিন্দা করার প্রস্তাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। ইউক্রেনের সঙ্কটে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানের জন্য রাশিয়া ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ এবং নয়াদিল্লি এর গভীরতা বুঝতে পারে, বুধবার নয়াদিল্লিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ বলেছেন।

গত সপ্তাহে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেনে মস্কোর বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী কূটনৈতিক আলোচনা ও সংলাপের পথে ফিরে আসার জন্য সব পক্ষ থেকে সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান। নেতারা একমত হয়েছেন যে, তাদের কর্মকর্তারা এবং কূটনৈতিক দলগুলো প্রাসঙ্গিক স্বার্থের বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখবে। সূত্র : তাস।



 

Show all comments
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৩ মার্চ, ২০২২, ১:৩২ এএম says : 0
    যুদ্ধ হচ্ছে রাশিয়ার অত‍্যাধনিক অস্ত্রে মানুষের মৃত্যুর মিছিল ধ্বংসযজ্ঞ ভয়াবহতা ইউক্রেন রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে।কিন্তু ইউক্রেন এর প্রেসিডেন্ট কৌতুক অভিনেতা বুঝতে পারছেনা রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় পরাশক্তি পরমানুর দেশ।যার সাথে যুদ্ধ করে মৃত্যুর মুখে টেলে দিয়েছেন দেশের মানুষ কে। কৌতুক অভিনেতা কে কঠোর শাস্তি না দেওয়া পযর্ন্ত রাশিয়া ক্লান্ত হবে না। বৃহত্তম শক্তিশালী দেশ আমেরিকা কখনো এই যুদ্ধ জড়াবে না। তেল নেই আর মুসলমানদের রক্তের গন্ধ নেই। মুসলিম অদ্ধোষিত অঞ্চল নয়। ইত্যাদি ইত্যাদির কারণে। পুতিনের পরমানু বোমার হুমকিতে মিত্রশক্তির দেশগুলো ইতিমধ্যে অর্ধেক মরে গেছে। রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে পুতিন আপোষহীন থাকবে। ন‍্যাটো যদি এই যুদ্ধে জড়িয়ে যান তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ অনিবার্য। এবং পরমানু বৌমার ব‍্যবহার করা ছাড়া রাশিয়ার আর কোন পথ খোলা থাকবে না। রাশিয়ার অস্তিত্বের প্রশ্ন। আমেরিকার তার মিত্রদের গাত্রদাহ হচ্ছে কেন? আফগানিস্তানে লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তের বন‍্যা ইরাকের মানুষের রক্তের সাগর। ধ্বংস যজ্ঞ বাড়ি ঘর স্থাপনসহ মসজিদ মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্টান ধ্বংসের ধ্বংসযজ্ঞ কবরস্থানে পরিণত করেছে আমেরিকা। পৃথিবী নিরভ মানবতা অন্ধ বধির। মানবধিকার গোষ্ঠী আমেরিকার গোলামে পরিণত হয়ে যায়।কারণ অর্থ অস্ত্র ক্ষমতার ভয়ে সবকিছুই নিজের দেখিয়ে আমেরিকার কাছে জিম্মি করে রেখেছেন। ইসরাইল দিয়ে এই পৃথিবীর কিছু জ্ঞানপাপীদের গনতন্ত্রের শিক্ষা দিচ্ছেন। বিশ্বের বিবেকবান মানুষ দেখছেন কৌশলী আমেরিকা কে। সামনে পরমানু পরাশক্তি রাশিয়া যুদ্ধ কখনো জড়াবেন না। আর কয়েকটি দিন পর শিরোনাম হবে। আমেরিকা সহ সকল মিত্রশক্তি রাশিয়ার কাছে পরাজিত নতুন লৌহ মানব পুতিনের কাছে। পৃথিবীর ভারসাম্যহীণতার জন্যে পুতিনের অগ্রযাত্রা জরুরী ছিল। শেষ হাসি শেষ কথা বলতে কিছুই নেই। যুদ্ধের ময়দানে শক্তিশালী রাশিয়ার যুদ্ধ একটি রাষ্ট্রের কৌতুক অভি নেতার উস্কানি বৃহত্তম পরমানুধর দেশের বিরুদ্ধে। তার মর্মান্তিক মর্মস্পর্শি কি পরিণাম পরিণতি সমগ্রজাতি দেশ কে দিতে হচ্ছে। আমার দেশের জাহাজে বোমা হামলা একজন মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। এই মুহুর্তে পৃথিবীকে ভয়ানক ভয়াবহ পারমানবিক যুদ্ধের আশংকা থেকে বিপদ থেকে বাচাতে পারতেন যদি সত্যিকার একটি জাতীয় সংঘ থাকতো??? চলবে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Mahbubul Islam ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:০০ এএম says : 0
    মিস্টার পুতিনের অনেক সমালোচনা থাকতে পারে কিন্তু ইউক্রেনে তিনি যা করছে তা সঠিক।
    Total Reply(0) Reply
  • AB Alim Bogura ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:০১ এএম says : 0
    ব্রিটিশ, আমেরিকা বলছেন ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ করতে রাজি নয় তার দেশ l প্রতিপক্ষ রাশিয়া হওয়ায় তথাকথিত ক্ষমতাশীল পশ্চিমা দেশগুলো অসহায়ত্ব দেখাচ্ছে, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছে, রাশিয়ার জায়গায় যদি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দুর্বল মুসলিম রাষ্ট্র হতো, তবে এত সময় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সহ পশ্চিমারা নিজেদেরই সৃষ্টিকর্তা দাবি করতো l আমি ইউক্রেনের জনসাধারণের কান্না দেখে মোটেও বিচলিত নই, কারন আমি ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, মিয়ানমার, লিবিয়ান বৃদ্ধ যুবক নারী এবং, শিশুদের বিবস্ত্র আহাজারি দেখে দেখেই বড় হয়েছি।।
    Total Reply(0) Reply
  • Wahid Parvez ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:০১ এএম says : 0
    রাশিয়া ঠিক কাজটিই করছে। ইউক্রেনকে এতো টুকু সাহস দেখানো উচিত হয়নি। যেখানে নিশ্চিত রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ হলে ইউক্রেনের ধ্বংস অনিবার্য। সব জেনে শুনেও কেন যুদ্ধের পথ বেছে নিলেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Jakir Al Faruki ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:০২ এএম says : 0
    ইউক্রেনে যে যুক্তিতে রাশিয়া হামলা করেছে সেই যুক্তিতে যে কোন শক্তিশালী দেশ যে কোন দুর্বল দেশের বিরুদ্ধে হামলা করতে পারে। একটি ক্ষুদ্র দেশের নাগরিক হিসেবে, রাশার ইউক্রেন হামলা, ভারেতের কাশ্মির দখল আর ইসরাইলের ফিলিস্তিন দখলের নিন্দা জানাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahriar Rahman Semul ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:০২ এএম says : 0
    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট একটি দেশকে ধবংস করে দিল। ঘরের কথা না শুনে, বাহিরের মানুষের কুবুদ্ধি দরে, কত গুলা নিরিহ মানুষের জিবন নষ্ট করলো। কমেডিয়ান কখনো পলিটিসিয়ান হতে পারে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Aditya Protap Sukhon ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:০৩ এএম says : 0
    বেশি চাপের কারনে জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু করছিল।আর এখন রাশিয়ারে যেভাবে অর্থনৈতিক চাপ দেওয়া শুরু করছে,রাশিয়া ত তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু করে দিব
    Total Reply(0) Reply
  • M N Sakib ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:০৩ এএম says : 0
    রাশিয়াকে আটকাতে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত না হয় রাশিয়ার থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে অন্যদেশগুলোও তাদের বিতর্কিত ভূমিতে আগ্রশন চালাতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • Aliraj Hossain Raj ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:০৪ এএম says : 0
    এত এত প্রতিরোধ ব্যবস্থা তাহলে একের পর এক শহর থেকে ইউক্রেন বিচ্যুত কেন হচ্ছে
    Total Reply(0) Reply
  • Sanvi Ahmed ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:০৪ এএম says : 0
    আমি ইউক্রেন জনসাধারণ কান্না দেখে মোটিও বিচলিত নই,কারন আমি ইরাক আফগানিস্তান সিরিয়া লিবিয়ান বৃদ্ধ নারী শিশুদের বিবস্ত্র আহাজারি দেখে দেখেই বড় হয়েছি।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Jahangir Alam ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:০৫ এএম says : 0
    ইরাক-সিরিয়া লিবিয়া ফিলিস্তিনের উপর মার্কিন আগ্রাসন বৈধ হলে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসন ও বৈধ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ