মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : চীনা কিলার ড্রোন মার্কিন রেপার ড্রোনের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন। চীনের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বেইজিংয়ের তরফে বলা হয়েছে সিএইচ-৫ নামের এই ড্রোনগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এর আগে, দেশটি পৃথিবীর এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বৃহদাকারের ড্রোন উন্মোচন করেছে। ৩ টন ওজন বহন করতে সক্ষম ড্রোনটি প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে উড়েছে। এর বহন ক্ষমতা চীনের আগের তৈরি ড্রোনের বহন ক্ষমতার তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ। এছাড়া এর একটি শক্তিশালী রাডার রয়েছে। চীনা সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, এটি একাধারে ৩০ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম। ড্রোনটির পাখা ৬৫ ফুট বিস্তৃত। এই ড্রোনটি নিয়ন্ত্রিত ও অনিয়ন্ত্রিত বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম এবং দেয়ালের ভেতর, জঙ্গলে বা সাধারণ লুকানো স্থানে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে। এ ধরনের প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্র অহরহ ব্যবহার করে থাকে। সংবাদদাতারা আরো জানিয়েছেন, এই ড্রোনটি ইলেক্ট্রোনিক যুদ্ধেও পারদর্শী। এটি নিজের পক্ষের অন্য ড্রোনকে শত্রু কর্তৃক চিহ্নিত করা থেকে, নিজেদের ড্রোনগুলোকে রক্ষা এবং হ্যাকিং-এর হাত থেকে বাঁচাতে পারে। এই ড্রোনটি কার্যতঃ যুদ্ধক্ষেত্রে একটি জঙ্গি বিমানের ভূমিকাও পালন করতে পারে। প্রসঙ্গত চীন বিশ্বের সব চেয়ে বড় ড্রোন উৎপাদনকারী দেশ। তবে চীনের ড্রোনের ৮০ ভাগই বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য উৎপাদিত হয়। আগে চীনের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সবচেয়ে বেশি সামরিক ও অস্ত্রসজ্জিত ড্রোন নির্মাণের দাবিদার ছিল। সর্বশেষ চীনা কিলার ড্রোন যুক্তরাষ্ট্রের সে শ্রেষ্ঠত্ব ভাঙল। এর আগে, মার্কিন সেনা সদরদপ্তর পেন্টাগন তথ্য দিয়েছিল চীনের সামরিক বাহিনী ৪২ হাজার ড্রোন নির্মাণ করছে। পেন্টাগন তার বার্ষিক সামরিক প্রতিবেদনে বলেছে, চীনের এসব ড্রোন স্থল ও সমুদ্রভিত্তিক। এছাড়া, চীন দীর্ঘ পাল্লার ড্রোনও তৈরি করছে বলে পেন্টাগণের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এ ধরনের ড্রোন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও সামরিক হামলা চালাতে সক্ষম হবে। ২০১৪ সাল থেকে চীন ড্রোন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে এবং ২০২৩ সালে শেষ হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনকে খরচ করতে হবে ১,৫০০ কোটি ডলার। পেন্টাগন এ প্রতিবেদন আরো পর্যালোচনার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের কাছে হস্তান্তর করেছে। পাশাপাশি চীনের সামরিক শক্তি বাড়ানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। এছাড়া, চীনা অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আধুনিকায়নের বিরুদ্ধে সতর্ক সংকেত দিয়েছে পেন্টাগন। অন্যদিকে, আরেক খবরে জানা যায়, রাশিয়া-চীন যৌথভাবে নতুন প্রযুক্তির ড্রোন নির্মাণ করছে। নতুন এ ড্রোনকে রকেটের মাধ্যমে ৯০ কিলোমিটার দূর থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করা যাবে। রকেটের দিয়ে মোতায়েনযোগ্য ড্রোন এই প্রথম তৈরি করা হচ্ছে। একযোগে বহু রকেট ছোঁড়ার ব্যবস্থা বা এমআরএলএস’এর মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তির ড্রোনকে মোতায়েন করা যাবে। এ ড্রোন মোতায়েনের জন্য ৩০০ মিলিমিটারের এমআরএলএস ব্যবহার করতে হবে। রুশ এক কর্মকর্তা বলেন, রকেট প্রচ- গতিতে ছুঁটতে পারে বলে এ ড্রোন দ্রুততার সঙ্গে মোতায়েন করা সম্ভব হবে। মোতায়েনের পর ২৫ থেকে ৩০ মিনিট ধরে তথ্য প্রেরণ করতে পারবে ড্রোনটি। এছাড়া তিনি আরো জানান, যে কোনো লক্ষ্যবস্তুর ওপর সুনির্দিষ্ট হামলাও চালানো যাবে এ দিয়ে। নজরদারি ও হামলার কাজে ব্যবহার উপযোগী নতুন এ ড্রোন একযোগে তৈরি করছে রুশ এবং চীনা প্রকৌশলীরা। আরটি ও ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।