মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : আর মাত্র দুই দিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখন চলছে শেষ প্রচারণা। বলতে গেলে প্রার্থীরা প্রচারণা করছেন ভোটারদের একেবারে অন্দরমহলে ঢুকে। দুই প্রধান প্রার্থী, হিলারি ক্লিনটন আর ডোনাল্ড ট্রাম্প চেষ্টা করছেন, যেসব ভোটাররা এখনো ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি, তাদের সমর্থন আদায়ের। বিবিসির খবরে বলা হয়, শেষমুহূর্তে প্রার্থীরা সুইং স্টেট অর্থাৎ যেসব অঙ্গরাজ্যে ভোটাররা যেকোনো একজনকে বেশি ভোট দিলে নির্বাচনের ফলাফল তার দিকে ঝুঁকে যাবে, এমন স্টেটগুলো নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এছাড়া ভারতীয় উপমহাদেশে নির্বাচনী প্রচারণা বলতে ব্যানার, পোস্টারে শহর যেমন ছেয়ে যায় তেমনটি সেখানে দেখা যাচ্ছে না। টেলিভিশনগুলোতে প্রার্থীরা বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। সেসব বিজ্ঞাপনে প্রার্থীরা নিজেদের ভালো দিকের চেয়ে একে অপরের ত্রুটিগুলো তুলে ধরছেন ভোটারদের সামনে। এছাড়াও ৮ই নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সাথে সাথে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। একজন ভোটার ঐদিন যেমন তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেবেন একই সাথে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ভোট দেবেন। কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী তবে মূল লড়াইটা হবে হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের। যদিও পরস্পরের প্রতি তাদের বাক্যবাণ চলছেই। এর মধ্যেই শুক্রবার পর্যন্ত ৩৭ লাখ আগাম ভোট পড়েছে। এছাড়াও ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে জিততে পারেন, এমন খবরে টানা নয়দিন ধরে মার্কিন শেয়ারবাজারের প্রধান সূচকগুলো কমছে। কারণ মঙ্গলবারের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে তার নীতি কি হবে, সেটি নিয়ে শঙ্কায় আছেন বিনিয়োগকারীরা। উল্লেখ্য, বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোস পরিচালিত ‘স্টেটস অব দ্য ন্যাশন’ জরিপের ফলে দেখা গেছে, ফ্লোরিডা ও নর্থ ক্যারোলাইনায় দুই প্রার্থী সমান অবস্থানে রয়েছেন। গত সপ্তাহে দোদুল্যমান কয়েকটি রাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার দৌড়ে দুই প্রার্থীর ব্যবধান কমে এসেছে। মিশিগানে হিলারির সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যবধান অনেকখানি কমেছে। ওদিকে, পেনসিলভানিয়ায় জরিপ ফল হিলারির দিকে ঝুঁকছে। দেশটির বড় দুই দলের প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর জনমত জরিপগুলোতে হিলারি প্রায় সবসময়ই এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে ট্রাম্প ব্যবধান কমিয়ে আনতে শুরু করেন। ট্রাম্পের এখন নির্বাচনে জয়লাভের বিশ্বাসযোগ্য সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। ট্রাম্প ফ্লোরিডা ও নর্থ ক্যারোলাইনা উভয় অঙ্গরাজ্যে জয়লাভ করলে তার হোয়াইট হাউজে প্রবেশের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। অন্যদিকে, ওই দুটি অঙ্গরাজ্যে হিলারি হারতেও পারেন আবার জিততেও পারেন। জিততে হলে একজন প্রার্থীকে অন্তত ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হবে। সর্বশেষ জরিপে হিলারির ২৫৬টি সলিড ইলেক্টোরাল ভোট এবং মোট ৩০২ ভোট জয়ের সম্ভাবনার ফল পাওয়া গেছে, ট্রাম্প ২৩৬ ভোট পেতে পারেন। যেখানে গত সপ্তাহের জরিপে হিলারির ২৭৮টি সলিড ইলেক্টোরাল ভোট এবং মোট ৩২০ ভোটে জয়ের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল, ট্রাম্পের ২১৮ ভোট পাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সে হিসাবে যে কোনো দিক দিয়েই গত সপ্তাহ থেকে ট্রাম্প নিজের অবস্থান উন্নত করেছেন। রয়টার্সের তথ্য মতে, গত এক সপ্তাহে ২৪টি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের সমর্থক বেড়েছে, কমেছে ১১টি অঙ্গরাজ্যে। অন্যদিকে, ১৩টি অঙ্গরাজ্যে হিলারির সমর্থন বেড়েছে, কমেছে ২২টিতে। গত শুক্রবার এফবিআই পরিচালক জেসম কোমি হিলারির পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ইমেইল আদান-প্রদান নিয়ে নতুন করে তদন্তের ঘোষণা দেন। প্রায় এক বছরের তদন্ত শেষে গত জুলাইয়ে এফবিআই হিলারির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করে। এজন্য হিলারিকে তিরস্কার করা হলেও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছিলেন এফবিআই পরিচালক কোমি। হিলারির ইমেইল নিয়ে নতুন করে আবার তদন্তের ঘোষণা তার জনপ্রিয়তায় প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোমির শুক্রবারের ঘোষণার পর ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান শিবির হিলারির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অন্যদিকে, হিলারি শিবিরের অভিযোগ, নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে এফবিআই-এর এধরনের ঘোষণা অন্যায্য এবং এটি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। এফবিআই-এর এই ঘোষণা নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট বোঝা না গেলেও গত শুক্রবারের ওই ঘোষণার পর মতামত জরিপগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েরই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গত সপ্তাহে সবগুলো জনমত জরিপ মিলিয়ে গড়ে ৪ থেকে ৭ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন হিলারি। কিন্তু এ সপ্তাহের জরিপে হিলারি-ট্রাম্পের ব্যবধান কমে মাত্র ২ থেকে ৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।