মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রেক্সিটের বিপক্ষে সংসদীয় ভোট হবে সর্বশেষ রাজনৈতিক হাতবোমা, এমনটাই মনে করেন ব্রেক্সিটের পক্ষে ক্যাম্পেইনকারীরা। সংসদীয় ভোট ছাড়া আর্টিকেল-৫০ বাস্তবায়ন করা যাবে না হাইকোর্টের এমন রুল জারি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে নানা শ্রেণী-পেশার ব্রেক্সিটপন্থিরা। যুক্তরাজ্যের ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টির এক নেতার মতে, যদি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে না আসে তাহলে দেশে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি ব্রেক্সিট না হয় তাহলে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেয়া ১৭ মিলিয়ন মানুষ খুশি হতে পারবে না এবং দেশে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্রেক্সিটের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়া রাজ্য বোস্টনের কাউন্সিলর স্টিফেন র্যাভেন। তিনি বলেন, যদি ব্রেক্সিট না হয় তাহলে আমরা শান্ত থাকব না, এটি সাধারণ কথা নয়, বিপ্লব ঘটে যাবে, বিপ্লব হবেই। এমনকি যদি ব্রেক্সিটের বিপক্ষে রায় যায় তাহলেও ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেয়া ৭৫.৬ শতাংশ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখবে শহরবাসী। যুক্তরাজ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টির প্রধান নাইজেল ফারাগ গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে আর্টিকেল-৫০ বন্ধ বা বিলম্বের ব্যাপারে রাজনৈতিক শ্রেণীকে উল্লেখ করে বলেছেন, যদি এমনটি হয় তাহলে কীভাবে জনগণের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে সে ব্যাপারে তাদের কোনো ধারণা নেই।
এদিকে, ব্রেক্সিটের পক্ষে ৬১ শতাংশ ভোট দেয়া সান্ডারল্যান্ডের যুক্তরাজ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টির শাখা প্রধান এলান ডেভিস আর্টিকেল-৫০ নিয়ে হাইকোর্টে রিটকারীদের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যারা এ কাজ করছে তারা নিজেদের মতো করেই ভাবছে তারা দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য যা সঠিক তা করছে না এবং তারা চাইছে বেশিরভাগ মানুষ তাদের মতো করেই ভাবুক। যে সুশীল সমাজ ব্রেক্সিটের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে এটা তাদের একটা ব্যবসা, এমনকি বিচারকেরা তারই একটা অংশ, এতে আমি অবাক হচ্ছি না যদিও কিছুটা বিরক্ত। ডেভিস বলেন, যদি ব্রেক্সিট না হয় তাহলে পৃথিবীতে নরক নেমে আসবে, জনগণ যা চায় তার জন্য তারা যুদ্ধও করতে পারে। গণভোটের রাতে সবচেয়ে বেশি বোস্টন এবং দক্ষিণ হল্যান্ডের মানুষ হাইকোর্টের বিচার নিয়ে রাগান্বিত বলে করেন লিঙ্কনশায়ারের কাউন্সিলর মিস আয়লিং। যদি ব্রেক্সিট না হয় তাহলে ২০০২ সালের মতোই অবস্থা হবে যেখানে গ্রামীণ বিক্ষোভকারীরা লেবার পার্টির বিপক্ষে লন্ডন থেকে দেশজুড়ে লংমার্চ করে, তখন দাঙ্গা থামানোর জন্য শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টিই থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ব্রেক্সিটের পক্ষে চতুর্থ বৃহৎ ৭২.৩ শতাংশ ভোট পাওয়া এসেক্সের ইনডিপেন্ডেন্ট পার্টির নেতা গ্রাহাম স্নেল বলেন, যে শব্দটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো অভিজাত। আমরা জানি, তাদের উপর আমরা বিশ্বাস করতে পারি না। এটাই হলো মূল কথা। স্নেল আশাবাদী যে আপিলের বিপক্ষেই রায় হবে। আর যদি পার্লামেন্টের ভোটের মাধ্যমে ব্রেক্সিট না হয় তাহলে ভোটাররাই তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে, যা হবে সর্বশেষ রাজনৈতিক হাত বোমা। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।