নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ রাউন্ডের শুরুতে নিজেদের হোমভেন্যূতে কষ্টের জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। অন্যদিকে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গতকাল বিকালে রাজধানীর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় স্বাগতিক কিংসরা ১-০ গোলে হারায় আরেক স্বাগতিক শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে। বিজয়ী দলের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন রবিনহো। প্রথম ম্যাচের পর ফের পয়েন্ট খোঁয়ানোর শঙ্কা জেগেছিল বসুন্ধরা কিংসের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে শঙ্কামুক্ত করলেন রবিনহো। সেই সঙ্গে দলের হয়ে টানা পঞ্চম জয় তুলে নিলেন তিনি।
কাল ম্যাচের শুরুটা ছিল বেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ। নিজেদের হোমভেন্যুতে দু’দলই খেলেছে সমানতালে। গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন উভয় দলের ফরোয়ার্ডরাই। ফলে গোলশূন্য প্রথমার্ধ শেষ হলে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে নিশ্চিত গোল হজমের হাত থেকে বেঁচে যায় শেখ রাসেল। এসময় কিংস অধিনায়ক রবিনহোর পাসে প্রতিপক্ষের বক্সে বল পান ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া। বলটা শুধু জালে ঠেলে দিতে পারলেই গোল পেতে পারতেন অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। তবে রাসেল ডিফেন্ডারদের চাপের মুখে শটটা ঠিকভাবে নিতে পারেননি মতিন। ৮১ মিনিটে রাসেলের বক্সে দ্রুতগতিতে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন রবিনহো। তাকে অবৈধভাবে বাধা দেন ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন চৌধুরী। রেফারি আলমগীর সরকার পেনাল্টির বাঁশি বাজান। এতে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেন শেখ রাসেলের ফুটবলাররা। তবে রেফারি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। ৮৩ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবিনহোর স্পটকিক সরাসরি রাসেলের জালে আশ্রয় নিলে মান বাঁচে বসুন্ধরার (১-০)। শেষ পর্যন্ত এই গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। ম্যাচ জিতে ছয় খেলায় পাঁচ জয় ও এক হারে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ফের তালিকার শীর্ষে উঠে এলো বসুন্ধরা কিংস। সমান ম্যাচে এক জয়, দুই ড্র ও তিন হারে ৫ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে শেখ রাসেল।
এদিন মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে লিগের আরেক ম্যাচে শিরোপা প্রত্যাশি শেখ জামাল ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে মোহামেডানের বিপক্ষে। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও প্রথমে গোল পায় শেখ জামাল। ম্যাচের ৩২ মিনিটে জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড অধিনায়ক সোলোমান কিং কনফর্ম গোল করে দলকে এগিয়ে নেন (১-১)। প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ে (৪৫+২ মিনিট) মোহামেডানের মালির ফরোয়ার্ড অধিনায়ক সোলায়মানে দিয়াবাতে গোল করে সমতা আনেন (১-১)। সমতায় থেকে দু’দল বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধের আর গোল হয়নি। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠে ছাড়ে মোহামেডান-জামাল। ছয় ম্যাচ শেষে তিনটি করে জয় ও ড্রতে ১২ পয়েন্ট পেয়ে তালিকায় তৃতীয়স্থানে শেখ জামাল। সমান ম্যাচে দুই জয়, তিন ড্র ও এক হারে ৯ পয়েন্ট পাওয়া মোহামেডানের অবস্থান পাঁচে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।