বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৭ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারবাহী একটি ট্রাক আড়াআড়িভাবে মহাসড়কে পড়ে আছে। এতে দীর্ঘ ২৯ ঘন্টা(আজ সোমবার রাত ৮টা রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) ধরে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের। চরম দুর্ভোগে পড়েছে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের ৩২ জেলার যাতায়াতকারী মানুষ।এতে মহাসড়কের কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী বলেন, উন্নত মানের বড় ক্রেন ছাড়া এই সিলিন্ডার সরানো সম্ভব হচ্ছে না। দীর্ঘক্ষণ ধরে মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে বাগেরহাটের মোংলা বন্দর থেকে বড় সিলিন্ডারবাহী ১০ চাকার একটি ট্রাক প্রায় ১৭ টন এলপিজি নিয়ে নাটোর যাচ্ছিল। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের মিরপুর বহলবাড়িয়া এলাকায় ভাঙাচোরা সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ওপর উল্টে যায়। আড়াআড়িভাবে পড়ে থাকায় উভয় দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে। এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ৩২ জেলার মানুষ যাতায়াত করে।
গ্যাস ভর্তি ভারী সিলিন্ডার হওয়ায় সেটি স্থানীয়ভাবে সরানো সম্ভব হয়নি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম পাবনার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠান। রাশিয়ান ওই দল এসে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার সরানোর বিষয়ে ঝুঁকির কথা জানিয়ে চলে যায়। সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হতে পারে, এ জন্য তারা ঝুঁকি নিতে চাননি।
ট্রাকচালকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, রাস্তার দূরাবস্থার জন্য এমন দুর্ঘটনা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী বলেন, বেক্সিমকো কোম্পানির এলপিজি সিলিন্ডারবাহী ট্রাকটি রাস্তার ওপর উল্টে আড়াআড়িভাবে পড়ে থাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ অত্যাধুনিক যন্ত্রের অভাব ও বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উদ্ধার কাজে হাত দেয়নি। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রাশিয়ান একটি টিমও উদ্ধার কাজে নামেনি। বিস্ফোরণ হলে যাতে ক্ষতি না হয়, সে জন্য উভয় পাশে বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সিলিন্ডার সরানোর জন্য বেক্সিমকো কোম্পানির একটি টিম কাজ করছে। আজ রাত ১২টা নাগাদ উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।