Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ফের রাশিয়ার অভিযান শুরু

জাতিসংঘের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো : ভোটদানে বিরত চীন, ভারত. আমিরাত জেলেনস্কি কিয়েভ ছেড়ে পালিয়েছেন : ডুমার স্পিকারের দাবি রাশিয়ায় থাকা পশ্চিমাদের সম্পদ জব্দের ঘোষণা মস্কোর

মুহাম্মদ সানাউল্লাহ | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৮ এএম

ইউক্রেনের সাথে সম্ভাব্য আলোচনার জন্য শুক্রবার বিকেল থেকে প্রধান বাহিনীর অগ্রযাত্রা স্থগিত থাকলেও কিয়েভের পক্ষ থেকে নেতিবাচক মনোভাব দেখানোয় সেনা অভিযান ফের চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। শুক্রবার রাতে কিছুটা শান্ত থাকার পর গতকাল ফের কিয়েভের রাস্তায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের দক্ষিণের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর মেলিতোপোল দখল করেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র রামযান কাদিরভ এবার ইউক্রেনে মস্কোর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুুতিন ও সরকারের বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দের প্রতিশোধ হিসেবে রাশিয়াও সেদেশে থাকা পশ্চিমাদের সম্পদ জব্দের ঘোষণা দিয়েছে। রাশিয়া গতকাল বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড এবং চেক প্রজাতন্ত্রের বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। আফগানিস্তানে তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে যে, তারা সঙ্কট-বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে আফগান নাগরিকদের সরিয়ে নিতে কাজ করছে।
ইউক্রেনের দক্ষিণের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর মেলিতোপোল দখল করেছে রাশিয়া। মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্স এবং স্পুটনিক জানাচ্ছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে জাপোরিঝঝিয়া এলাকার মেলিতোপোল শহরের নিয়ন্ত্রণ এখন রাশিয়ার হাতে। মেলিতোপোল ইউক্রেনের মারিয়োপোল বন্দরের কাছে মাঝারি আয়তনের একটি শহর। সেখানে দেড় লাখ মানুষের বাস।
শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে পেশ করে আমেরিকা। সেই প্রস্তাবে ভোট না দিয়ে কার্যত রাশিয়ার পাশেই দাঁড়ায় ভারত। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে চীন এবং আরব আমিরাতও। অস্ট্রেলিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, জর্জিয়া, জার্মানি, ইটালি, লিউচটেনস্টাইন, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, রোমানিয়া এবং ব্রিটেন সহযোগী রাষ্ট্র হিসেবে প্রস্তাবের সমর্থন করে। প্রস্তাবের বিরুদ্ধে স্বাভাবিকভাবেই ভেটো দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়া।
কিয়েভের সাথে প্রত্যাশিত আলোচনার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন শুক্রবার বিকেলে ইউক্রেনে সৈন্য অগ্রযাত্রা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিপরীত পক্ষ আলোচনা করতে অস্বীকার করায় গতকাল শনিবার বিকেলে সেনাবাহিনীর অগ্রযাত্রা আবার শুরু হয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গতকাল সাংবাদিকদের একথা বলেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, যেহেতু ‘মূলত, ইউক্রেনীয় পক্ষ আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে, আজ (শনিবার) বিকেলে প্রধান রাশিয়ান সেনাবাহিনীর অগ্রগতি পরিকল্পনা অনুযায়ী পুনরায় অভিযান শুরু করেছে’।
কিয়েভ ছেড়ে পালিয়েছেন জেলেনস্কি : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পালিয়েছেন বলে দাবি করছে রাশিয়া। রাশিয়ার পার্লামেন্ট ডুমার স্পিকার ব্যাচেসøাভ ভলোদিন বলেছেন, জেলেনস্কি ইতোমধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী ত্যাগ করেছেন। নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে স্পিকার ভায়াচেসলাভ ভলোদিন লিখেছেন, জেলেনস্কি দ্রুত কিয়েভ ছেড়েছেন। শুক্রবার তিনি ইউক্রেনের রাজধানীতে ছিলেন না। দলবল নিয়ে তিনি কিয়েভ ছেড়ে লভিভে পালিয়েছেন। সেখানে তিনি এবং তার সহযোগীরা আগেই থাকার জায়গা ঠিক করে রেখেছিলেন। ভলোদিন আরও বলেছেন, জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব ভিডিও প্রকাশ করেছেন, তা আগেই রেকর্ড করে রাখািছিল। ইউক্রেনের আইনসভার সদস্যদের কাছে থেকে জেলেনস্কির পালিয়ে যাওয়ার তথ্য এসেছে বলে জানিয়েছেন রুশ এই স্পিকার।
এদিকে, রাশিয়ার প্রবল হামলার মুখে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তার সেনাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে গুঞ্জন ওঠার পর ফের নতুন একটি ভিডিওবার্তা দিয়েছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। নিজের ধারণ করা এই ভিডিওতে তিনি ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘অনলাইনে অনেক ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছে। আমি সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণের নির্দেশ দিয়েছি ও নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছি এমন তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু আমি এখানেই আছি। আমরা অস্ত্র ছাড়ব না এবং দেশ রক্ষা করব।’
ইউক্রেনের রাজধানীর রাস্তায় এখন গুলির লড়াই চলছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর। হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক রাজধানী ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই আটকে পড়েছেন। রাজধানীতে রুশ সৈন্যদের তীব্র হামলার মুখে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মার্কিন এই ‘সাহায্য’ ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। জেলেনস্কি বলেছেন, ‘লড়াই এখানে; আমার গোলাবারুদ দরকার, আমাকে সরিয়ে নেওয়ার দরকার নেই।’
কিয়েভে ব্যাপক সংঘর্ষের কারণে শত শত হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া কামানের গোলার আঘাতে কিয়েভের অনেক আবাসিক ভবন, সেতু ও স্কুল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া হামলার মাধ্যমে রাশিয়া ইউক্রেনের সরকারকে উৎখাত করতে পারে, এমন ইঙ্গিতও জোরালো হয়েছে।
বিদেশি নাগরিক ও কোম্পানির অর্থ জব্দের ঘোষণা : ইউক্রেনে হামলার জেরে বিদেশে রুশ নাগরিক ও কোম্পানির অর্থ জব্দের জবাবে রাশিয়ায় থাকা বিদেশি নাগরিক এবং কোম্পানির অর্থ জব্দের ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। গতকাল রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপ্রপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ এই ঘোষণা দিয়েছেন। দিমিত্রি মেদভেদেভের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থা আরআইএ বলেছে, রাশিয়ায় থাকা বিদেশি নাগরিক এবং কোম্পানির অর্থ জব্দ করছে মস্কো। বিদেশে রুশ বিভিন্ন নাগরিক এবং কোম্পানির অর্থ জব্দের জবাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য অঞ্চলে নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর সম্পদও রাশিয়ার জাতীয়করণ করার সম্ভাবনার কথা বলেছেন দিমিত্রি মেদভেদেভ।
রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা দিমিত্রি মেদভেদেভ শনিবার বলেছেন, ইউক্রেনে তার অভিযানের জন্য মস্কোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে তার দেশের আর পশ্চিমের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রয়োজন নেই। মেদভেদেভ বলেন যে, নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়াকে কৌশলগত (পারমাণবিক) স্থিতিশীলতার সংলাপ থেকে এবং সম্ভাব্যভাবে, ২০১০ সালে ওয়াশিংটনের সাথে স্বাক্ষরিত নিউ স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি থেকে যা ২০২১ সালে বর্ধিত হয়েছে তা থেকে সরে আসার একটি ভাল সুযোগ দিয়েছে।
রাশিয়ান সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ভিকে-তে তার যাচাইকৃত পৃষ্ঠায় মন্তব্যে মেদভেদেভ লিখেছেন: ‘আমাদের বিশেষ করে কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রয়োজন নেই... দূতাবাসে তালা লাগানোর এবং দূরবীন এবং বন্দুকের দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে’। তিনি রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করার জন্য অধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইউরোপীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে ‘সত্যিই অন্যায়" হিসাবে নিন্দা করেন।
রাশিয়ার সঙ্গে চেচেন যোদ্ধাদের যোগদান : ইউক্রেনের দক্ষিণের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর মেলিতোপোল দখল করেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র রামযান কাদিরভ এবার ইউক্রেনে মস্কোর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের এই নেতা বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে তার চেচেন যোদ্ধাদের পাঠিয়েছেন, যারা রুশ সৈন্যদের সাথে হাত মিলিয়ে যুদ্ধ করবে।
অনলাইনে পোস্ট করা এক ভিডিওতে রামযান কাদিরভ বলেন, চেচেন বাহিনী এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের একটি সামরিক স্থাপনা সফলভাবে দখল করেছে। ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই প্রজাতন্ত্রের নেতা রুশ প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ একজন মিত্র। রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন করে কাদিরভ বলেছেন, ইউক্রেনের ওপর হামলা চালানোর যে সিদ্ধান্ত পুতিন নিয়েছেন তা মস্কোর শত্রুদের ইউক্রেনের মাটি ব্যবহার করে রাশিয়ার ওপর হামলা চালানোর সুযোগ প্রতিহত করবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, রাশিয়া নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর ব্যবস্থা নিতে সক্ষম। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘অবশ্যই নিষেধাজ্ঞার ক্ষয়ক্ষতি প্রশমিত করার জন্য এবং সমস্ত অর্থনৈতিক ক্ষেত্র এবং সিস্টেমের বাধাহীন অপারেশন নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’। পেসকভ জোর দিয়ে বলেন যে, রাশিয়ার ‘এটি করার সমস্ত সম্ভাবনা রয়েছে’। ক্রেমলিনের মুখপাত্র যোগ করেছেন, ‘এটি এমন পরিস্থিতির জন্য আগেই তৈরি করা হয়েছিল’। তিনি বলেন, ‘প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থাগুলো নির্ধারণ করার জন্য বিশ্লেষণের প্রয়োজন হবে যা আমাদের স্বার্থকে সর্বোত্তম পরিবেশন করবে’।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার সকালে এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন যে, ডনবাস প্রজাতন্ত্রের প্রধানদের অনুরোধের প্রতিক্রিয়ায় তিনি ‘যারা দুর্ব্যবহারে ভুগছেন এবং তাদের সুরক্ষার জন্য একটি বিশেষ সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’। রাশিয়ান নেতা জোর দিয়ে বলেন যে, মস্কোর ইউক্রেনের অঞ্চল দখলের কোন পরিকল্পনা নেই।
উদ্ঘাটিত অগ্রগতিগুলো স্পষ্ট করার সময় রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আশ্বস্ত করেছে যে, রাশিয়ান সৈন্যরা ইউক্রেনীয় শহরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে না, তবে তারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকিং এবং ইউক্রেনীয় সামরিক অবকাঠামোকে অক্ষম করার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বেসামরিক জনগণের জন্য কোন হুমকি নেই। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর বিরুদ্ধে একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করার অভিযোগ করেছেন। তিনি জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, ইউক্রেনীয়রা রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের দেশকে রক্ষা করবে।
এদিকে রাশিয়ার অভিযান ঠেকাতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী, আউটম্যান গতকাল একটি প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। তারা রাজধানী কিয়েভ এবং অন্যান্য শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ রাখতে লড়াই করছে। কিয়েভ জুড়ে গোলাগুলি এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি ভিডিওতে বলেছেন যে, তার দেশের যোদ্ধারা ‘শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করেছে এবং সফলভাবে প্রতিহত করেছে’।
গতকাল আফগানিস্তানে তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে যে, তারা সঙ্কট-বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে আফগান নাগরিকদের সরিয়ে নিতে কাজ করছে। অন্তর্বর্তী আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল কাহার বলখি বলেছেন, ‘সরকার ইউক্রেনে আফগান নাগরিক এবং ছাত্রদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বিগ্ন এবং তার নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখতে এবং তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সমস্ত সুবিধা এবং যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করছে’।
বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্রের জন্য আকাশসীমা বন্ধ : রাশিয়ার ফেডারেল এজেন্সি ফর এয়ার ট্রান্সপোর্ট গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়া তাদের বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের বন্ধুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড এবং চেক প্রজাতন্ত্রের বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। সূত্র : তাস, এপি, বিবিসি বাংলা, রয়টার্স ও আল-জাজিরা।



 

Show all comments
  • Koli Mridha ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৩১ এএম says : 0
    পশ্চিমারা লাগায় দিয়ে চুপ করে আছে । ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এই ভূল পথে হাটার মাশুল সারাবিশ্বকে দিতে হবে । সাধারন মানুষ মরুক কি বাচুক তাদের কি যায় আসে
    Total Reply(0) Reply
  • Mujib Hasan ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৩২ এএম says : 0
    গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে" জার্মানিতে তৈরি প্রাণঘাতী অস্ত্র তৃতীয় কোন দেশের ইউক্রেনে সরবরাহের ওপর জার্মানির যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, জার্মানি তা তুলে নিয়েছে। এই পদক্ষেপের অর্থ হল নেদারল্যান্ডস এখন জার্মানিতে তৈরি রকেট চালিত গ্রেনেড উৎক্ষেপক ইউক্রেনে পাঠাতে পারবে। জার্মানির অস্ত্র নীতিতে এটা বড়ধরনের একটা পরিবর্তন এবং এর ফলে ইউক্রেনে ইউরোপের দেশগুলোর সামরিক সহায়তা বাড়বে। এসব দেশের কাছে যেসব সমরাস্ত্রে আছে, তার বেশিরভাগই অংশত জার্মানিতে তৈরি। কাজেই এসব অস্ত্র কোথায় ব্যবহার হবে ও কোথায় রপ্তানি হবে, সে বিষয়ে জার্মানি মত দিতে পারবে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জার্মানির ইউক্রেনকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেয়া প্রত্যাখ্যান করার পেছনে এই নীতির কথাই বারবার উল্লেখ করেছিলেন জার্মান চান্সেলার ওলাফ শোলৎজ।
    Total Reply(0) Reply
  • Biplob Uddin ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৩২ এএম says : 0
    যুদ্ধ বন্ধ হোক শান্তি ফিরে আসুক। সমস্যা সমাধান হোক আলোচনার মাধ্যমে। দুই দেশে যুদ্ধ শুরু হলে সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকে না। এটা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরে। অশান্তির আগুন
    Total Reply(0) Reply
  • Tanvir Siddiqi ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৩২ এএম says : 0
    ইউক্রেনের কান্না দেখে আমি মোটেও অবাক নই। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যের আর্তনাদ দেখে আমি বড় হয়েছি। ওরা লাগুক মরুক বুঝুক রক্তের রঙ কেমন মৃত লাশের গন্ধ কেমন! আল্লাহ বুঝার তাওফিক দিন। তবে মুসলমান সকল অন্যায়ের বিপক্ষে থাকবে এটাই ইসলামের আদর্শ।
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad Akram ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৩ এএম says : 0
    রাশিয়া আগ্রাসন চালাচ্ছে বিশ্বকে দেখাতে নয় বরং ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ নিতে এটা ভুলে গেলে হবে না মিঃ প্রেসিডেন্ট ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad HR Jisan ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৩ এএম says : 0
    পুতিন যদি এই অভিযানের উদ্দিশ্য হাছিল করতে না পারে.. তাহলে মুখ লুকোনোর জায়গা পাবেনা।এমনিতে যে সব নিষেধাজ্ঞা আসছে,আরো হয়ত আসবে,সব মিলিয়ে কোমড় ভেংগে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Rabiul Hasan ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৩ এএম says : 0
    They always stood Against the affected- Iraq, Afghanistan, Libia, Palestine. And now when they are the one affected, they wants whole world to stand with them. What an irony
    Total Reply(0) Reply
  • Ghum Kutum ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৪ এএম says : 0
    ন্যাটো বাহিনীকে কাঁচ কলা দেখিয়ে পুরাটাই দকল নিবে রুশ বাহীনি।
    Total Reply(0) Reply
  • Towhid Bin Alam ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৪ এএম says : 0
    আমেরিকা যে কারো বন্ধু রাষ্ট্র হয় না, এবার ইউক্রেন বুঝলো ।
    Total Reply(0) Reply
  • Fabiha Bushra ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৫ এএম says : 0
    চুপ থাকেন সবাই, এদের কে শান্তি পূর্ণ ভাবে যুদ্ধ করতে দিন। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা আমরা অনেক দেখছি এশিয়া তে, মিয়ানমারে সাধারণ মানুষ যখন শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে তখন পশ্চিমারা চুপ থাকে, কোন জোরালো প্রতিবাদ করে না, ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্তানের সময় ও করেনি, এখন পশ্চিমারা মায়াকান্না দেখাচ্ছে বেশি অথচ এরকম আগে দেখে নেই কেউ ইরাক আফগানিস্তান এর সময় , এখন ইউরোপের যুদ্ধ দেখি, এদের কে খেলতে দিন।
    Total Reply(0) Reply
  • খালিদ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:২৯ এএম says : 0
    কি শুরু হয়ছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ