Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে গণঅভ্যুত্থান গড়ে তোলার প্রত্যয় বিএনপির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

ভাষা আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়নে দেশে গণঅভ্যুত্থান গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ভয়াবহ একটা ফ্যাসিজম এই দেশের উপরে চলছে- এটাকে সরানো জন্য, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্যে, ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমানের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এখানে একটি গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করবো। তার মধ্য দিয়ে সত্যিকার অর্থে আমরা একুশের চেতনাকে বাস্তবায়িত করবো।

গতকাল সোমবার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, শহীদ জাব্বার, সালাম, বরকতসহ অনেকে সেদিন রাজপথে তাদের রক্ত দিয়ে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা প্রতিষ্ঠা করার জন্যে আত্মত্যাগ করেছিলেন। তারই ফলোশ্রুতিতে আমাদের সেই সময়ে পাকিস্তান আমলে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছিলো। বাংলাদেশের এই তরুনেরা তারাই একমাত্র নিজেদের মাতৃভাষাকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য এই আত্ম বিসর্জন দেয়ার এই নজির আর খুঁজে পাওয়া যায় না। ৭০ বছর আগে এই ভাষা আন্দোলনের যে মূল চেতনা ছিলো আমাদের স্বাধীকারের চেতনা, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার চেতনা, একটি মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা, আমরা সকলে কথা বলতে পারবো, স্বাধীন চিন্তাগুলো প্রকাশ করতে পারবো, বাক স্বাধীনতা থাকবে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকবে। সবচেয়ে বড় ইচ্ছাটি ছিলো আমাদের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে সেই চেতনায় আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো যুদ্ধে। পরবর্তীকালে শহীদ জিয়াউর রহমান প্রথম একুশে পদক প্রবর্তন করেছিলেন। তারপর থেকে একুশে পদক শুরু হয়েছে। কিন্তু দুর্ভগ্য আমাদের এমন একটি সরকার আমাদের এদেশের জনগণের ওপরে চেপে বসে আছে যারা জনগণনর সমস্ত আশা-আকাক্সক্ষাগুলো দমন করছে এবং একুশের চেতনাকে ভুলন্ঠিত করে দিয়েছে। আজকে জনগণের ভোটের অধিকার, বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে এবং এই দেশের অর্থনীতিকে পুরোপুরিভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং বাংলা ভাষা এখনো সর্বস্তরে প্রচলিত হয়নি।

সরকারের দমনপীড়নের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় গৃহবন্দি হয়ে আছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব মিথ্যা মামলায় দেশ থেকে বহু দূরে নির্বাসিত হয়ে আছেন। অগণিত মানুষ আজকে মিথ্যা মামলায় পড়ে আছে। এই থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হবে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় বিএনপি মহাসচিব দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। নেতৃবৃন্দের সাথে কালো পতাকা হাতে নিয়ে সহাস্রাধিক হাজার নেতা-কর্মী শহীদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন।

এই সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শ্যামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ভোর ৬টায় বলাকা সিনেমা হলের কাছে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমবেত হয়ে প্রভাতফেরী সহকারে প্রথমে যায় আজীমপুরে কবরাস্থানে ভাষা শহীদদের কবর জিয়ারত করেন এবং তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। সেখানে থেকে নেতৃবৃন্দ প্রভাতফেরী করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি

১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ