Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাতিয়া ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র এগিয়ে চলছে নির্মাণ কাজ

নোয়াখালী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম


 হাতিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি নদী ভাঙনরোধ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। এরমধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের কাজ দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হাতিয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিদ্যুতের ঝলমল দেখতে পাবে জনগণ।
হাতিয়ার দ্বীপাঞ্চল ও নদীগর্ভে জেগে ওঠা বিশাল ভ‚মিকে প্রকৃতির আশির্বাদ হিসেবে দেখা হয়। একটি বৃহৎ জেলার আয়তনের সমান এখন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। হাতিয়া উপজেলার মূলভ‚খন্ডের উত্তরে রয়েছে এশিয়ার বৃহৎ সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্বর্ণদ্বীপ, পূর্বদিকে ভাসানচর রোহিঙ্গাদের আশ্রয় কেন্দ্র এবং পশ্চিম দক্ষিণে পর্যটন নগরী নিঝুমদ্বীপ। কিন্তু দ্বীপ উপজেলায় বিদ্যুৎ সমস্যা দীর্ঘদিনের। উপজেলা সদর ওছাখালীতে ডিজেল চালিত জেনারেটরের মাধ্যমে উৎপাদিত ’স্বল্প পরিমাণ’ বিদ্যুৎ মাত্র দু’একটি নির্দিষ্ট এলাকার চাহিদাও মেটাতে পারতো না। ফলে বিদ্যুৎ সমস্যায় এখানকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। অবশেষে সরকার হাতিয়া উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যার প্রেক্ষিতে দ্বীপ উপজেলায় ১ মেগাওয়াট ফার্নেস অয়ের ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ নির্মাণ কাজ চলছে।
হাতিয়া উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান জানান, হাতিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে ১৫ হাজার ৫০০ বৈদ্যুতিক খুঁটি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে অধিকাংশ সড়কে ইতোমধ্যে খুঁটি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হাতিয়া জাহাজমারা থেকে নিঝুমদ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৬ মেগাওয়াট, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৯ মেগাওয়াট ও পরে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এছাড়া ২০৩০ সাল পর্যন্ত চাহিদা বেড়ে ২০-২৫ মেগাওয়াট হতে পারে। ভবিষ্যতে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেলে নোয়াখালী সদরের মান্নান নগর গ্রীড থেকে ১৩২ কেভি লাইন সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে হাতিয়া উপজেলায় সরবরাহের প্রস্তবনাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, হাতিয়া উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ হলে জনসাধারণের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে। হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এখানে কুটির ও মাঝারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। সংরক্ষণের অভাবে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা সামুদ্রিক মৎস বিনষ্ট হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহের পর এখানে মৎস প্রক্রিয়াজাত কারখানা চালু হবে। এক কথায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ হলে এখানকার জনজীবন পাল্টে যাবে।
নোয়াখালী-২ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস ইনকিলাবকে জানান, হাতিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হচ্ছে। এ জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। হাতিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল বিদ্যুৎ। প্রধানমন্ত্রী হাতিয়াবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করেছেন।

 

 



 

Show all comments
  • মোঃসাহেদ ৬ অক্টোবর, ২০২২, ৯:১২ এএম says : 0
    আমি চাকরি করতে চাই ইলেকট্রিশিয়ান
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাতিয়া

২৩ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ