Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মসুলে তুমুল লড়াই

ছয়টি এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে আইএস, ওড়ানো হয়েছে ইরাকের জাতীয় পতাকা

প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইসলামিক স্টেটের জিহাদিদের শক্তঘাঁটি মসুলের ছয়টি এলাকার গত শুক্রবার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর এখন শহরটির পূর্বঞ্চলে আইএস জিহাদিদের কঠিন প্রতিরোধের মুখে রয়েছে ইরাকি সরকারি বাহিনী। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। সরকারী বাহিনী সর্ব শক্তি দিয়ে আইএস জিহাদিদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। মসুলে এই প্রথমবার তারা আক্রমণ চালালো। বেশকিছু সরকারি সাঁজোয়া যান আল-কারামাহ-এ প্রবেশ করেছে এবং তারা ব্যাপকভাবে আইএস জিহাদিদের প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। সরকারি বাহিনীর এক কর্মকর্ত জানান, আমরা এ ধরনের প্রতিরোধ আশা করিনি। তারা সমস্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, সেখানে এখনও ব্যাপকসংখ্যক আইএস জিহাদি রয়েছে। তারা নতুন করে পরিকল্পনা করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সিটিএসের কিছু সৈন্য এখনো শহরের মধ্যে রয়েছে। শুক্রবারের অভিযানে সরকারি বাহিনীর পাঁচটি রেজিমেন্ট অংশ নেয়।
আইএস নেতা জিহাদকে দুর্বল হতে না দেয়ার অঙ্গীকারের একদিন পরই জিহাদি গোষ্ঠীটি গত শুক্রবার ছয়টি এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারালো। ইরাকের সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মসুলের কাছের মালাঈন, সামাহ, খাদরা, কারকুকলি, কুদস ও কারামার দখল নিয়েছে সরকারী বাহিনী। অভিযানে অনেক আইএস যোদ্ধা হতাহত হয়েছে এবং সেখানকার ভবনগুলোতে ইরাকের পতাকা উড়ানো হয়েছে। মাত্র একদিন আগে ইন্টারনেটে আইএস এর শীর্ষ নেতা আবু বকর আল বাগদাদি একটি অডিও বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে বাগদাদিকে আইএস যোদ্ধাদের তুরস্ক দখলের অভিযান শুরুর আহ্বান জানাতে শোনা যায়। ইরাকের এলিট কাউন্টার টেরোরিজম সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, বিশেষ বাহিনী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করেছে এবং মসুলের চারদিক তারা প্রায় ঘিরে ফেলেছে। বিশেষ বাহিনীর একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, সিটিএস বাহিনী টাইগ্রিস নদী ধরে সবদিক দিয়ে আইএসকে চেপে ধরার চেষ্টা করছে। মসুলের কেন্দ্রস্থল দিয়ে টাইগ্রিস নদী প্রবাহিত হয়েছে। ইরাকের টেলিভিশনে প্রচারিত যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে মসুলের পূর্বাঞ্চলে ধূসর ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। ইরাকি সেনাবাহিনীর লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল কাশিম জসিম নাজাল রয়টার্সকে বলেন, আইএস যোদ্ধারা পালানোর পথ খুঁজছে। বিশেষ বাহিনী মসুল শহরের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি জানান। তিন সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিমান বাহিনীর সহায়তায় ইরাকের নিয়মিত সেনাবাহিনী ও বিশেষ বাহিনী, শিয়া গেরিলা, কুর্দি পেশমের্গা যোদ্ধা এবং আরও কয়েকটি বাহিনীর যোদ্ধাদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ বাহিনী আইএস-র দখল থেকে মসুল পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু করে। দুই বছর আগে মসুলের একটি মসজিদ থেকেই ইসলামিক খেলাফত কায়েমের ঘোষণা দিয়েছিলেন আইএস নেতা বাগদাদি। এএফপি, আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মসুলে তুমুল লড়াই

৬ নভেম্বর, ২০১৬
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ