মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গ্রিসের কোর্ফু দ্বীপের কাছে একটি ফেরিতে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় এখনও ১১ জন নিখোঁজ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ‘ইউরোফেরি অলিম্পিয়া’তে আগুন ধরার পরপরই উদ্ধারকারী নৌকাগুলো ফেরিটির ২৯০ আরোহীকে সরিয়ে নিতে তড়িঘড়ি করে ছুটে যায়। ফেরিটির হোল্ডের ভেতর আটকে থাকা ২ লরিচালকেও উদ্ধার করতে সক্ষম হয় তারা। ইউরোফেরি অলিম্পিয়া গ্রিসের ইগোমেনিৎসা থেকে ইতালির ব্রিনদিসি বন্দরে যাচ্ছিল; পথিমধ্যে ফেরিতে থাকা একটি গাড়ির ডেকে আগুন ধরে যায় বলে জানিয়েছে বিবিসি। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ও ঘন ধোঁয়া বের হওয়া শুরু হলে ক্যাপ্টেন সবাইকে ফেরি ত্যাগের নির্দেশ দেন। ইতালির কোম্পানি গ্রিমালডি লাইনসের মালিকানাধীন ১৮৩ মিটার দীর্ঘ ফেরিটিতে মোট ২৩৯ যাত্রী ও ৫১ ক্রু ছিল বলে জানিয়েছে গ্রিসের কোস্টগার্ড। যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন ইতালির নাগরিক; ক্রুদের মধ্যে ইতালিয়ান ও গ্রিক উভয়ই ছিলেন, বলেছেন আইওনিয়ান দ্বীপের গভর্নর রোডি ক্রাৎস্কা-সাগারোপোলৌ। ইতালির কর্মকর্তারা প্রথমে ফেরির ২৭৭ আরোহীকে নিরাপদে সরিয়ে আনার কথা জানান; ওই আরোহীদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভোগা ও সামান্য আঘাত পাওয়া ১০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার কয়েক ঘণ্টা পর উদ্ধারকর্মীরা ফেরির হোল্ডে আটকে থাকা দুইজনের কাছে পৌঁছাতে পারেন, পরে ওই দুইজনকে এয়ারক্রাফটের সাহায্যে সরিয়ে নেওয়া হয়। নিখোঁজ ১১ জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ফেরি ত্যাগ করতে ক্যাপ্টেনের নির্দেশের পর ঠিক কতজন ইউরোফেরি অলিম্পিয়া ছাড়তে সক্ষম হয়েছিলেন, তা নিশ্চিত হতে শুক্রবার দিনভর চেষ্টা করেছেন কর্মকর্তারা। গ্রিসের গণমাধ্যমকে ফেরিটির এক যাত্রী বলেছেন, যখন সতর্ক সংকেত বেজে উঠেছিল, তখনও অনেকে তাদের গাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। ‘ইউরোফেরি অলিম্পিয়া’ গ্রিসের পশ্চিম উপকূলের ইগোমেনিৎসা দ্বীপ থেকে স্থানীয় সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৫০ মিনিটে ব্রিনদিসির পথে রওনা হয়। ফেরির হোল্ডে থাকা কোনো একটি গাড়ির ডেক থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্রুরা প্রথমে নিজেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ওই চেষ্টা ব্যর্থ হলে ক্যাপ্টেন আনুমানিক ৪টা ২০ মিনিটের দিকে সবাইকে ফেরি ত্যাগের নির্দেশ দেন। “ফেরি ত্যাগ করার এক ঘণ্টার মধ্যেই ক্রুরা আমাদের উদ্ধার করেন,” গ্রিক টিভিকে এমনটাই বলেছেন এক যাত্রী। ফেরিটির যাত্রী ও ক্রু সবাই এরিকুসা দ্বীপের কাছে লাইফবোটে চাপেন; পরে কাছাকাছি থাকা জাহাজগুলো তাদের তুলে নেয়। ফেরিটির পাশ দিয়ে যাওয়া ইতালির শুল্ক বিভাগের একটি জাহাজ ঘটনাস্থলে সবার আগে পৌঁছায়। ইতালির শুল্ক পুলিশ পরে জানায়, তাদের টহল নৌযান মন্টে স্পেরোনে ফেরিটির ২৪৩ আরোহীকে উদ্ধার করে। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকেও ফেরিটিতে আগুন দেখা গেছে। গ্রিসের বিশেষায়িত একটি উদ্ধারকারী দল আগুন ধরার ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর নৌযানটিতে নামতে সক্ষম হয়েছে। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।