Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সার্চ কমিটি দিয়ে নিরপেক্ষ ইসি সম্ভব নয়

জাতীয় প্রেসক্লাবে মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের দিয়ে নিরপেক্ষ ইসি গঠন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আবারো ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো একটা নির্বাচন কমিশন বানিয়ে তাদের (আওয়ামী লীগের) ক্ষমতাকে তারা পাকাপোক্ত করতে চায়, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়।

গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দি ইউনিভার্সেল একাডেমী’র উদ্যোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জীবন-কর্মের ওপর ‘স্মৃতির অ্যালবাম’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে আজকে তাদের ন্যূনতম অধিকার, ভোট দেয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ইসি বা নির্বাচন কমিশন তৈরি করা হচ্ছে। আমরা পূর্বেই বলেছি যে, এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনো কাজ হবে না যদি না নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার পরিবর্তন না হয়, সেটা নির্দলীয়ভাবে।
দুদক কর্মকর্তার চাকুরিচ্যুত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তাকে তাকে অপসারণ করা হয়েছে এবং কেনো অপসারণ করা হয়েছে? তিনি যে ব্যক্তিগুলোকে চিহ্নিত করেছিলেন যে এরা দুর্নীতি করছে, সেই মানুষগুলোই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, তিনি নাকী দুর্নীতি পরায়ণ। কোন রকমের সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়াই তাকে অপসারণ করা হয়েছে। এই দেশ দুর্নীতি একটা ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেটার সম্পূর্ণভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে সরকার।

চাঁদপুরে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির অধিগ্রহনের শিক্ষামন্ত্রীর আত্বীয়-স্বজনের সম্পৃক্ততার সংবাদ তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে টঙ্গীর যে রাস্তা এই রাস্তার প্রতি কিলো মিটারের খরচ দেখানো হয়েছে ২১৩ কোটি টাকা যা পৃথিবীর কোথাও নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীত এবং এটি ছড়িয়ে পড়েছে ক্যান্সারের মতো ব্যাধির মতো। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুর্নীতি করছেন ভিসিরা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যারা কাজ করছেন তারা দুর্নীতি করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, মেডিকেল কলেজগুলোতে দুর্নীতি করা হচ্ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-শিক্ষাতে এমন একটা জায়গা নাই যেখানে দুর্নীতি করা হচ্ছে না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল।

স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার গ্রন্থের বিষয়ে বলেন, এই গ্রন্থ কোনো প্রবন্ধ বা কোনো নভেল বা সাহিত্য নয়। আমার জীবনে আমার কাছে যে সকল ছবিগুলো সংরক্ষিত ছিলো আমরা মনে ভেতরে পরিকল্পনা আসলো যেহেতু এই ছবিগুলো আমার আছে সেগুলো দিয়ে একটা বই হতে পারে। আমি বিশ্বাস করি যে, ছবি কথা বলে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সুপ্রিম কোর্টের নবীন আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার মারুফ হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ইউসুফ হায়দার, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আবদুল লতিফ মাসুম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, আলোকচিত্র সাংবাদিক নুর উদ্দিন আহমেদ নুরু, প্রকাশক শিহাব উদ্দিন ভুঁইয়া প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। এই অনুষ্ঠানে বিএনপি বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীসহ ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা অংশ নেন।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৩:৪২ এএম says : 0
    যখন সামরিক শাসন চলে রাজনৈতিক ঘৃষকৃতকারীরা বলেন সেনা শাসন ভালো নয়,সামরিক বাহিনীর হাতে কি জন্য ক্ষমতা যায়,এখন জনগণ কে বুঝতে হবে,যখন এই ভাবে রাজতন্ত্রের চিন্তা ভাবনা করেন,তখনই সেনা শাসনের পয়োজন হয়,কিন্তু জনগণ রাজনৈতিক ঘৃষকৃতকারীদের কথা শুনে অযথা সেনা শাসন কে দোষী করেন,আসলেই যখন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ক্ষমতা এক নায়ক তন্ত্র হতে চায়,তখনই সেনা শাসন আসে,বর্তমানে বাংলাদেশের যে অবস্থা শেষ পযন্ত কি করতে হবে সেটি অবশ্যই সেনা সন্তানদের চিন্তা করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন কমিশন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ