মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ক্লিভল্যান্ডে হিলারি ট্রাম্পের নাম মুখে না আনলেও ট্রাম্প তুলাধুনা করেছেন হিলারিকে
আমার নির্বাচনী প্রচারণায় গিটার পিয়ানো লাগে না। স্ত্রী-সন্তানরাই আমার প্রচার চালাচ্ছে : ট্রাম্প
মার্টিন লুথার কিং দৌড়িয়েছিলেন বলেই ওবামা দাঁড়াতে পেরেছেন এবং কালো শিশুরা এখন ওড়ার স্বপ্ন দেখে : হিলারি
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, মার্টিন লুথার কিং উঠে দাঁড়িয়েছিলেন বলে ওবামা দৌড়াতে পেরেছেন। ওবামা দৌড়াতে পেরেছেন বলেই কালো শিশুরা এখন ওড়ার স্বপ্ন দেখে। এই নির্বাচনে দুই প্রার্থী শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ওহাইও অঙ্গরাজ্য সফর করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারে উপস্থিত থাকলে হিলারি ক্লিনটনকে ধরা যাবে না। সেখানে ট্রাম্প আসার আগেই তাঁর প্রচার ভেন্যু ওয়েলমিংটন ঘুরে চলে গেছে ক্লিভল্যান্ডে। ওয়েলমিংটনে দলে দলে হোয়াইট আমেরিকানকে প্রচারস্থলে ছুটতে দেখা গেছে। কিন্তু ক্লিভল্যান্ডের চিত্র একেবারে আলাদা। হলঘরের বাইরে সমবেত শত শত মানুষের মধ্যে আফ্রিকান-আমেরিকান অর্থাৎ কৃষ্ণাঙ্গ বেশি। আছেন কিছু শ্বেতাঙ্গ আর এশীয় বংশোদ্ভূতও। ই-মেইল নিয়ে এফবিআইয়ের নতুন তদন্তের উদ্যোগ, ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে মধ্যপ্রাচ্যের অর্থায়ন নিয়ে নানা প্রশ্নের মধ্যে হিলারি ক্লিনটন এই জনসভাটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লিভল্যান্ডে পৌঁছে আবারো ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ডেভিড পেপারের কথা মনে হলো। তিনি বলছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সৌন্দর্য হলো এর বৈচিত্র্য। সে জন্যই আমরা বলছি স্ট্রংগার টুগেদার। হিলারিও আবার একই কথা বললেন। তাঁর বক্তৃতা ছিল মাত্র সাড়ে ছয় মিনিটের। এর মধ্যে একবারের জন্যও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের নাম উচ্চারণ করেননি।
প্রসঙ্গত, ক্লিভল্যান্ডে হিলারির বেশি কথা বলার আদতে কোনো প্রয়োজনই পড়েনি। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় র্যাপার জেসিজে হিলারির পক্ষে কনসার্ট করতে আসছেন এই খবরে এমনিতেই শত শত লোক জড়ো হয়েছিলেন। দুই-আড়াই ঘণ্টা ধরে জেসিজে, চ্যান্স দ্য র্যাপার ও বিগ সিয়েন গানের ফাঁকে ফাঁকে হিলারির প্রতি তাদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। তবে তুমুল জনপ্রিয় গ্র্যামি বিজয়ী শিল্পী বিয়ন্স যে আসছেন তা একরকম চেপেই রেখেছিলেন আয়োজকেরা। বিয়ন্স মঞ্চে ওঠেন সবার পর গান তো গেয়েছেনই, কেন হিলারিকে ভোট দিতে হবে সে সম্পর্কেও নিজের ভাবনার কথা বলেছেন। আপনি যে-ই হোন না কেনÑ শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ, মেক্সিকান, এশীয় বা মুসলিম তাতে কিছুই যায় না। আমার ভাইপো এক মেধাবী কৃষ্ণাঙ্গ। সে একজন আফ্রিকান আমেরিকানকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেয়েছে। আমি এটা ভেবে উজ্জীবিত হই। আমি চাই আমার মেয়ে দেখুক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট একজন নারী। সে বিশ্বাস করুক সবার জন্যই এখানে অপার সম্ভাবনা। স্বামী জেসিজের সঙ্গে তাঁর দ্বৈত পরিবেশনার পর মঞ্চে ওঠেন হিলারি। তখন মিলনায়তনের সব তরুণ ভোটার দাঁড়িয়ে চিৎকার করে হিলারির প্রতি তাঁদের সমর্থনের কথা জানান। এছাড়াও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কেটি পেরিকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। এদিকে, হিলারিকে ঘিরে ওয়েলমিংটনে তরুণ ভোটারদের যে উন্মাদনা, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনসভায় দৃশ্যত ছবিটা সে রকম ছিল না। দেখা যায়, ট্রাম্প তাঁর সমাবেশে হিলারির কড়া সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প বলেন, আমার জেলো, জেসিজে কাউকে লাগে না। আমার গিটার বা পিয়ানো কোনোটারই দরকার নেই। নানা কারণে সমালোচিত ট্রাম্পের সঙ্গ এড়িয়ে চলছেন নিজের দলেরই অনেক নেতা। তিনি মূলত প্রচার চালাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী-পুত্র, কন্যাকে নিয়ে। কোনো বিষয়েই খুব পরিষ্কার করে কিছু বলছেন না। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ২৫ সাংবাদিকের চারজন ট্রাম্পের সমাবেশে থেকে গিয়েছিলেন। ৭২ বছরের এক নারী বলেন, সত্যি বলতে কি, ট্রাম্পকে আমি পছন্দ করি না। কিন্তু তিনি গর্ভপাতবিরোধী বলে আমি তাঁকে সমর্থন করি। কথা হয় কাইল কক্স ও মেলিসা কক্স দম্পতির সঙ্গে। কাইল ডেমোক্র্যাট সমর্থক ছিলেন। এবার ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছেন। কাইলের স্ত্রী মেলিসার পছন্দ হয়েছে ট্রাম্পের মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের বিষয়টি। কমপক্ষে চারজন শ্বেতাঙ্গ বলেছেন, ট্রাম্প উল্টোপাল্টা বলে ফেলেন। কারণ, তিনি সাধারণ মানুষের মতো। প্যাঁচগোজ বোঝেন না। এই শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর কর্মজীবী শ্রেণী ট্রাম্পের সমর্থনের একটা বড় ভিত্তি। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।