মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদারে ন্যাটো জোট এই প্রথমবারের মতো দ্রুত পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের মতো ‘রেসপন্স ফোর্স’ মোতায়েন করছে বলে জানিয়েছেন ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলেনবার্গ। খবর ফক্স নিউজের। ন্যাটো নেতাদের অংশগ্রহণে এক ভিডিও সম্মেলনের পর স্টলেনবার্গ বলেন, বর্তমানে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি ইউক্রেন বাহিনী সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে এবং তারা সত্যিকার অর্থে আগ্রাসী রুশ বাহিনীকে প্রতিরোধে সফল হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাপক পরিসরে রাশিয়ার-ইউক্রেন আগ্রাসন চলছে। তারা রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং মস্কো বলেছে, ইউক্রেন সরকারের পরিবর্তন করা হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য। স্টলেনবার্গের সতর্ক বাণী হচ্ছে, ক্রেমলিনের আগ্রাসনে নন-ন্যাটো সদস্য দেশ ইউক্রেনের পাশের ইউরোপের সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক নতুন স্বাভাবিক’ হুমকি সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে আমাদের বাধা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করেছি। শুক্রবার ন্যাটোর মিত্র দেশগুলো আমাদের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা কার্যকর করেছে। ফলে আমরা আমাদের অবস্থান আরও জোরদারে এবং যে কোনো দৈব ঘটনা দ্রুত মোকাবিলায় স্থল, নৌ ও আকাশ সীমান্তে ন্যাটো রেসপঞ্জ ফোর্সের (এনআরএফ) বিভিন্ন শক্তি মোতায়েন করছি।’ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনের আগ্রাসন শুরুর পর পূর্বাঞ্চলীয় সদস্য দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মিত্র দেশগুলোর হাজার হাজার সৈন্য পৌঁছেছে। স্টলেনবার্গ বলেন, আমরা শতাধিক যুদ্ধবিমান সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রেখেছি এবং ৩০টির বেশি আলাদা স্থানে তা পরিচালনা করা হচ্ছে। তাছাড়া একেবারে উত্তরাঞ্চল থেকে ১২০টির বেশি জাহাজ ভূমধ্যসাগরে পাঠানো হচ্ছে।’ তবে কোথায় পাল্টা বাহিনী পাঠানো হচ্ছে, সে ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। এদিকে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। -ভ্যানগার্ড। এই উত্তেজনার মধ্যে পূর্ব ইউরোপে আমেরিকার অত্যাধুনিক এফ-৩৫ জঙ্গিবিমানের একটি কন্টিনজেন্ট পৌঁছেছে। যখন ইউক্রেনের চলমান সংকটকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন এবং মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে তখন এই জঙ্গিবিমান পাঠানোর খবর এলো। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করে। এরপর আমেরিকা পূর্ব ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়া, লুথিয়ানিয়া ও রোমানিয়ায় ছয়টি এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান মোতায়েন করে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চলতি সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পূর্ব ইউরোপে সেনা এবং সামরিক সরঞ্জামাদি পুনর্বিন্যাসের যে নির্দেশ দিয়েছেন তার অংশ হিসেবে পূর্ব ইউরোপে এসব বিমান মোতায়েন করা হল। সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, এটি আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ, মোটেই আগ্রাসী পদক্ষেপ নয়। এসময় তিনি সুস্পষ্ট করে বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর কোনও ইচ্ছা আমেরিকার নেই। ফক্স নিউজ, ভ্যানগার্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।