Inqilab Logo

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

প্রশ্ন : (ক) দুধভাই ওয়ারিশের কোনো ভাগ পাবে কি? (খ) তারাবীহ পড়িয়ে, কোরআন খতম করে হাদিয়া গ্রহন করা জায়েজ আছে নাকি? (গ) মসজিদে দেরিতে এসে কাতার ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া ঠিক কিনা? (ঘ) নামাযের শেষ বৈঠকে দরূদ, দুআয়ে মাছুরা না পড়লে গোনাহ হবে নাকি?
উত্তর : (ক) দুধ ভাই বোন কিছুই পাবে না। (খ) শর্ত ছাড়া, হাত পাতা ছাড়া, পাওয়ার আশা ছাড়া প্রাপ্ত সব টাকা-পয়সা, খাদ্য, জামা-কাপড়, ঈদের উপহার, হাদিয়া ইত্যাদি তারাবীহ পড়ানো সম্মানিত হাফেজ সাহেব নিতে পারেন। (গ) কাতার পূরণের জন্য অন্যকে কষ্ট না দিয়ে যাওয়া যায়। তবে নিজেকে বড় মনে করে দম্ভ নিয়ে অন্যদের কষ্ট দিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। (ঘ) গোনাহ হবে না, কারণ এসব ফরজ ওয়াজিব নয়। তবে নামাজ অপূর্ণাঙ্গ ও অসুন্দর হবে।
প্রশ্ন : একজন স্বামীর প্রতি একজন স্ত্রীর কি দায়িত্ব রয়েছে ইসলামের আলোকে জানালে মুসলিম নারী সমাজ উপকৃত হবে। জানাবেন আশা করি।
উত্তর : স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দায়িত্ব তিনটি: ১. স্বামীর দৈহিক, মানসিক সংগ দেওয়া। ২. তার বিশ্বাস, আস্থা, সংসার, সন্তান ও সহায়-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করা। ৩. শরীয়তসম্মত ও সামাজিক বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য করা।
প্রশ্ন : কারো মোবাইলে যদি অজ্ঞাত ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক আসার পর সে ওই ওয়াইফাই নেটওয়ার্ককে নিজ মোবাইলে কানেক্ট করে নেট ব্যবহার করতে থাকে, তাহলে এটা তার জন্য জায়েজ হবে কি না? যদি জায়েজ না হয়ে থাকে, তা হলে যতটুকু গই ব্যবহার করেছে এর মূল্য ফেরত দেয়া লাগবে কি না? ফেরত দিতে
আরাফাত আহমেদ, ইমেইল থেকে।
উত্তর : উত্তম হলো অজ্ঞাত মালিকের ওয়াইফাই লাইন পেলেও ব্যবহার না করা। তবে যতদূর জানা যায়, একটি ওয়াইফাই লাইনের খরচ অধিক ব্যবহারেও কমবেশি হয় না। নির্দিষ্ট টাকা দিলেই চলে। মালিকের যে সমস্যাটা হতে পারে সেটি হচ্ছে, তার নিজের ওয়াইফাই ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হতে পারে। অতএব, বিনা অনুমতিতে অপরের জিনিস ব্যবহারের মতোই এমন ওয়াইফাই ব্যবহারও শরিয়তে অনুমোদিত নয়। অবশ্য মালিক জানা থাকলে, তার সাথে কথা বলে সম্মতি নিয়ে ব্যবহারে কোনো দোষ নেই। যদি কেউ ব্যবহার করে থাকে, তা হলে সুযোগে এর বিনিময় বা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ইচ্ছা মনে পোষণ করতে হবে। সম্ভব না হলে আন্দাজ করে কিছু টাকা ওই মালিকের নামে আল্লাহর রাস্তায় দান করে দেয়া ভালো। কোনো পাবলিক প্লেসে বা যে কোনো কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থায় ওয়াইফাই ব্যবহারে কোনো সমস্যা নেই।
যদি নিজের ঘরেও ব্যাপক আকারে অন্য কারো লাইন এভেইলেবল থাকে, মনে হয় মালিকের কোনো অসুবিধা হবে না, বা জানলেও তারা কিছু বলবে না, তা হলে মাকরূহ পর্যায়ে (শরিয়তে অপছন্দনীয় ও অনুত্তম কাজ হওয়া সত্ত্বেও) এর ব্যবহার অনুমোদিত হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ