পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব বলেছেন, করোনাভাইরাস জনিত মহামারির কারণে জাতি হিসেবে আমরা এক অভাবনীয় সংকটের সম্মুখীন হয়েছি। এর তীব্রতা এবং বিস্তৃতি আমাদের জাতিকে এখন এক মৌলিক আর দীর্ঘ দিনের অমীমাংসিত প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। আমরা কি এই বিপত্তি মোকাবিলার জন্য জাতি হিসেবে আবারও ১৯৭১ এর মতো একতাবদ্ধ হতে পারি না?’ করোনায় সৃষ্ট অভাবনীয় সংকটে জাতিকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গতকাল বিকালে রবের রাজনৈতিক সচিব শহীদুল্লাহ ফরায়জী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
আ স ম রব বলেন, সরকার আর সরকারের বাইরে এখন সবার এক কাতারবন্দি হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সামাজিক, রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক সব ভেদাভেদ ভুলে এখন সবার একজোট হওয়ার সময়।
রব বলেন, যিনি চিকিৎসক বা চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত তিনি তো বটেই, এছাড়াও সমাজের প্রতিটি অংশকেই এই প্রচেষ্টার সঙ্গে একাত্ম হতে হবে। সরকার করোনা প্রটোকল অনুযায়ী সবার বিচরণ সীমিত করে তাদেরকে ঘরে আবদ্ধ রেখেই নিজের একক প্রচেষ্টায় এই বিপদ থেকে উত্তরনের পথ খুঁজছে। এতে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী জাতীয় প্রয়াসের সঙ্গে একাত্ম হচ্ছে না। সবাই ঘরে থাকাটাই জাতীয় কর্তব্য পালন বলে মনে করছে এবং সরকার চিকিৎসক আর প্রশাসনের ওপর বাকি দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছে।
আ স ম রব বলেন, যে পেশায়ই থাকুন না কেন, সবাইকে এই সংকটে ভ‚মিকা নিতে হবে। এর মানে এই নয় সবাইকে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে হবে। যিনি ওষুধের কারখানা বা পোশাকের কারিগর তার সরাসরি অবদান দৃষ্টিগ্রাহ্য, যিনি লেখক কবি বা বুদ্ধিজীবী তার অনুপ্রেরণাদানকারী লেখা এখন প্রার্থনীয়, যিনি প্রকৌশলী তার চিন্তায় করোনা মোকাবিলার জন্য স্বল্প প্রয়াসে আপতকালীন হাসপাতাল উদ্ভাবন, যিনি রাজনীতিবিদ, ক্ষমতার ভেতরে বা বাইরে যেখানেই থাকুন, তার কাজ এখন মানুষকে উদ্বুদ্ধ আর সংগঠিত করা। যাতে বিত্তবানরা তাদের ভ‚মিকা পালন করে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখে ইত্যাদি। যিনি নিজের জীবিকা নির্বাহের জন্য শুধুই খেটে খান তাকেও মনে মনে একাত্ম হতে হবে এই প্রয়াসের সঙ্গে। যা কিনা জাতীয়ভাবে আমাদের এক লৌহ কঠিন ঐক্যের বেদিতে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। আমরা ৭১ এ এরকম ঐক্যই গড়ে তুলেছিলাম। আমরা সবাই অস্ত্র হাতে যুদ্ধে যাইনি, দেশের ভেতরে থেকেও স্ব স্ব অবস্থান হতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছি। তেমনি আজও সবার রাস্তায় বেরিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে না, কায়মনো বাক্যে আমাদের এই প্রয়াসে নিজেকে সামিল করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার আর ক্ষমতাসীন দলকে এই উদ্যোগের কান্ডারি হতে হবে। তাদেরকে সব রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, যৌথ বা একক ব্যক্তি, সব শ্রেণি পেশা দল মত ও স্তরের জনগণকে একই প্লাটফরমে এসে এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য খোলা মন নিয়ে আহ্বান করতে হবে।
রব বলেন, রাজনৈতিক বিভেদ আমাদের প্রধান বিভাজক। তাই রাজনীতিবিদদের কাছে বিশেষভাবে এই আহ্বান পৌঁছাতে হবে যাতে ভেদাভেদের যে দেয়াল গড়ে উঠেছে, সবাই মিলে তা অপসারণ করে যেন এই সংকট পার করতে পারি। করোনাকালে গড়ে ওঠা এই ঐক্যই জাতিকে আবারও জাগিয়ে তুলবে। আসুন, আমরা এই সুযোগ কাজে লাগাই এবং মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন জাগ্রত রাখি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।