Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্নাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব ধরনের ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ আদালতের

উত্তর প্রদেশে পৌঁছেছে হিজাব বিরোধ পরীক্ষা দিতে দেয়া হলো না দুই শিক্ষার্থীকে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

কর্নাটকের শিক্ষাক্ষেত্রে হিজাব নিষিদ্ধ নিয়ে তোলপাড় দেশ। মামলা গড়িয়েছে শীর্ষ আদালতে। এ প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রদেশের একটি কলেজে নিষিদ্ধ হল হিজাব। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের দাতিয়া জেলার এক সরকারি কলেজে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহিলা মোর্চা ‘দুর্গা বাহিনী’র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে খবর। ‘দুর্গা বাহিনী’র দাবি, কলেজ ক্যাম্পাসে মুসলিম ছাত্রীরা হিজাব পরে আসতে পারবেন না। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হল নয়া বিতর্ক।

কর্নাটক হাইকোর্টের অন্তর্র্বর্তীকালীন নির্দেশে বলা হয়েছে, সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত আপাতত সে রাজ্যের শিক্ষার্থীরা হিজাব পরে স্কুল বা কলেজে আসতে পারবেন না। এ নিয়ে মঙ্গলবারও একাধিক মামলার শুনানি চলে আদালতে। তার মধ্যেই সামনে এল মধ্যপ্রদেশের ঘটনা।

গত সোমবার দাতিয়া সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল ডিআর রাহুল জানান, কোনো সম্প্রদায়ের পরিচ্ছদ বলে পরিচিত এমন কোনো পোশাক পরে আসতে বারণ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। সেটা হিজাব হতে পারে কিংবা অন্য কোনো সম্প্রদায়ের পোশাক-পরিচ্ছদ।

জানা গেছে, সোমবার দুই কলেজছাত্রী হিজাব পরে ক্লাসে ঢোকার পর আন্দোলন শুরু করে ‘দুর্গা বাহিনী’। ঘেরাও হন কলেজের প্রিন্সিপাল । তাদের দাবি, কলেজ ক্যাম্পাসে হিজাব নিষিদ্ধ করতে হবে। তার পরেই কলেজ কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত বলে খবর। তবে প্রিন্সিপালের দাবি, কলেজের মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার আরো দাবি, আগে কলেজে কেউ হিজাব পরে আসতেন না। কিন্তু কর্নাটকে হিজাব-বিতর্ক শুরু হওয়ার পরপরই কয়েকজন ছাত্রী হিজাব পরে ক্লাসে আসতে শুরু করেন।

অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের দাবি, মধ্যপ্রদেশে হিজাব নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। দাতিয়া কলেজের ঘটনা শুনে জেলাশাসককে কার্যকর পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সাতনার একটি কলেজে হিজাব পরে আসার ‘অপরাধে’ এক ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিতে বলেন প্রিন্সিপাল।

মুসলিমরা এ নিষেধাজ্ঞাকে একটি সম্প্রদায়কে প্রান্তিক করার আরেকটি উপায় হিসেবে সমালোচনা করেছে যারা হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতের ১৩৫ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ।
উত্তরপ্রদেশে, দেশের উত্তরে এবং নয়াদিল্লির সীমান্তবর্তী, দুই ডজনেরও বেশি যুবকের একটি দল সোমবার আলিগড় জেলার ধর্ম সমাজ কলেজে পৌঁছে এবং এর আধিকারিকদের কাছে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেছে যাতে হিজাবের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

তাদের গলায় ছিল গেরুয়া শাল যা সাধারণত বিজেপি সমর্থিত হিন্দুরা পরে থাকে। কলেজের প্রধান প্রক্টর মুকেশ ভরদ্বাজ বলেন, তিনি লোকেদের চিনতে পারেননি। বর্তমানে, শ্রেণিকক্ষে ধর্মীয় পোশাকের অনুমতি নেই, তবে ক্যাম্পাসের অন্য কোথাও পরা যেতে পারে।

ভরদ্বাজ মঙ্গলবার ফোনে রয়টার্সকে বলেন, ‘দুই বছর আগে একই ইস্যুটি উত্থাপিত হয়েছিল এবং এটি আবারও উত্থাপিত হয়েছে। আমরা কোনো ধরনের ধর্মীয় ইউনিফর্মের অনুমতি দিই না এবং আমাদের সবার জন্য ইউনিফর্মের নাগরিক কোড রয়েছে’।

‘মেয়েদের জন্য একটি চেঞ্জিং রুম রয়েছে এবং তারা ক্লাসে যাওয়ার আগে সেখানে তাদের পোশাক পরিবর্তন করতে পারে’, তিনি বলেন। ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি’।

প্রায় ব্রাজিলের সমান জনসংখ্যা অধ্যুষিত উত্তরপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল থেকে হিন্দু সন্ন্যাসী যোগী আদিত্যনাথ শাসত করেন যেখানে বর্তমানে বিধানসভা নির্বাচন চলছে এবং হিন্দু-মুসলিম বিরোধ প্রায়ই রাজ্যে রাজনৈতিক লাভের জন্য ব্যবহৃত হয়।

এর আগে গত সোমবার হাইকোর্ট স্কুল ও কলেজগুলোতে হিজাব বা অন্য কোনো ধর্মীয় পোশাকের অনুমতি না দেয়ার অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছে। সেই অন্তর্বর্তী আদেশ এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট।

বর্তমান হিজাব বিতর্কের মধ্যে সোমবার কর্ণাটক হাইকোর্ট স্কুল ও কলেজে হিজাব নিষিদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদনের শুনানির পরে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মামলা মুলতুবি করে। শুনানির আগে কর্ণাটক হাইকোর্ট মিডিয়াকে ‘আরো দায়িত্বশীল হতে’ আবেদন জানিয়েছে। হাইকোর্টের স্কুল ও কলেজগুলোতে হিজাব বা অন্য কোনো ধর্মীয় পোশাকে অনুমতি না দেওয়ার অন্তর্বর্তী আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই অন্তর্বর্তী আদেশ এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট।

বর্ষীয়ান আইনজীবী দেবদত্ত কামাত আবেদনকারীর পক্ষে উপস্থিত হয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেন। কামাত বলেন যে, মুসলিম মহিলাদের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে মাথার স্কার্ফ পরার অনুমতি রয়েছে। তিনি যোগ করেছেন যে, ‘এটি এমন একটি ঘটনা যেখানে ছাত্ররা বছরের পর বছর ধরে হেডস্কার্ফ পরে আসছে’। কামাত আরো বলেন, যতদূর পর্যন্ত মূল ধর্মীয় অনুশীলনের বিষয়, তা ২৫ (১) ধারা থেকে আসে।

আইনজীবী কামাত বলেন, ‘যদি মূল ধর্মীয় চর্চা জনসাধারণের শৃঙ্খলার ক্ষতি করে বা আঘাত করে তবে তা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে’। এর প্রেক্ষিতে কর্ণাটক হাইকোর্ট কামাতকে জিজ্ঞাসা করেন যে, কোরআনে কি হিজাবকে অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন বলে বর্ণনা করা হয়েছে? এর জবাবে কামত বলেন, আমি তা বলছি না।

আবেদনকারীরা যুক্তি দেন যে, কোরআন অনুযায়ী হিজাব পরা ‘ফরজ’ বা কর্তব্য। শিক্ষার্থীরা তাদের ইউনিফর্মের মতো একই রঙের হিজাব পরতে চাইছে। আবেদনকারীরা আদালতের কাছে মেয়েদের হিজাব পরে ক্লাসে যোগ দেওয়ার এবং তাদের শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। তবে কর্ণাটক সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছে, ইসলামে হিজাব অপরিহার্য কিনা তা খুঁজে বের করা প্রয়োজন।

এদিকে, হিজাব নিয়ে রাজ্যের কিছু অংশে অপ্রীতিকর ঘটনার পর গত বুধবার থেকে বন্ধ থাকার পর সোমবার কর্ণাটকের উচ্চ বিদ্যালয়গুলো আবার চালু হয়েছে। ফৌজদারি আইনের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে উদুপি, দক্ষিণ কন্নড় এবং বেঙ্গালুরু জেলার সংবেদনশীল এলাকায়।

রোববার মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন যে, রাজ্যে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি রয়েছে। তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডিগ্রি কলেজ পুনরায় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর আগে শুক্রবার সরকার জানায় যে, উচ্চশিক্ষা বিভাগের অন্তর্গত বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজিয়েট অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন (ডিসিটিই) অধিদফতরের অধীনস্থ কলেজগুলোর জন্য ঘোষিত ছুটি ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

উদুপি জেলায় সোমবার শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর যে, উচ্চ বিদ্যালয়গুলো আবার খুলেছে। সমস্ত প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। হিজাব পরে স্কুল ক্যাম্পাসে আসা মুসলিম মেয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে প্রবেশের আগেই তা সরিয়ে দেয়। প্রতিষ্ঠানগুলোতেও এদিন নির্ধারিত পরীক্ষা চলেছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উদুপি শহরে এবং স্কুলের কাছাকাছি পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

উদুপি জেলা প্রশাসন শান্তি বজায় রাখার জন্য সোমবার থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলার সমস্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ মিটার ব্যাসার্ধে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। উদুপি তহসিলদার প্রদীপ কুরুদেকর, যিনি কয়েকটি স্কুল পরিদর্শন করেছেন, বলেছেন যে, মুসলিম ছাত্ররা ক্লাসে প্রবেশের আগে হিজাব সরিয়ে হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশ মেনে চলছে।

হিজাব বিতর্কে মুখ খুললেন নীতীশ কুমার
বিগত কয়েকদিন যাবত দেশজুড়ে ঝড় উঠেছে কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক নিয়ে। ইতোমধ্যেই এই বিতর্কে লেগেছে রাজনৈতিক রঙ। একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিজাব বিতর্কে স্বপক্ষে এবং বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন। আর এই নিয়ে এবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়ে দিলেন হিজাব কোন ইস্যু নয় বিহারে। এখানে যেকোনো ছাত্রী মাথার ওপর কাপড় জড়িয়ে স্কুলে আসতেই পারে। একে অপরে ধর্মীয় ভাবাবেগকে মর্যাদা দেওয়া হয় বিহারে বলে জানালেন নীতীশ কুমার। কার্যত নীতীশ কুমারের মতে, অনর্থক বিতর্ক চলছে দেশজুড়ে। পাশাপাশি বুঝিয়ে দিলেন কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে এনডিএর শরিক দল জনতা দল ইউনাইটেড মোটেই একমত নয়। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা নীতীশ কুমারের এই বক্তব্যের পেছনে একাধিক সমীকরণ তুলে আনছেন। তবে বিজেপির সহযোগী দল থেকে নীতীশ কুমার যেভাবে হিজাব বিতর্ককে হালকা করে দিলেন, তা নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হল না কর্নাটকের দুই শিক্ষার্থীকে
কর্নাটকে হিজাব বিতর্ক ক্রমশঃ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সোমবার এ রাজ্যের কিছু স্কুলে হিজার পরিহিতা ছাত্রীদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবারও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি অব্যাহত ছিল। অভিভাবকদের অভিযোগ, এক স্কুল ছাত্রীর অভিভাবক জানিয়েছেন যে, তাদের মেয়েকে স্কুলের পক্ষ থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক পরে আসার অনুমতি নেই। রাজ্যের এ নির্দেশ অমান্য করলে পুলিশি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উদুপির সরকারি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়ার অভিভাবক বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা (হিজাব) এখানে আগে ছিল না। আমাদের সন্তানদের আলাদা ঘরে বসানো হচ্ছে। সোমবার শিক্ষিকারা শিশুদের ওপর চিৎকার করেন, তারা (স্কুল) আগে কখনও এ ধরনের আচরণ করেননি’। ওই অভিভাবক এও বলেছেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হিজাব পরে যারা রয়েছে তারা বাইরে বসে থাক, যারা হিজাব ছাড়া রয়েছে তারা ক্লাসে আসুক।’ ওই অভিভাবক প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের সন্তানরা হিজাব পরতে চায় এবং তারা শিক্ষাও চায়। হিন্দু শিক্ষার্থীরা সিঁদুর পরে, খ্রিষ্টানরা জপমালা, তাহলে আমাদের সন্তানেরা হিজাব পরলে তাতে দোষের কোথায়’?

একই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রীর এক অভিভাবক এ প্রসঙ্গে জানান যে, গত তিনবছর ধরে তার সন্তান হিজাব পরে স্কুলে আসছে, আর সেই সময় কেউ কোনওদিন অভিযোগ করেনি। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে ক্লাসে হিজাব পরে গিয়েছিল। তাকে হিজাব খুলে রেখে স্কুলের দৈনিক প্রার্থনায় অংশ নিতে বলা হয়। পুলিশ যখন তাকে হুমকি দেয় তখন সে বাধ্য হয় হিজাব খুলতে’। স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে হুমকির মতো আচরণ পাওয়ার অভিযোগ করেন ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকও। ওই অভিভাবক জানিয়েছেন, স্কুলের পক্ষ থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয় যদি নিয়ম অমান্য করা হয় তবে ছাত্রীদের পুলিশে পাঠানো হবে, তাই তারা স্কার্ফ খুলে স্কুলে ঢোকে।

পরীক্ষা দিতে না পারা এক শিক্ষার্থী হিনা বলেন, ‘আমি হিজাব খুলিনি। আমি এর আগে হিজাব পরেই স্কুলে গিয়েছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের বলেছিল, নয় হিজাব খুলে ফেল আর নয়ত এই জায়গা ছেড়ে চলে যাও। হিজাব পরে আমাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি’। সাবরিন নামে আর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি পরীক্ষা দিতে পারিনি কারণ আমাকে হিজাব খুলে ফেলতে বলা হয়েছিল’। অন্যান্য অভিভাবকরা জানিয়েছেন, কর্নাটক হাইকোর্ট, যে ছয়জন শিক্ষার্থীর হিজাব নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে পিটিশনের শুনানি চলছে, এ বিষয়ে নিয়ম করার পরই তারা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন। হিজাব বিতর্কে উত্তপ্ত রাজ্য হিজাব নিষিদ্ধ করা নিয়ে রাজ্যের কোডাগু জেলার কিছু স্কুল শিক্ষার্থীরা মঞ্চ করে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। প্রসঙ্গত, কর্নাটকের স্কুলগুলো এক সপ্তাহের জন্য এ হিজাব কাণ্ডের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। সোমবার থেকে স্কুল পুনরায় খোলা হলেও কিছু ছাত্রীকে হিজাব খুলে স্কুলে ঢোকার দৃশ্য সামনে আসতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জনবহুল রাস্তার মাঝেই শিক্ষিকারা ছাত্রীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করছে। ক্লাসরুমে হিজাব পরা নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে সোমবার শিক্ষার্থীরা যুক্তি দিয়েছিল যে তাদের এটি করতে নিষেধ করার মতো কোনো আইন নেই। তাদের পক্ষ থেকে শীর্ষ আইনজীবী দেবদত্ত কামাত জানিয়েছিলেন যে, হিজাব পরার অধিকার সংবিধান দ্বারা প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার অধীনে সুরক্ষিত। সূত্র : ডন, এবিপি, এশিয়ানেট নিউজ।



 

Show all comments
  • গোলাম কাদের ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:২৪ এএম says : 0
    এর জন্য ভারতকে চরম মূল্য দিতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Monzur Islam ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:২৮ এএম says : 0
    বোরকা কোন ধর্মীয় পোশাক নয় বোরকা মেয়েদের ইজ্জত সম্মান।
    Total Reply(0) Reply
  • জব্বার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:২৯ এএম says : 0
    ভারতের হিন্দুত্ববাদী গেরুয়া সন্ত্রাস শুধু ভারতকেই বিভাজন ও অশান্তির নিগড়ে নিক্ষেপ করছে না, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশিদের প্রতিও ক্রমাগত হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • উবায়দুল্লাহ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩০ এএম says : 0
    ভারতের কর্ণাটকে কিছু স্কুলে প্রবেশ করার সময় আবারও মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব ত্যাগ করতে বাধ্য করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানচ্ছি
    Total Reply(0) Reply
  • মনিরুজ্জামান ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩১ এএম says : 0
    হিজাব মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার। ধর্ম নিরপেক্ষতার সুবাদে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের আচার অনুষ্ঠানে বাধা না থাকলে মুসলমানদের সাথে কেন এ বিমাতাসুলভ আচরণ। শিখ ধর্মের অনুসারিরা তাদের নির্ধারিত পাগরী পড়ে, হিন্দুরা তাদের গেরুয়া উড়না পড়ে ক্লাসে ঢুকতে বাধা না হলে মুসলিম মেয়েদের হিজাবে কেন বাধা?
    Total Reply(0) Reply
  • কাওসার আহমেদ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩১ এএম says : 0
    অনতিবিলম্বে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব নিয়ে এ ধরনের টালবাহানা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় মুসলিম ছাত্রীদের এভাবে টার্গেট করার ফলে গোটা মুসলিম বিশ্বে যে ক্ষোভ দানা বাঁধছে, তাতে ভারত সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Sahed Mir ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩৬ এএম says : 0
    অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে হবে, তাহলেই জয় আসবে , অবস্থার পরিবর্তন হবেই হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Ahammed Razu ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩৮ এএম says : 0
    ভারত সরকার হিজাব বোরকা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে মুসলিম দেশগুলো উচিত কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া
    Total Reply(1) Reply
    • Harunur Rashid ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:২০ এএম says : 0
      Your country is 90% percent Muslim, lets start from your neighborhood .
  • Ahsan Habib ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩৯ এএম says : 0
    ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এখন নারীবাদীরা চুপ কেন?
    Total Reply(0) Reply
  • Rezaul Karim Reza ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৪১ এএম says : 0
    জাগ্রত হও হে মুমিন, আর ঘুমাবার সময় নেই।
    Total Reply(1) Reply
    • md. atikur rahman ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:৫১ এএম says : 0
      I agree with you
  • jack ali ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:২০ এএম says : 0
    আমরা মুসলিমরা কোরআন হাদিস থেকে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থান করছি আর এইজন্যই আজকে কাফেররা আমাদেরকে সব ধরনের নির্যাতন করছে আর এর একটা বড় কারণ হচ্ছে যে আমাদের তথাকথিত যতগুলো মুসলিম দেশ আছে যেমন আমাদের বাংলাদেশ হিজাব পরে কেউ হয়তো চাকরি পাবে না স্কুলে যেতে পারবে না পুরুষরা দাড়ি রাখলে চাকরি পাবে না কারণ আমাদের দেশটা চলে কাফেরের আইন দিয়ে কাফেররা কখনো ইসলামকে সহ্য করতে পারে না প্রতি পদক্ষেপে তারা ইসলামকে ধ্বংস করতে চায়
    Total Reply(0) Reply
  • রাকিবুল হাসান বিন নূরুল ইসলাম ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৫৮ পিএম says : 0
    ইন্ডিয়া হিন্দু সম্প্রদায় এবং অন্য কোন অমুসলিম সম্প্রদায়ের নয়। ইন্ডিয়া হচ্ছে মুসলমানদের ভূখণ্ড ছিল আছে থাকবে ইংশা আল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ