মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোরিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজির গবেষক শিন বিওম-চুল এএফপিকে বলেছেন, ‘ইউক্রেন সংকট নিয়ে মার্কিন আগ্রহ ইউরোপে স্থানান্তরিত হয়ে গেছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও কাজ করতে পারছেনা। আর উত্তর কোরিয়া এই সুযোগটিকেই কাজে লাগাচ্ছে। এই সূযোগে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র বানিয়ে ফেলতে পারে’।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই ‘ইউক্রেন সংকটের মূল হোতা’ বলে অভিযোগ করেছে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।
পোস্টটি করেছেন উত্তর কোরিয়ার সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স স্টাডির গবেষক রি জি সং। তার ভাষ্য অনুযায়ী ওয়াশিংটন ‘তার নিরাপত্তার জন্য রাশিয়ার বৈধ দাবিকে উপেক্ষা করে সামরিক আধিপত্যের’ নীতি অনুসরণ করার ফলেই এই যুদ্ধ বেধেছে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে শনিবার আপলোড করা ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেন সংকটের মূল কারণটিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্ছৃঙ্খলতা এবং স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যে নিহিত রয়েছে’।
‘ডবল স্ট্যান্ডার্ড’ ধরে রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করে রি জি সং বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতার’ নামে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে, ‘কিন্তু তারা অন্য দেশগুলোর কোন সঙ্গত কারণে নেওয়া আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপের নিন্দা করে। তারা শুধু নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে’।
পোস্টে আরও বলা হয়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একার রাজত্বের দিন শেষ’।
তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘উপসংহার হল যে যা ঘটছে তার সবই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারণে ঘটছে। মূল বিষয় হল আপনার ক্ষমতা না থাকলে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন’।
উত্তর কোরিয়ার বন্ধু রাষ্ট্র চীনও ইউক্রেন সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করেছে।
ওদিকে, রবিবার সকালে উত্তর কোরিয়া ফের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। চীনের বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের এক মাস শান্ত থাকার পরে অস্ত্র-পরীক্ষা পুনরায় শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া। চলতি বছরে এটি উত্তর কোরিয়ার ৮ম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতির ব্লু হাউস উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে ‘গভীর উদ্বেগ এবং গুরুতর অনুশোচনা’ প্রকাশ করে বলেছে এমন এক সময়ে উত্তর কোরিয়া ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শুরু করেছে ‘যখন বিশ্ব ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান করার চেষ্টা করছে’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।