Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতীয় স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদ তুরস্কের অধিকার গোষ্ঠীগুলোর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে মুসলিম হেডস্কার্ফ বা হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তুরস্কের বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) শনিবার ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভ করেছে। ফ্রি থট অ্যান্ড এডুকেশনাল রাইটস সোসাইটি (ওজগুর্ডার) এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সলিডারিটি ফর দ্য অপ্রেসড (মজলুমদার) আয়োজিত হিজাব পরার জন্য কিছু ভারতীয় কলেজে মুসলিম মেয়েদের ক্লাসে নিষেধাজ্ঞার পর ভারতীয় কনস্যুলেটের চারপাশে বিক্ষোভ হয়। প্রতিবাদ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ওজগুর্ডার চেয়ার রিদভান কায়া বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা ছিল মুসলিমবিরোধী প্রবণতা এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদের চরম পরিণতি, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উৎসাহিত হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ২০ কোটি ভারতীয় মুসলমানদের ‘দমন’ অবশ্যই শেষ হতে হবে। মানবাধিকার কর্মী এবং আইনজীবী গুলডেন সোনমেজ তার পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলেন যে, নিষেধাজ্ঞা অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, আমরা কোনো ধর্মের সদস্যদের পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করি না। হিজাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় যখন গত মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম কর্ণাটক প্রদেশের উদুপি জেলার একটি সরকারি কলেজে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরে ক্লাসে যেতে বাধা দেওয়া হয়।

উদুপি কর্ণাটকের ধর্মীয়ভাবে সংবেদনশীল উপকূলীয় অঞ্চলের তিনটি জেলার মধ্যে একটি, যেটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডানপন্থী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ঘাঁটি। অচলাবস্থা সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে ভয় ও ক্ষোভ বাড়িয়ে দিয়েছে, যারা বলে যে, দেশের সংবিধান তাদের যা চায় তা পরার স্বাধীনতা দেয়। নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বেড়েছে, এই মাসে শত শত লোক কলকাতা এবং চেন্নাইতে বিক্ষোভ করেছে। ইস্যুটিতে মুসলিম মেয়েদের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এবং নোবেল শান্তি বিজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের সমর্থনের অভিব্যক্তি প্রকাশ পেয়েছে। সম্প্রতি, রাজ্যের হাইকোর্টের একজন বিচারক নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন একটি বৃহত্তর প্যানেলে পাঠিয়েছেন। ভারতীয় সংবিধানে নিশ্চিত করা ধর্মীয় স্বাধীনতার পরীক্ষা হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে বিষয়টিকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখা হচ্ছে। ১১ ফেব্রুয়ারি ইউএস অফিস অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (আইআরএফ) বলেছে যে, হিজাব নিষিদ্ধ ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে এবং নারী ও মেয়েদের কলঙ্কিত ও প্রান্তিক করে’। জবাবে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের মন্তব্য স্বাগত নয় এবং বিষয়টি বিচারিক পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে। সূত্র : ডেইলি সাবাহ।



 

Show all comments
  • jack ali ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:২১ পিএম says : 0
    Muslim don't protest, Muslim take direct action like our Beloved Prophet [SAW] and rightly guided Calipha.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ