মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সোমবার বলেছেন, পাকিস্তান আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আইটি রফতানির মাধ্যমে ৫ হাজার কোটি ডলার আনার লক্ষ্য করছে। গত কয়েক বছরে আইটি রফতানির পরিমাণ ২০০ কোটি থেকে ৪৫০ কোটি ডলার হয়েছে বলে তিনি জানান। ‘আমরা কিছু কাজ করেছি এবং শুধুমাত্র কিছু প্রণোদনা দিয়েছি (এবং) আমাদের যুবকরা একবারে এর সুবিধা নিয়েছে।’
সোমবার ইসলামাবাদে ই-কমার্স পাকিস্তান কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ইমরান খান এসব কথা বলেন। রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, এ দিন তিনি পাকিস্তানে ফ্রিল্যান্সার এবং ব্যবসার প্রচার ও সুবিধার্থে ই-কমার্স পোর্টালের উদ্বোধন করেন। মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সাম্প্রতিক পাকিস্তান সফর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, তিনি তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কারণ গেটস নির্বাচিত কয়েকজন বিলিয়নেয়ারের মধ্যে ছিলেন যারা বিশ্বকে সাহায্য করার জন্য তাদের সময় এবং সম্পদ উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
‘তারা যেভাবে পাকিস্তানে পোলিওতে সাহায্য করেছে, আমি অবাক হয়েছি। পাকিস্তানে তার কী আগ্রহ থাকতে পারে?’ তিনি জিজ্ঞাসা করেন, গেটস পাকিস্তানে পোলিও নির্মূল প্রচেষ্টার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন। তিনি আরও বলেন যে, তিনি গেটসকে পাকিস্তানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কারণ তাকে দেশের আইটি সেক্টরে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্য ছিল। ‘সুতরাং আমি এখনই কোনো ঘোষণা দেব না, তবে আগামী দিনে ভালো খবর দেব।’
ইমরান খান একটি হালকা স্বরে তার বক্তৃতা শুরু করেন, এই বলে যে পিটিআই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত বাক্যটি ছিল ‘ঘবরানা নেহি হ্যায়’ (চিন্তা করবেন না)। ‘কারণ: আমরা যখন সরকারে আসি তখন (পরিস্থিতি) খুব খারাপ ছিল। সবাই জানত দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে। আমি তখন জানতাম যে আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাব (এবং) আমি আমার দলের জন্য উদ্বিগ্ন ছিলাম।’
তার ক্রিকেটীয় দিনের কথা স্মরণ করে, তিনি বলেছিলেন যে, পাকিস্তান যখন সবচেয়ে কঠিন দল - ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলেছিল - তাকে তার খেলোয়াড়দের বলতে হয়েছিল ‘ঘবরানা নেহি’ (চিন্তা করবেন না)। ‘তাই যখন আমরা সরকারে আসি, আমাকে প্রথমে আমার মন্ত্রিসভাকে ঘাবরানা না বলতে হয়েছিল। আর আজ আমি বিরোধীদের বলছি: ঘাবরানা নেহি।’
তথ্যপ্রযুক্তি খাত সম্পর্কে মন্তব্য করে তিনি বলেন যে, এটি মূলত ‘যুব-চালিত’। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, যারা এই সেক্টরে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন তারা তাদের ২০ বছর বয়সের মধ্যে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। ‘আজও, বয়স্ক লোকদের আইটি সেক্টরে অল্প বয়স্ক লোকদের অধীনে কাজ করতে হবে,’ তিনি বলেন, ভবিষ্যত দ্রুত ডিজিটাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ‘এটি একটি প্রযুক্তিগত বিপ্লব যা আমাদের দেশ এবং তার যুবকদের কোনো অবস্থাতেই মিস করা উচিত নয়।’
প্রধানমন্ত্রী ইমরান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, সরকার আরও প্রণোদনা প্রবর্তন করবে এবং দেশের যুবকদের সুবিধার্থে পরামর্শের পর বাধাগুলো অপসারণ করবে। তিনি আরও ঘোষণা করেছেন, সরকার নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারদের কর থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘আইটি এর সাথে সম্পর্কিত কারণ এটি আমাদের ভবিষ্যত,’ তিনি বলেন, সরকার দেশের যুবকদের প্রশিক্ষণের জন্য অর্থ ব্যয় করছে। তিনি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি নারীদের শ্রেষ্ঠত্বের সুযোগ দিয়েছে। ‘এখানে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। কখনও কখনও সেগুলো সাংস্কৃতিক সমস্যা, কখনও কখনও পিতামাতারা তাদের মেয়ে যে পরিবেশে কাজ করে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাই এটি সবচেয়ে সহজ সুযোগ প্রদান করে।’ তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন এই বলে যে, সরকার সুযোগ সৃষ্টি এবং জনগণকে সুবিধা প্রদান অব্যাহত রাখবে। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।