মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবশেষে কলঙ্কিত অধ্যায় মুছতে চলেছে বলিউড কিং শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের জীবন থেকে! মাদক মামলা বা আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের সঙ্গে আরিয়ান কোনও ভাবে যুক্ত নন। গতকাল বুধবার এমন ঘোষণা দিয়েছে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (এনসিবি) একটি তদন্তকারী দল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, আরিয়ান যে মাদক নেওয়া বা মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এমন কোনও প্রমাণ নেই। দলের দাবি, তদন্ত করতে গিয়ে প্রমোদতরী অভিযানে শাহরুখ খানের ছেলেকে গ্রেফতারের পিছনেও অনেক গলদ চোখে পড়েছে তাদের।
ভারতের জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তদন্তকারী দলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বক্তব্য, আরিয়ান মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি নিজেও মাদক নিতেন না! তাই, কী কারণে তার মোবাইল ফোন আটক করা হয়েছিল, কেনই বা ফোনের বার্তা দেখা হয়েছিল- তারা তদন্তে নেমে বুঝতেই পারেননি। কারণ আরিয়ানের কোনও বাক্যালাপে মাদক সম্পর্কিত কোনও তথ্যের উল্লেখ নেই।
তদন্তকারী দলের ওই কর্মকর্তার আরও দাবি, এনসিবি’র থেকে যে অভিযান চালানো হয়েছিল তারও কোনও ভিডিও রেকর্ডিং নেই। অর্থাৎ মামলায় গ্রেফতার একাধিক আসামির থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছে, এমনটাও দেখাতে পারবে না সংস্থা।
যদিও আদালতে চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল করার আগে তদন্তকারী দল আরও একবার গোটা বিষয় খুঁটিয়ে দেখবে। তারপর তদন্তকারী কর্মকর্তারা এনসিবি’র শীর্ষপ্রধান এস এন প্রধানের হাতে তাদের যাবতীয় তথ্য জমা দেবেন। ফলে, পুরো বিষয়টি সম্পূর্ণ হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। তখনই জানা যাবে, আরিয়ান আদৌ অপরাধী কিনা। প্রমোদতরী অভিযান, তদন্তের ফাঁকের পাশাপাশি সিট প্রশ্ন তুলতে চলেছে ব্যুরোর সাবেক মুম্বাই আঞ্চলিক দলের পরিচালক সমীর ওয়াংখেড়ের আচরণ নিয়েও। অভিযান এবং অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইতোমধ্যেই একাধিকবার ওয়াংখেড়েকে ফিরিয়ে এনে প্রশ্নও করেছে সিট এবং এনসিবি ভিজিল্যান্স দফতর।
ওয়াংখেড়ে গত বছরের ২ অক্টোবর রাতে মুম্বাইয়ের গ্রিন গেটে আন্তর্জাতিক জাহাজ বন্দর থেকে কর্ডেলিয়া নামের প্রমোদ তরীতে অভিযান চালান। তার সঙ্গে ছিলেন এনসিবি’র একদল কর্মকর্তা এবং কিছু প্রত্যক্ষদর্শী। ওই জাহাজে অভিযান চালিয়ে ১৩ গ্রাম কোকেন, পাঁচ গ্রাম মেফেড্রোন, ২১ গ্রাম মারিজুয়ানা, ২২টি মাদক বড়ি এবং ১ দশমিক ৩৩ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।
যদিও সিটের করা তদন্তের প্রাথমিক ফলাফল বলছে, বোম্বে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী গত বছরের ২৮ অক্টোবর শাহরুখ খানের ছেলেকে জামিন দেওয়ার সময় আরিয়ান সম্বন্ধে ‘বেকসুর খালাস’ বাক্যবন্ধ ব্যবহার করা হয়েছিল। যার অর্থ, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বা মাদক পাচারের কোনও তথ্য-প্রমাণ নেই।
এদিকে গ্রেফতার আরিয়ানকে হাইকোর্ট থেকে ‘বেকসুর খালাস’ বলা। অপরদিকে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (এনসিবি) তদন্তকারী দল আরিয়ানকে মাদককাণ্ডে নির্দোষ দাবি নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। গতকাল তদন্তকারী দলের পক্ষ থেকে ওই বক্তব্য দেওয়ার পর সর্বত্র একটাই আলোচনা চলছে, তাহলে আরিয়ানকে গ্রেফতার করে তার বাবা বলিউড কিং শাহরুখ খানকে পরিবারসহ সামাজিকভাবে অপদস্থ কারার নেপথ্যের চরিত্রে কে আছেন? এনসিবি কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়কে কে বা কারা ব্যবহার করেছে তা খুঁজে বের করা প্রয়োজন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, আউটলুক ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।