পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ মার্চে তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন। দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার জন্য হারজোগের এটি পরিকল্পিত সফর। এর আগে বৃহস্পতিবার তুরস্কের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল ইসরাইল সফরে গেছে। খবর ডেইলি সাবাহর। প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগানের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা এবং দেশটির সরকারের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন। তার সাথে আছেন তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেদাত ওনাল। গত বুধবার তুর্কি এ প্রতিরিধিদলটি বুধবার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে জেরুজালেমে বৈঠক করেছে। ৪ ফেব্রুয়ারি কিয়েভ থেকে ফেরার সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান বলেছিলেন, ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট মার্চের মাঝামাঝি তুরস্ক সফরে আসছেন। এরদোগান বলেছিলেন, তুরস্ক ইসরাইলের প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করতে পারে এবং গ্যাস ইউরোপে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একসাথে কাজ করতে পারে। ইসরাইল ও তুরস্ক বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক অ্যালন উশপিজ গোপনে তুরস্ক সফর করেছেন এবং এরদোগানের পরামর্শক ইব্রাহিম কালিনের সাথে দেখা করেছেন। উশপিজ গত ছয় বছরে তুরস্ক সফরকারী প্রথম ইসরাইলি কর্মকর্তা ছিলেন বলে জানা গেছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির কারণে এরদোইন আবারও ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছিলেন। রজব তাইয়েপ এরদোগান ২০০৫ সালে ইসরাইলে একটি সরকারি সফর করেন এবং তিনি ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষ থামাতে ভূমিকা পালন করতে চেয়েছিলেন। ২০১১ সালে তুর্কি ত্রাণবাহী জাহাজে হামলায় ১৩ স্বেচ্ছাসেবী নিহতের পর দুদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে ইসরাইল ওই অভিযানের জন্য ক্ষমা চেয়েছিল। এতে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের পথ খুলে যায়। ডেইলি সাবাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।