বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বন্ধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত, মিথ্যা, গুজব ও অপপ্রচার চালানো হয়। কারা এসব গুজব ছড়ায় তার তথ্যও কিছু ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। তাই এসব রোধে ডিজিটাল আইনের দরকার রয়েছে।
গতকাল সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এর ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ২০১৮: চড়া মূল্য দিচ্ছে কারা?’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। সিজিএস-এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজিএস-এর চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
এ সময় রেজাউল করিম বলেন, সারা বিশ্বেই ডিজিটাল প্লাটফর্মে অপব্যবহার করা নিয়ে আইন রয়েছে। এটা যে শুধু বাংলাদেশে আইন হয়েছে বিষয়টা তেমন নয়। দেশের বাইরে থেকে যারা দেশের ভিতরে ডিজিটাল অপরাধ করে তাদের রোধ করতে ও অসামাজিক কার্যকলাপ, অশালীনতা, জঙ্গি সন্ত্রাসবাদকে রোধ করতে এই আইনের প্রয়োজনীয়তা কেউ অস্বীকার করেন না।
আইনের অপপ্রয়োগ রোধ করার জন্য প্রতিকার রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সত্য মামলা করার জন্য যেই সাজা মিথ্যা মামলার জন্য তার একই সাজার বিধান রয়েছে। তবে আইনের অপপ্রয়োগে অতি উৎসাহীদের ভূমিকা অনেক সময় সদিচ্ছাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে সংবাদমাধ্যমে অনেক সমালোচনা করা যাচ্ছে যেটা অতীতে কখনো করা যায়নি। স্বাধীন সংবাদমাধ্যম না থাকলে একটি রাষ্ট্র সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
আমরা চাই দেশে সমালোচনা হোক। বস্তুনিষ্ঠতা হোক। কারণ শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন গণমাধ্যম বিকশিত হলে রাষ্ট্র উপকৃত হবে।
ভার্চুয়াল এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ)- সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।