পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘সরকার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণের নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। বৈষম্য, শোষণ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জয় বাংলা স্লোগান বাঙালির সংগ্রামী সত্তার বহিঃপ্রকাশ। আমাদের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একটি পরিবারের কাছে ক্রমাগত বলি হয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আ স ম রব বলেন, সরকারদলীয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সব ঐতিহাসিক অর্জনগুলোকে সুকৌশলে আত্মসাৎ করছে। যারা জনগণের ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করে বাংলাদেশকে দুর্বৃত্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে তাদের পতনকে ত্বরান্বিত করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
রাজধানীর উত্তরাস্থ বাসভবনে আয়োজিত জেএসডিতে এক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি ছাড়াও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। যোগদানকারী নেতৃবৃন্দের মাঝে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনূর রহমান, মো. ফারুক হাসান, আজিজুল হক, মো. গোলাম মোস্তফা, শাহ আলম, রাশিদা ইসলাম, মজিবুর রহমান রিপন ও মাছুদুর রহমান অপু প্রমুখ রয়েছেন।
স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বাধীন নিউক্লিয়াসের অন্যতম দুই সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা আফতাব উদ্দিন আহমেদ এবং চিশতী শাহ হেলালুর রহমান ১৯৬৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে বাংলার মাটিতে সর্বপ্রথম জয়বাংলা স্লোগান উচ্চারণ করেন। তোমার আমার ঠিকানা -পদ্মা মেঘনা যমুনা, বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো - বাংলাদেশ স্বাধীন করো, স্বাধীন করো স্বাধীন করো - বাংলাদেশ স্বাধীন করো, তুমি কে? আমি কে? বাঙালি- বাঙালি, পিন্ডি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা। এসব স্লোগানও নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়। এসব স্লোগান ছিল স্বাধীনতাকামী বাঙালির প্রাণের স্পন্দন, স্বাধীনতার বীজমন্ত্র। স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ একটি পত্রিকা প্রকাশ করে ‘জয়বাংলা’ নামে এবং ছাত্রদের নিয়ে ‘জয়বাংলা বাহিনী’ও গঠন করা হয়।
সভায় অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ও কর্তৃত্ববাদী অপশাসন উচ্ছেদ, সব ধরনের স্বৈরাচার, অন্যায়-অবিচার ও উপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণজাগরণের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করার লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘বাঙালির তৃতীয় জাগরণের এই পর্যায়ে গণআন্দোলন সৃষ্টি করে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি পুনর্গঠনের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক কর্তব্য সম্পাদন করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।