Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যৌন নির্যাতনের মামলা নিষ্পত্তি করলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:৫৪ পিএম | আপডেট : ১২:০৩ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

ব্রিটেনের প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে করা যৌন নির্যাতনের মামলা করা ভার্জিনিয়া জিওফ্রে আদালতের বাইরে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে রাজি হয়েছেন। মঙ্গলবার জিওফ্রের অ্যাটর্নিদের দ্বারা দায়ের করা আদালতের একটি নথি থেকে এই তথ্য জানা যায়। ফেডারেল বিচারক লুইস কাপলানকে সম্বোধন করা চিঠি অনুসারে, পক্ষগুলো ৩০ দিনের মধ্যে মামলা খারিজ করার শর্ত দাখিল করার প্রত্যাশা করে। কত টাকায় মামলাটি বন্দোবস্ত করা হয়েছে সেই তথ্য প্রকাশ করা হবে না, চিঠিতে বলা হয়েছে।

‘প্রিন্স অ্যান্ড্রু ভুক্তভোগীদের অধিকারের সমর্থনে জিওফ্রের দাতব্য প্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট দান করতে চান। প্রিন্স অ্যান্ড্রু কখনোই জিওফ্রের চরিত্রকে খারাপ করার উদ্দেশ্য করেননি। এবং তিনি স্বীকার করেন যে, জিওফ্রে নির্যাতিত এবং বৈষম্যের শিকার,’ চিঠিতে বলা হয়েছে। প্রিন্সের বিরুদ্ধে আনা এই মামলাটি জেফরি এপস্টাইনের বিরুদ্ধে বিস্তৃত এবং বিরক্তিকর অভিযোগ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। এপস্টাইন যৌন অপরাধী হিসাবে কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। তার সাথে একাধিক ক্ষমতাবান পুরুষের যোগাযোগ ছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে।

‘এটা জানা যায় যে জেফরি এপস্টাইন বহু বছর ধরে অসংখ্য তরুণীকে পাচার করেছে,’ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রিন্স অ্যান্ড্রু এপস্টাইনের সাথে তার সংযোগের জন্য অনুতপ্ত। তিনি জিওফ্রের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার প্রশংসা করেন। তিনি যৌন পাচারের কুফলগুলির বিরুদ্ধে লড়াইকে সমর্থন করে এপস্টাইনের সাথে তার সংযোগের জন্য তার অনুশোচনা প্রদর্শন করার অঙ্গীকার করেছেন এবং এর শিকারদের সমর্থন করেন।"

মামলায়, জিওফ্রে অভিযোগ করেন যে, এপস্টাইন তাকে পাচার করেছিলেন এবং প্রিন্স অ্যান্ড্রু সহ তার বন্ধুদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করেছিলেন এবং অ্যান্ড্রু জানতেন যে তিনি তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, অ্যান্ড্রু ইউএস ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের এপস্টাইনের ব্যক্তিগত দ্বীপে, ম্যানহাটনে তার প্রাসাদে এবং লন্ডনে তার প্রাক্তন বান্ধবী ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েলের বাড়িতে তাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন।

৬১ বছর বয়সী প্রিন্স অ্যান্ড্রু এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তার বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল ধরে চলা অভিযোগগুলি ইতিমধ্যেই নাটকীয়ভাবে তার জনসমক্ষে অবস্থানকে কলঙ্কিত করেছে এবং ২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। গত মাসে বিচারকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে, অ্যান্ড্রুর সামরিক খেতাব কেড়ে নেওয়া হয় এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব থেকে সড়িয়ে দেয়া হয়। সূত্র: সিএনএন।



 

Show all comments
  • Harunur Rashid ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:১৬ এএম says : 0
    I guess too coward to face justice.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ