গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলা ও পুনঃহামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তি, দল ও সংগঠন। গতকাল শুক্রবার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে তারা এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে নরমনীতি পরিহার করে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের আহŸান জানিয়েছেন।
সিপিবির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর পরিদর্শন শেষে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মুক্তি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম অভিযোগ করে বলেন বলেন, নাসিরনগরের ঘটনা সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। রামুর ঘটনার মতো নাসিরনগরের ঘটনাও দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বর্তমানে সা¤প্রদায়িকতা দেশের প্রধান সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা সা¤প্রদায়িকতার উপর ভর করে নোংরা রাজনীতিতে মেতে ওঠার পাঁয়তারা করছে। তাদের এই চেষ্টা প্রতিরোধ করতে তৃণমূলের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পাশাপাশি এসব ঘটনা প্রতিরোধ করতে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
গত ২৮ অক্টোবর রসরাজ দাস নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবকে ধর্মীয় অবমাননাকর ছবি পোস্ট দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে নাসিরনগর সদর উপজেলায় মন্দির-বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলা ও পুনঃহামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন করেন। এসময় তারা গুজব ছড়িয়ে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘর, বাড়ি, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছেন। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে হিন্দু মহাজোট সভাপতি ড. প্রভাস চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে এক পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব আনন্দ কুমার বিশ্বাস, প্রধান সমন্বয়কারী শ্যামল কুমার রায় প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলা ও পুনঃহামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ। গতকাল এক প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মীয় উসকানি, উত্তেজনা সৃষ্টিকারী সমাবেশ সংঘটিত হতে না দেয়ার পরিবর্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও শাসকদলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মিছিল সহকারে সমাবেশে অংশ নেওয়ার ঘটনাটি সকলকে বিস্মিত করেছে।
এই বর্বর হামলা ও লুটপাটের সাথে জড়িত সকলকে গ্রেফতার ও বিচার করতে সরকার প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলা ও পুনঃহামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা গভীরভাবে উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করছি যে, গত পাঁচদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদরে গুজব ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রাদায়ের মানুষের উপাসনালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা অগ্নিসংযোগ লুটপাটের ঘটনা ঘটছে।
আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।