প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাংলাদেশের লেখক ও প্রকাশকদের নিউ ইয়র্ক বইমেলায় যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আগামীতে বহির্বিশ্বে বাংলা বইমেলার প্রসার ঘটাতে মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক-এর আয়োজিত বইমেলার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত ‘বহির্বিশ্বে বাংলা বইমেলা ও মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অভিবাসী বাঙালি সমাজ ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলা ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমেরিকায় প্রতি বছর নিউ ইয়র্ক বইমেলা ও বাংলাদেশ উৎসবের আয়োজন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এই বইমেলা ঘিরে আমেরিকায় প্রতিবছর বাঙালি লেখক, প্রকাশক ও পাঠকের মহামিলন ও চিন্তার যোগসূত্র তৈরি হয়। দীর্ঘ ৩০ বছরের পথ চলায় প্রবাসে বাংলা ভাষার চর্চা, বাংলা বইয়ের প্রচার, বাংলা ভাষার প্রসার এবং দেশের বাইরে বাংলা ভাষার মর্যাদা বাড়ানোর জন্য মুক্তধারা নিউ ইয়র্কের রয়েছে বিশেষ অবদান। মুক্তধারা নিউ ইয়র্কের এই অবদানের কথা স্বীকার করে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বহির্বিশ্বে বাংলা বইমেলা ও মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভা। শাহ গ্রুপ-এর সহযোগিতায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব। আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ড. আতিয়ার রহমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কবি ও কথাসাহিত্যিক ইকবাল হাসান, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ, শিল্পী ও সাংবাদিক নবনীতা চৌধুরী ও নাট্যকর্মী ও গবেষক বাবুল বিশ্বাস। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক শাহ মো: সানাউল হক। কবি ইউসুফ রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ও কবি শ্যামসুন্দর শিকদার। আলোচকদের প্রায় সকলেই বহির্বিশ্বে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশে মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক তথা মুক্তধারা ফাউন্ডেশন এবং এর প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিত সাহার নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অর্থনীতিবিদ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিয়ার রহমান ও কথাসাহিত্যিক ও কবি ইকবাল হাসান তাদের বক্তব্যে বহির্বিশ্বে বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি বিকাশে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানান। মুক্তধারা নিউইয়র্ক ১৯৯৬ সালে আমেরিকার মূলধারার ৪০টি লাইব্রেরিতে বাংলা বই পাঠানো শুরু করে। ২০০০ সালে বিশ্বজিত সাহার পরিকল্পনা ও প্রয়াত লেখক ড. হুমায়ূন আজাদের রচনায় প্রকাশিত হয় ‘আওয়ার বিউটিফুল বাংলাদেশ’ গ্রন্থ, যা অভিবাসী বাংলাদেশী সমাজের সাথে নতুন প্রজন্মের সেতুবন্ধনের কাজ করে। মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক ও মুক্তধারা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিত সাহার উদ্যোগ ও প্রস্তাবনায় ২০০৫ সালে বহির্বিশ্বের ৩৬টি দেশের বাঙালিদের নিয়ে নিউইয়র্কের ম্যানহাটান সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিশ্বব্যাপী বাংলা ও বাঙালি’ বিষয়ক অনুষ্ঠান। তাছাড়া ২০১২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিকে নিউইয়র্কের স্টেট সিনেটর হোজে পেরাল্টা কর্তৃক উত্থাপিত আন্তর্জাতিক মতৃভাষা দিবসকে নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নর রেজ্যুলেশন হিসেবে পাশ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।