চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : ড্রেসিং করা মুরগি খাওয়া জায়েজ আছে কি?
সাহানা বিনতে রফীক, ই-মেইল থেকে।
উত্তর : জায়েজ আছে। শর্ত হলো, মুরগির ড্রেসিংটি তার নাপাক অঙ্গ বর্জ্য ছাড়া করতে হবে। গরম পানিটিও পাক হলে ভালো। এরপরও নিজেরা পবিত্র পানি দিয়ে এ মুরগির গোশত ভালো মতো ধুয়ে নিতে হবে। সুবিধা থাকলে সতর্কতার জন্য মেশিনে ড্রেসিং না করে নিজের হাতে করে নেয়া ভালো। অনেক মুরগি হলে, নিজের ক্ষমতা না থাকলে, বড় কোনো অনুষ্ঠানে, সুপার শপ থেকে কিনলে, বিদেশে, ভ্রমণের সময় বাইরের ড্রেসিং ছাড়া উপায় থাকে না।
সুতরাং সচেতন ও সঠিক লোকেদের ড্রেসিং করা মুরগি খাওয়া যায়, যদি নাজায়েজ হওয়ার শক্ত প্রমাণ বা কারণ না থাকে।
প্রশ্ন : আমি ঢাকা ভার্সিটিতে লেখাপড়া করি। এখানে অন্যান্য বন্ধুদের মতো আমার কয়েকজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী বন্ধুও রয়েছে। তাদের পূজা-পার্বণে আমাদের তারা দাওয়াত করে। আমাদের কিছু কিছু বন্ধু পূজার ছুটিতে তাদের সাথে গিয়ে পূজা উৎসবে অংশগ্রহণ করে। এমনকি তাদের মতো নাচ-গানেও অংশ নিয়ে থাকে। অন্য ধর্মের কোনো ধর্মীয় উৎসবে মুসলমানদের অংশ নেয়া কি ঠিক? গুনাহ হলে কি ধরনের গুনাহ হবে?
আরিফ হায়দার তনয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
উত্তর : অমুসলিম বন্ধু-বান্ধবের সাথে গুনাহর কাজ ছাড়া অন্য সব কিছুতে অংশ নেয়া যেতে পারে। আপনার বন্ধুরা যতক্ষণ স্বাভাবিক কাজে থাকে, ততক্ষণ তারা আপনাকে পাশে পাবে এটাই নিয়ম। কিন্তু তাদের বন্ধুত্বের টানে আপনি শিরক ও কুফরি করতে পারেন না। হারাম খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন না। মানবিক ও সামাজিক সম্পর্ক এক কথা, অন্য ধর্মের উপাসনায় যোগ দেয়া আরেক কথা। তাদের সাথে নাচ-গানে অংশ নেয়া, পূজার প্রসাদ খাওয়া, উৎসবে শরিক হওয়া সবই ইসলামে নিষিন্ধ। কেননা, ‘দুর্গোৎসব’ একটি উৎসব মাত্র নয়, এটি একটি ধর্মীয় আচার বা উপাসনা। এতে কোনো মুসলমান অংশ নিতে পারে না। যদি নেয়, তা হলে আল্লাহর সাথে শিরক করার গুনাহ হবে।
প্রশ্ন : যদি কোন নাবালক মেয়েকে তার অনুমতি ছাড়া অভিভাবকরা বিয়ে দেয়। সে বিয়ে কি হবে? পরে যদি সাবালক হয়ে মেয়েটি বিয়ে মেনে না নেয়, তখন কি হবে?
উত্তর : বিয়ে হবে। যদি ইসলামী শরিয়ত অনুসরণ করা হয় তাহলে নাবালিকাকেও তার সম্মতি বা কবুল বলা ছাড়াই বৈধ অভিভাবক বিয়ে দিতে পারেন। এ বিয়ে মেয়েটি সাবালিকা হওয়ার সাথে সাথে অনতিবিলম্বে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য কাজী বা বিচার কর্তৃপক্ষকে বলতে পারে। যদি না বলে অল্প সময়ও সংসার চালায় তাহলে আর নারাজি দেওয়ার অধিকার তার থাকে না। এখানে নাবালিকা বলতে আমরা কি বুঝবো? ইসলামী নীতিতে নাবালিকা অর্থ যে মেয়ের নারীত্ব শুরু হয়নি।
বয়স তার যাই হোক। অন্যান্য আইনে পশ্চিমা অনেক দেশে ১৩ থেকে ১৮। আমাদের দেশে কমপক্ষে ১৮। এসব নিয়মের নাবালিকাকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দিলে বিয়েই হবে না। কারণ, তারা সম্ভবত ইসলামী নীতিতে সাবালিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।