Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

মমেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ, ‘পরিকল্পিত’ দাবি মমেক চিকিৎসকের

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:০৫ পিএম

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) ৫৩ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডাঃ আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

এ মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ডাঃ আবুল কালাম আজাদ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। তার কারণে আমাদের এক বড় আপু কলেজ ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি। এ সময় তারা ওই শিক্ষকের অপসারণ দাবি করে বলেন, আমরা এ রকম শিক্ষক চাই না।

তবে এ অভিযোগ পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন অভিযোগের তীর বিদ্ধ প্রফেসর ডাঃ আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, কেন বা কি কারণে বেশ কিছু শিক্ষার্থী আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তুলেছে তা আমার জানা নেই। তবে বেশ কিছুদিন যাবত আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে শুনছিলাম। অবশেষে তাই হয়েছে।

ডাঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বছর মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ফাইনাল সেমিষ্টারে ২২০ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে সার্জারিতে অকৃতকার্য হয়েছিল ৪৬ জন। এনিয়ে অকৃতকার্যদের মধ্যে একটা ক্ষোভ ছিল। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জন একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনে জড়িত।

তাদের দাবি করেছিল, আমি যেন তাদের পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেই। কারণ হিসেবে তারা বলেছে ‘রাজনীতি করতে হয়, পড়াশুনার সুযোগ কম।’ কিন্তু একজন শিক্ষক হিসেবে আমি তা করতে পারি না। কারণ এখান থেকে পাশ করে তারা চিকিৎসক হবে, এতে ‘মান’ তো রাখতেই হবে।

শিক্ষার্থীরা সন্তানতুল্য দাবি করে তিনি আরও বলেন, ধারণা করছি এবার পরীক্ষার রেজাল্ট হওয়ার আগেই ওই শিক্ষার্থীরা আমার উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে এ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছে। কিন্তু আমি এতে ভীত নই। আপনারা অনুসন্ধান করুন, জানুন আসল ঘটনা কি।
তবে নাশ প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, আবুল কালাম আজাদ ছাত্রলীগ বিদ্বেষী একজন মানুষ। তিনি অন্য ছাত্রদের স্বজনপ্রীতি দেখান, আর ছাত্রলীগের ক্ষেত্রে বিদ্বেষী মনোভাব পোষন করেন। এনিয়ে কথা বলার সুযোগ না থাকায় যৌন হয়রানির বিষয়টি সামনে নিয়ে প্রতিবাদ করছে শিক্ষার্থীরা।

এবিষয়ে প্রফেসর ডাঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি মমেক কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম। তৎকালীন তারেক-বাদল পরিষদে আমি ছাত্রলীগের সদস্যও ছিলাম। কিন্তু কতিপয় শিক্ষার্থী পড়াশুনা না করে ছাত্রলীগের ব্যনার ব্যবহার করে আমার প্রিয় সংগঠনকে কুলসিত করছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা দেখবেন বলে আশা করছি।

তবে বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ। তিনি বলেন, আজ আমি কলেজে নেই। ঘটনাটি এইমাত্র শুনেছি। আগে অভিযোগ বিষয়ে ভালো ভাবে জেনে নেই। অভিযুক্ত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ময়মনসিংহ

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ