মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আমতার ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকাণ্ডে বিক্ষোভ অব্যাহত। গতকাল এই ঘটনায় হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপার সৌম্য রায়কে ভবানী ভবনে তলব করা হল। ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পুলিশ সুপারের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে এদিনও পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
এদিন ফরেন্সিক টিম নিয়ে আনিসের বাড়ি যায় পুলিশ। সংগ্রহ করা হয় নমুনা। ঘটনার দেড়দিন পেরিয়ে গেলেও মৃত্যুরহস্যের কিনারা এখনও হয়নি। পরিবারের অভিযোগ, গত শুক্রবার রাতে আমতায় আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিল ‘পুলিশ’। তিন সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক পুলিশ অফিসার গিয়েছিলেন। ওই চারজনই জোর করে বাড়ির তিনতলায় উঠে যায়। কিছু পরেই ভারী কিছু উপর থেকে নীচে পড়ার আওয়াজ পেয়েই ছুটে যান বাড়ির লোকেরা। তারা দেখেন, আনিস পড়ে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আনিসের বাড়ির লোকেদের দাবি, সেই সময় যারা বাড়িতে এসেছিল তারাই ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে আনিসকে। অর্থাৎ তাঁদের ইঙ্গিত ‘পুলিশের’ দিকেই।
যদিও আমতা থানার তরফে জানানো হয় যে, শুক্রবার রাতে কোনও পুলিশ আনিস খান নামের কোনও ছাত্রের বাড়িতে যায়নি। প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে গত রাতে যে তিন সিভিক ভলান্টিয়ার, এক পুলিশ অফিসার আনিসের বাড়িতে ঢুকেছিলেন তারা কারা? ফলে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে রহস্য বাড়ছে। পুলিশের অনুমান, পুলিশের উর্দি পরে আততায়ীরা আনিসের বাড়িতে ঢুকে এই কাণ্ড করেছে। আনিসের বাবা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, গতকাল আনিসের বাড়িতে যান বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব-অভিনেতা কৌশিক সেন এবং সমাজকর্মী বোলান গঙ্গোপাধ্যায়। তারা আনিসের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানান। কৌশিক সেন বলেছেন, একটা প্রতিবাদী মুখ, জনপ্রিয় ছাত্র-যুবককে প্রকাশ্যে খুন করা হল আর প্রশাসন নির্বিকার! মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রশাসনের কাছে আমাদের আর্জি দ্রুত এর তদন্ত করে দোষীদের উচিত শাস্তি দিন। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।